শুধু নক্সা নয়, biscuits-এর গায়ে অসংখ্য ছিদ্র কেন থাকে জানেন ? জানলে অবাক হবেন

শিশু হোক বা বুড়ো, খোকা হোক বা খুকি। প্রতিদিন সকালে চায়ের বন্ধু biscuits না থাকলে মনটা ভালো লাগে না। বাঙালি মানেই সকালে চায়ের প্লেটে বিস্কুটের উপস্থিতি। আর যাই হয়ে যাক, বিস্কুটের চাহিদা কোনও দিন কমবে না। তাই তো ব্রিটানিয়া বা বিস্ক ফার্ম-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়েও টিকে আছে অনেক লোকাল কোম্পানি। মিষ্টি, নোনতা বা সুগার ফ্রি। বাজারে হাজার রকমের নানা স্বাদের বিস্কুট পাওয়া যায়। যার জেটা পচ্ছন্দ, সে সেটাই খায়। তবে কয়েকটি বাদ দিয়ে বেশিভাগ বিস্কুটে একটা বিষয় খুব কমন থাকে। যা হয়ত সবাই লক্ষ্য করেছেন, কিন্তু উত্তর খুঁজে পাননি। তাহল বিস্কুটের গায়ে নক্সা, কোম্পানির নামের পাশাপাশি কেন অসংখ্য ফুটো থাকে ? জানেন ?

কেন ছিদ্র ?

অনেকে খাওয়ার সময় হয়ত ভাবেন ছিদ্র গুলি আসলে নক্সা। কিন্তু তা নয়। ইচ্ছাকৃতভাবেই ছিদ্র গুলি তৈরি করা হয়। উৎপাদনের সুবিধা থাকে এর পিছনে। তবে এক নয়। হাজার কারণ আছে বিস্কুটের ছিদ্রের। সংশ্লিষ্ট মহলের ভাষায়, ছিদ্র গুলির নাম ডকার। এই ডকারের প্রধান কাজ হল, বিস্কুটের মধ্যে হাওয়া চলাচল করানো। আমরা বাড়ি তৈরি করি তখন বাতাস চলাচলের জন্য যেমন জানালা বা ঘুলঘুলি বানায়। ঠিক তেমনি ডকারের সাহায্যে বিস্কুটে বাতাস চলাচল করে।

বিস্কুট তৈরি করতে লাগে ময়দা, চিনি আর লবণ। সেইসব মিশ্রণ ভালো করে মেখে মণ্ড তৈরি করা হয়। তারপর সেগুলি ছাঁচে ফেলা হয়। ছাঁচের সাহায্যে প্রস্তুত হয় বিস্কুট। বেক করার সময় যাতে বিস্কুটে বাতাস ঢুকে তার আকৃতি নষ্ট করতে না পারে, তাই আগে থেকেই ছিদ্র করে দেওয়া হয়। এমনিতে গরম করার সময় সেটিতে বাতাস ভরে যায়। তাতে বিস্কুট ভেঙে যেতে পারে। তাই এই ছিদ্র। বাতাস ঢুকে গেলেও তা বেরিয়ে যায়। মেশিনের সাহায্যে সমান দূরত্বে ছিদ্র করে দেওয়া হয়। ছিদ্র থাকলে বিস্কুটের চারিদিক সমান ভাবে ফুলে থাকে।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.