mithu Mukherjee: কেন অকালে হারিয়ে গেলেন ? এখন কেমন দেখতে মিঠু মুখার্জী ?

তিনি অভিনয় ছেড়েছেন প্রায় ৩৫ বছর । কিন্তু আজও তিনি বাংলা ছবির হট টপিক। গুগলে এখনও মানুষ সন্ধান করেন কেমন আছেন প্রিয় নায়িকা? এখন কেমন দেখতে হয়েছে তাঁকে ? কোথায় থাকেন ? ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি মিঠু মুখোপাধ্যায় mithu Mukherjee। বাংলা সিনেমার হটবোম। উত্তম কুমার থেকে রঞ্জিত মল্লিক -সবার নায়িকা হয়েছেন । কেরিয়ার অন্যরকম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই হারিয়ে গেলেন। কিন্তু কেন ? কি কারণ ছিল তার পিছনে ? টলিউডের পাশাপাশি বলিউডেও তিনি জায়গা করতে পেরেছিলেন। কিন্তু স্বর্ণযুগের এই নায়িকার কেরিয়ার মাত্র ৩৫ বছরেই শেষ হয়ে যায় !

mithu Mukherjee: কেন অকালে হারিয়ে গেলেন ? এখন কেমন দেখতে মিঠু মুখার্জী ?
মিঠু মুখার্জীর mithu Mukherjee প্রথম ছবি ছিল ১৯৭১ সালের ‘ শেষ পর্ব’। প্রথম ছবি তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে ১৯৭৩ সালের দীনেন গুপ্তের ‘মর্জিনা আবদাল্লা’ ইতিহাস তৈরি করল । মিঠুর কেরিয়ারের পাশাপাশি বাংলা ছবির মোড় ঘুরিয়ে দিল। এরপর ‘ মৌচাক’ বা ‘স্বয়ংসিদ্ধা’ মিঠু মুখার্জীকে mithu Mukherjee বাংলা ছবির শীর্ষ নায়িকার সিংহাসনে বসিয়ে দিল। শুরুটা হয়েছিল বেহালা চৌরাস্তার বিবেকানন্দ নারী মহাবিদ্যালয় থেকে। মিষ্টি পান পাতার মতো মুখের মেয়েটার প্রতি ছেলেদের আকর্ষণ ছিল সবথেকে বেশি। কলেজের বাইরে প্রতিদিন ছেলের ভিড় লেগেই থাকত । কিন্তু মেয়েটা কোনোদিনই কাউকে পাত্তা দেননি । কলেজের সবথেকে সুন্দরী মেয়েটার জনপ্রিয়তা তবে থেকেই শুরু। ১৯৬৭ সালে নাচে পারদর্শী মিঠু শ্যাম বাজার ভ্রাতৃ সঙ্ঘের রজত জয়ন্তী উৎসবে চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যে প্রথম অভিনয় করলেন । লক্ষ্মী প্রতিমার মতো মুখশ্রীর মেয়েটাকে দেখতে সেদিন ভালোই ভিড় হয়েছিল । হয়তো নায়িকা হিসেবে ভিত পত্তন সেদিনই হয়ে গিয়েছিল। বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি । ১৯৭১ সালেই এল সুযোগ । চিত্ত বসুর ‘ শেষ পর্ব’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ।

mithu Mukherjee: কেন অকালে হারিয়ে গেলেন ? এখন কেমন দেখতে মিঠু মুখার্জী ?
শুরুটা তেমন না জমলেও খুব তাড়াতাড়ি তিনি হয়ে উঠলেন ‘স্বয়ংসিদ্ধা’। বাংলা সিনেমার গৃহলক্ষ্মীর মতো নায়িকা হওয়ার মিথ তিনি ভেঙে ফেললেন। পর্দায় রীতিমতো দাপটের সঙ্গে বললেন, বেশ করেছি প্রেম করেছি করবই তো। তবে মর্জিনা আব্দালা ছবিতে তিনি আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গেলেন। ছবির শেষ দৃশ্যে নাভির নীচে লেহেঙ্গা পরে দর্শকদের চমকে দিলেন। সত্তরের দশকে এই ব্যাপারটা তখন মোটেই সহজ ছিল না। কিন্তু দর্শক খুব সহজভাবেই গ্রহণ করল । বরং সবথেকে বেশি হিট হল ছবির গান। আরব্য রজনীর রহস্যময়তার সঙ্গে যৌন আবেদন মিশিয়ে পরিবেশন করলেন তিনি। ছড়িয়ে পড়ল এক নিষিদ্ধ হাতছানি । ধরা দিল দর্শক। বাংলা ছবির দর্শকদের স্বপ্ন সুন্দরী হয়ে উঠলেন তিনি।


mithu Mukherjee: বম্বে যাওয়ায় কাল হল !

নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয়নি তাঁকে। কারণ এক নামজাদা প্রযোজকের প্রেমিকা ছিলেন তিনি। ফলে পরপর সুযোগ পাচ্ছিলেন। উত্তম কুমার থেকে রঞ্জিত মল্লিক সবার সফল নায়িকা। আর সেই সাফ্যলের উপর ভর করে তিনি পাড়ি দিলেন বম্বে। সেটাই ছিল তাঁর জীবনের সবথেকে বড় ভুল। বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় ছিন্ন করে বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলেন। কিন্তু সেটা মোটেই সহজ ছিল না। দুলাল গুহ নির্মিত ‘খান দোস্ত’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করলেন । বিনোদ মেহেরা, ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে পরপর কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও বিশেষ লাভ হল না। অপশন হয়ে রয়ে গেলেন তিনি। কয়েকজন নির্দিষ্ট পরিচালক ছাড়া তেমন সুযোগ পেতেন না।


আবার চেষ্টা করলেন বাংলায় ফেরার । কিন্তু ততদিনে পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে। মহুয়া রায়চৌধুরী বা দেবশ্রী রায়দের রাজত্ব কায়েম হয়ে গিয়েছে। মিঠু বুঝতে পারলেন, হারিয়ে যাওয়ার পথে তিনি। শেষ চেষ্টা করেছিলেন । ১৯৯০ সালে ‘আশ্রিতা’ ছবির প্রযোজনা করলেন । পরিচালক ছিলেন বম্বের চন্দ্র বারোত। যিনি অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে ‘ডন’ ছবি বানিয়ে ছিলেন। ‘আশ্রিতা’ সুপারহিট হল। কিন্তু অন্ধকারে হারিয়ে গেলেন মিঠু। রাজত্ব হারিয়ে যাওয়া বা বম্বের অসফলতা তিনি মেনে নিতে পারেননি । হেরে যাওয়ার কষ্ট তাঁকে সবথেকে বেশি কুরে কুরে খাচ্ছিল। কলকাতায় আর থাকলেন না। ফের বম্বে চলে গেলেন। চন্দ্র বারোতের বিবাহিত স্ত্রী হিসেবে। সেখানেই পাকাপাকি বসবাস করে গেলেন। এখন মাঝে মাঝে কলকাতায় আসেন। রান্না আর পুজো নিয়ে তাঁর দিন কাটে। সিনেমা থেকে শতহস্ত দূরে এক সময়ের সুপারহিট নায়িকা। এখন তিনি সিনিয়র সিটিজেন। দেখুন কেমন দেখতে হয়েছে তাঁকে -
mithu Mukherjee: কেন অকালে হারিয়ে গেলেন ? এখন কেমন দেখতে মিঠু মুখার্জী ?
বর্তমানে এমনই দেখতে মিঠু মুখার্জীকে ।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.