‘প্রজাপতি’র সাফল্য সদূর মালদ্বীপে গিয়ে করছেন দেব আর রুক্মিনী মৈত্র। যদিও অনেকের মতে, বিয়ের আগে ‘হানিমুন’ সারছেন টলিউড দম্পতি। তবে এই প্রথম নয়। গত বছর তাঁরা গিয়েছিলেন গ্রীস। আর এবার মালদ্বীপ। বলিউড তারকাদের মধ্যে এটা হামেশাই দেখা যায়। গার্লফেন্ডকে নিয়ে দূরে কোথায় ছুটি কাটানো। বাংলা সিনেমায় হতো। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে লুকিয়ে। এখন সেই বাধা কেটে গিয়েছে। অঙ্কুশ আর ঐন্দ্রিলা তো প্রায় নানা হিরো’ দেব কেন পিছিয়ে থাকবেন ? তিনিও তাঁর অভিনেত্রী গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে কখনো গ্রীস, কখনো মালদ্বীপ ঘুরতে যাচ্ছেন। ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকে নানা মুডের ছবি শেয়ার করছেন।
‘প্রজাপতি’ হিট করার পর বাঘাযতীনের জীবনী নিয়ে ছবি তৈরি করছেন দেব। কিছুদিন আগে ওড়িশার জঙ্গলে এই ছবির শ্যুটিং করতে গিয়ে চোখে আঘাত পান। অন্যদিকে, রুক্মিনী নটী বিনোদিনীর চরিত্রে অভিনয় করছেন। দুটো ছবিই দেবের প্রোডাকশন হাউস তৈরি করছে। শ্যুটিং করতে গিয়ে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হন রুক্মিণী। টানা শ্যুটিং, তার উপর অসুস্থতা কাটিয়ে দেব ও তাঁর বান্ধবী খুব ক্লান্ত। বিশ্রাম নিতে তাই মালদ্বীপের নির্জনতাকে বেছে নিয়েছেন।
বেড়াতে যাওয়ার ছবি রোজ ফেসবুক সহ অন্য সোশ্যাল সাইটে দিচ্ছেন দেব। কোথাও ডুবন্ত সূর্যের আলোয় সমুদ্রের জলে গা ভাসাচ্ছেন। কখনো দোলনার উপর বসে রেস্ট নিচ্ছেন। রুক্মিনীই বা পিছিয়ে থাকেন কেন ? তিনিও স্বল্পবসনা সুন্দরী সেজে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছেন। ক্যামেরাম্যান অবশ্যই তৃণমূলের সাংসদ দেব। ছবির নীচে নানা ধরণের মন্তব্য করছেন নেট নাগরিকরা। কারও প্রশ্ন, একসঙ্গে ঘুরছেন। একঘরে থাকছেন। খুব ভালো কথা। কিন্তু বিয়েটা কবে ? সাংসদ-অভিনেতা দেবের কালে কালে বেলা অনেক হল। ৪০ অতিক্রম করে ফেলেছেন। গার্লফ্রেন্ড রুক্মিনীর ৩১। বিয়ে করার প্ল্যান কি দেবের নেই? কোন উত্তর মেলেনি তাঁর কাছ থেকে। কেউ লিখেছেন, বিয়ে না করেই যদি বছর বছর হানিমুন করা যায়, তাহলে বিয়ের দরকার কী ?
সাধারণত একসঙ্গে ছবি দেন না দেব-রুক্মিনী। সদ্য সোশ্যাল সাইটের দেওয়ালে হাতে হাত রেখে ছবি দিয়েছেন তাঁরা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রের কোলে ঢলে পড়ছে সূর্য। সেই কনে দেখা আলোতে রোমান্টিক মুডে নায়ক-নায়িকা। ক্যাপশনে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি। ছবি দেখে ভক্তরা যেমন গদগদ হল, তেমনি নিন্দুকরা কটাক্ষ করলেন। দেবের হাত ধরে সিনেমা জগতে পা রাখেন মডেল রুক্মিনী মৈত্র। প্রথম ছবি ‘চ্যাম্প’। তারপর ‘ককপিট’, ‘কবীর’, ‘কিসমিস’ ছবিতে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। একটা ছবিও চলেনি। সদ্য মুম্বাইয়ে একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করে এলেন রুক্মিনী। প্রচুর কাজের চাপ থাকে। তাই বছরে একটা করে ‘হানিমুন’ থুড়ি বেড়াতে যাওয়া চায়। এতে অন্যায়ের কী আছে ?
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box