Novelist Samaresh Majumdar passed away: সোমবারের ‘কালবেলা’য় চলে গেলেন সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার, ঠিক কী হয়েছিল ?

প্রয়াত ‘কালবেলা’, ‘কালপুরুষ’-এর রচয়িতা সমরেশ মজুমদার। বেশ কয়েক বছর ধরেই খুব অসুস্থ ছিলেন। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ‘কালপুরুষ’। কিন্তু সব কিছুর শেষ আছে। শেষ হল সাহিত্যিকের দীর্ঘদিনের লড়াই। সোমবার বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রমণ বেশ কিছুদিন ধরেই ভোগাচ্ছিল। গত এপ্রিল মাসের শেষে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়ছিল। তবু চিকিৎসা ভালোই চলছিল। মাঝে মাঝে সাড়াও দিচ্ছিলেন। পরিবারের মনে আশার আলো বাড়ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সোমবার বিকেলে সব শেষ।

জানা গিয়েছে, গত দশ বছর ধরে সিওপিডির সমস্যায় ভুগছিলেন। তার চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। কোনও কোনও সময় বাড়াবাড়ি হত। তীব্র শ্বাস কষ্ট দেখা দিত। কৃত্রিম অক্সিজেন দিয়ে রাখা হত তাঁকে। প্রয়াত সাহিত্যিকের মেয়ে দোয়েল জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে বেশ ভালো ছিলেন। কিন্তু শনিবার থেকে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসকরা তাঁকে আইসিইউতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দু’দিন সেখানেই পর্যবেক্ষণে ছিলেন। কিন্তু সোমবার ঘটে গেল অঘটন। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে তাঁর জীবনাবসান হয়।

১৯৪৪ সালের ১০ মার্চ জলপাইগুড়িতে জন্ম হয় সমরেশ মজুমদারের। ছোটবেলা উত্তর বঙ্গেই কেটেছে। তাই তাঁর প্রতিটি লেখাতে বারবার উঠে এসেছে উত্তরবঙ্গের কথা। উত্তরাধিকার, কালবেলা ও কালপুরুষ -এই তিনটি অনিমেশ সিরিজের জন্য ১৯৮৪ সালে তিনি সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পান। সাহিত্যিক চলে যান। থেকে যায় অমর সৃষ্টি। যেমন সমরেশ মজুমদারের সৃষ্ট অনিমেশ, মাধবীলতা বা অর্ক চিরদিন অমর হয়ে থেকে যাবে। এখানেই একজন লেখকের সার্থকতা।