ramprasad bangla serial new promo star jalsa : ফিরলেন সব্যসাচী । দেখুন নতুন ধারাবাহিক রামপ্রসাদের ট্রেলার
“ডুব দে রে মন কালী বলে !”
বাসর ঘরে সবার আবদার মেনে গান ধরেন রামপ্রসাদ সেন। 'ডুব দেরে মন কালী বলে' । সেই গান শুনে সবাই হেসে ওঠে। বাসর ঘরে মায়ের গান ! এই ছেলে সংসার করবে তো ? কটূক্তি শুনে উঠে চলে যান রামপ্রসাদ সেন। তখনই সামনে গ্রামের মহিলার বেশ ধরে হাজির হন মা কালী। তিনি তাঁকে আশ্বস্ত করেন সংসারে থেকেও মায়ের আরাধনা করা যায় । ফের গান ধরেন রামপ্রসাদ ।
শনিবার সাত সকালে সাধক 'রামপ্রসাদ'-এর ট্রেলার লঞ্চ করল স্টার জলসা (ramprasad bangla serial new promo star jalsa) । ইতিমধ্যেই সেই ট্রেলারে লাইক আর কমেন্ট ভরে গিয়েছে। কারণ 'তারাপীঠ মহাপীঠ' ধারাবাহিকের পর ফের রামপ্রসাদ রূপে পর্দায় ফিরছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। এর মাঝে তাঁর উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। বহু দিন ধরেই ‘রামপ্রসাদ’ ধারাবাহিক নিয়ে নানা রকম জল্পনা চলছিল। কে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন ? এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে । তবে প্রথম থেকেই চ্যানেলের পচ্ছন্দ ছিল সব্যসাচী চৌধুরী। প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যু পর নিজেকে একপ্রকার গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। সব রকম সোশ্যাল সাইট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। তারপর থেকেই তাঁর অনুরাগীদের চিন্তা ছিল কেমন আছেন তিনি ? তাঁর কাছে রামপ্রসাদের অফার পৌঁছাতেই তিনি এককথায় রাজি হয়ে যান বলে খবর । কারণ কামব্যাকের জন্য এমনই কোন অফার তিনি চাইছিলেন।
ভক্তিমূলক ধারাবাহিকে অবশ্য তাঁর এটা প্রথম অভিনয় নয় । এর আগে ‘ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ’ ধারাবাহিকে তিনি জুধিষ্টির চরিত্রে অভিনয় করেন । ‘ওঁ নমঃ শিবায়’ ধারাবাহিকে তিনি ছিলেন বিষ্ণুর চরিত্রে । তবে তাঁকে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তা দিয়েছে ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ সিরিয়াল। বামদেবের চরিত্র তাঁর কাছে একটা মাইলফলক ছিল। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে তিনি ঘরে ঘরে জনপ্রিয়তা পান। এত সফল অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি রীতিমতো বিপর্যস্ত। বিরাট ধাক্কা খেয়েছেন তিনি। দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২৪ বছর বয়সে মারা যান প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মা । অসুস্থতার সময় ঐন্দ্রিলার পাশে সব সময় ছিলেন সব্যসাচী। মৃত্যু পর নিজের হাতে তাঁকে সাজিয়ে শ্মশানে পৌঁছে দিয়ে আসেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি প্রেমিকার পাশে থেকেছেন। সোশ্যাল সাইট বা টিভিতে সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর দু’মাস পর কাজে ফিরলেন সব্যসাচী চৌধুরী।
বাবার মৃত্যুর পর সংসারে অভাব দেখা দেয়। তখন তিনি কলকাতায় দুর্গাচরণ মিত্র নামে এক ধনী ব্যক্তির কাছারিতে খাতা লেখার কাজে যোগ দেন। কাজে মন ছিল না। খাতায় তিনি শ্যামাসঙ্গীত লিখে রাখতেন। দুর্গাচরণ মিত্রের কানে সেই খবর পৌঁছায়। তিনি খাতায় রামপ্রসাদের কবিত্ব দেখে মুগ্ধ হন । দুর্গাচরণ মিত্র রামপ্রসাদের মাসিক ৩০ টাকা ভাতার বন্দোবস্ত করে গ্রামে ফেরত পাঠান । গ্রামে এসে তন্ত্রমতে মাতৃ সাধনা করতেন রামপ্রসাদ । শোনা যায়, সাধনায় প্রসন্ন হয়ে মা কালী তাঁকে দেখা দিয়েছিলেন। নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন । তিনি রামপ্রসাদকে সভাকবির আসন দিয়েছিলেন । পাশাপাশি, রামপ্রসাদের নামে ১০০ একর নিষ্কর জমি প্রদান করেন । তখনই 'বিদ্যাসুন্দর' কাব্য রচনা করেন রামপ্রসাদ সেন। সারা জীবন মায়ের গান রচনা এবং সাধনার মধ্য দিয়ে কাটান সাধক রামপ্রসাদ। শোনা যায় , নবাব সিরাজদ্দৌলাও তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়ে হয়েছিলেন।
বাসর ঘরে সবার আবদার মেনে গান ধরেন রামপ্রসাদ সেন। 'ডুব দেরে মন কালী বলে' । সেই গান শুনে সবাই হেসে ওঠে। বাসর ঘরে মায়ের গান ! এই ছেলে সংসার করবে তো ? কটূক্তি শুনে উঠে চলে যান রামপ্রসাদ সেন। তখনই সামনে গ্রামের মহিলার বেশ ধরে হাজির হন মা কালী। তিনি তাঁকে আশ্বস্ত করেন সংসারে থেকেও মায়ের আরাধনা করা যায় । ফের গান ধরেন রামপ্রসাদ ।
শনিবার সাত সকালে সাধক 'রামপ্রসাদ'-এর ট্রেলার লঞ্চ করল স্টার জলসা (ramprasad bangla serial new promo star jalsa) । ইতিমধ্যেই সেই ট্রেলারে লাইক আর কমেন্ট ভরে গিয়েছে। কারণ 'তারাপীঠ মহাপীঠ' ধারাবাহিকের পর ফের রামপ্রসাদ রূপে পর্দায় ফিরছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। এর মাঝে তাঁর উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। বহু দিন ধরেই ‘রামপ্রসাদ’ ধারাবাহিক নিয়ে নানা রকম জল্পনা চলছিল। কে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন ? এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে । তবে প্রথম থেকেই চ্যানেলের পচ্ছন্দ ছিল সব্যসাচী চৌধুরী। প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যু পর নিজেকে একপ্রকার গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। সব রকম সোশ্যাল সাইট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। তারপর থেকেই তাঁর অনুরাগীদের চিন্তা ছিল কেমন আছেন তিনি ? তাঁর কাছে রামপ্রসাদের অফার পৌঁছাতেই তিনি এককথায় রাজি হয়ে যান বলে খবর । কারণ কামব্যাকের জন্য এমনই কোন অফার তিনি চাইছিলেন।
ভক্তিমূলক ধারাবাহিকে অবশ্য তাঁর এটা প্রথম অভিনয় নয় । এর আগে ‘ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ’ ধারাবাহিকে তিনি জুধিষ্টির চরিত্রে অভিনয় করেন । ‘ওঁ নমঃ শিবায়’ ধারাবাহিকে তিনি ছিলেন বিষ্ণুর চরিত্রে । তবে তাঁকে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তা দিয়েছে ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ সিরিয়াল। বামদেবের চরিত্র তাঁর কাছে একটা মাইলফলক ছিল। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে তিনি ঘরে ঘরে জনপ্রিয়তা পান। এত সফল অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি রীতিমতো বিপর্যস্ত। বিরাট ধাক্কা খেয়েছেন তিনি। দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২৪ বছর বয়সে মারা যান প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মা । অসুস্থতার সময় ঐন্দ্রিলার পাশে সব সময় ছিলেন সব্যসাচী। মৃত্যু পর নিজের হাতে তাঁকে সাজিয়ে শ্মশানে পৌঁছে দিয়ে আসেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি প্রেমিকার পাশে থেকেছেন। সোশ্যাল সাইট বা টিভিতে সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর দু’মাস পর কাজে ফিরলেন সব্যসাচী চৌধুরী।
কে ছিলেন রামপ্রসাদ সেন ?
কলকাতা থেকে ২৫ মাইল দূরে হুগলী নদীর তীরে হালিশহরে জন্মগ্রহণ করেন রামপ্রসাদ সেন। তাঁর জন্মের প্রকৃত তারিখ জানা যায় না। তবে অনেক ঐতিহাসিকের দাবি, ১৭১৮ বা ১৭২৩ সালে জন্ম হয় রামপ্রসাদের। তাঁর বাবা রামরাম সেন ছিলেন আয়ুবেদিক চিকিৎসক এবং সংস্কৃত পণ্ডিত । মায়ের নাম সিদ্ধেশ্বরী দেবী। ছোট থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি আগ্রহ দেখে ২২ বছর বয়সে শর্বাণী নামে এক বালিকার সঙ্গে রামপ্রসাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় । বিয়ের পর কুলুগুরুর কাছে দীক্ষা নেন তিনি। গুরু তাঁর কানে কালী মন্ত্র দান করেন । তার পর থেকেই তিনি মা কালীর প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। পরে তন্ত্র সাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ।বাবার মৃত্যুর পর সংসারে অভাব দেখা দেয়। তখন তিনি কলকাতায় দুর্গাচরণ মিত্র নামে এক ধনী ব্যক্তির কাছারিতে খাতা লেখার কাজে যোগ দেন। কাজে মন ছিল না। খাতায় তিনি শ্যামাসঙ্গীত লিখে রাখতেন। দুর্গাচরণ মিত্রের কানে সেই খবর পৌঁছায়। তিনি খাতায় রামপ্রসাদের কবিত্ব দেখে মুগ্ধ হন । দুর্গাচরণ মিত্র রামপ্রসাদের মাসিক ৩০ টাকা ভাতার বন্দোবস্ত করে গ্রামে ফেরত পাঠান । গ্রামে এসে তন্ত্রমতে মাতৃ সাধনা করতেন রামপ্রসাদ । শোনা যায়, সাধনায় প্রসন্ন হয়ে মা কালী তাঁকে দেখা দিয়েছিলেন। নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন । তিনি রামপ্রসাদকে সভাকবির আসন দিয়েছিলেন । পাশাপাশি, রামপ্রসাদের নামে ১০০ একর নিষ্কর জমি প্রদান করেন । তখনই 'বিদ্যাসুন্দর' কাব্য রচনা করেন রামপ্রসাদ সেন। সারা জীবন মায়ের গান রচনা এবং সাধনার মধ্য দিয়ে কাটান সাধক রামপ্রসাদ। শোনা যায় , নবাব সিরাজদ্দৌলাও তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়ে হয়েছিলেন।
রামপ্রসাদ সেনের মৃত্যু হয়েছিল অদ্ভূতভাবে। প্রতিবছর দীপান্বিতা অমাবস্যায় তিনি কালী পুজো করতেন । একবার সারারাত পুজো করার পর সকালে কালী প্রতিমা মাথায় নিয়ে নিজের রচিত গান গাইতে গাইতে গঙ্গায় ডুব দেন। তারপর আর ওঠেননি। তাঁকে আর খুঁজেও পাওয়া যায়নি। সালটা ছিল ১৭৭৫ ।
মন রে কৃষি কাজ জানো না।
এমন মানব জমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা।।
কালীনামে দাও রে বেড়া, ফসলে তছরুপ হবে না।
সে যে মুক্তকেশীর শক্তবেড়া, তার কাছেতে যম ঘেঁসে না ।।
রামপ্রসাদের জনপ্রিয় গান
মন রে কৃষি কাজ জানো না।
এমন মানব জমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা।।
কালীনামে দাও রে বেড়া, ফসলে তছরুপ হবে না।
সে যে মুক্তকেশীর শক্তবেড়া, তার কাছেতে যম ঘেঁসে না ।।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box