স্টারকিডরা বাবা-মায়ের মতোই সিনেমায় আসবেন, এটাই এখন বলিউডের স্বাভাবিক ট্রেন্ড। এঁদের প্রতি দর্শকদের প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। সেই প্রত্যাশা পূরণে অনেক সময় ব্যর্থ হন তাঁরা। আবার অনেকে সুপারস্টার হয়ে যান। সাউথের ছবিতে এই ধারা অনেক আগে থেকেই ছিল। বলিউডে গত এক দশক থেকে সেই ট্রেন্ড বেশি শুরু হয়েছে। রাজেশ খান্না এবং ডিম্পল কাপাডিয়া দু’জনেই বলিউডে সুপারস্টার ছিলেন। তাঁদের দুই মেয়ে ট্যুইঙ্কেল খান্না এবং রিঙ্কিও বাবা-মায়ের দেখানো পথেই সিনেমাতে আসেন। কিন্তু ট্যুইঙ্কেল কিছুটা হিট হলেও রিঙ্কি সুপারফ্লপ (
flop) হন। রাজেশ- ডিম্পলের দুই মেয়ে বলিউডে তেমন পাত্তা করতে পারেননি। যদিও শুত্রুটা মন্দ হয়নি।
রিঙ্কি খান্নার বলিউড যাত্রা
১৯৭৭ সালে রিঙ্কি মুম্বাইয়ে জন্মান। ২০ বছর বয়সে ১৯৯৯ সালে ‘প্যায়ার মে কভি কভি’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেন তিনি। তাঁর প্রকৃত নাম রিঙ্কেল। সিনেমাতে অভিনয় শুরুর আগে নাম পাল্টে রিঙ্কি করেন। ‘মুঝে কুছ কেহনা হ্যায়’ ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করেন। প্রথম ছবি সুপারফ্লপ হয়। ২০০০ সালে ‘জিস দেশ মে গঙ্গা রেহতা হ্যায়’ ছবিতে গোবিন্দার সঙ্গে কাজ করেন। এই সিনেমাটি কিছুটা হিট হলেও রিঙ্কির জীবনে বিরাট কিছু পরিবর্তন আসেনি। মাত্র চার বছর রাজেশ খান্নার ছোট মেয়ের কেরিয়ার। এই চার বছরে ন’টি সিনেমায় অভিনয় করেন। শেষ ছবি ছিল ২০০৪ সালে ‘চামেলি’।
দেশ ছাড়তে বাধ্য হন
বলিউডে একের পর এক সিনেমা ফ্লপ করার পর ভিতর থেকে ভেঙে গিয়েছিলেন রিঙ্কি। কেরিয়ার কিছুই গড়ে ওঠেনি। এই অবস্থায় বিয়ে ছাড়া আর উপায় ছিল না। ২০০৩ সালে ব্যবসায়ী সমীর শরণকে বিয়ে করেন। তারপরও সিনেমায় কাজ করেছিলেন। নায়িকা আর কেউ করছিল না। বাধ্য হয়ে ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে চলে যান রিঙ্কি। এখন লন্ডনেই থাকেন তিনি। এখন রিঙ্কির বয়স ৪৫। তাঁর মেয়ে নাওমিকা শরণ এখন কিশোরী। খুব তাড়াতাড়ি তিনি বলিউডে ডেবিউ করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। নাওমিকা মাসি ট্যুইঙ্কেলের খুব কাছের ও আদরের। অক্ষয় ও ট্যুইঙ্কেলের বাড়িতে প্রায় তাঁকে দেখা যায়।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box