Saayoni ghosh father: সামান্য পানের দোকান থেকে কীভাবে ‘যাদবপুরের ডন’ হয়ে উঠলেন সায়নী ঘোষের বাবা, জানুন কাহিনী

Saayoni ghosh father: সামান্য পানের দোকান থেকে কীভাবে ‘যাদবপুরের ডন’ হয়ে উঠলেন সায়নী ঘোষের বাবা, জানুন কাহিনী
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের নাম আগেই জড়িয়ে ছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে গিয়ে অভিনেত্রীর নাম প্রথম পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে যুবনেত্রীকে। ইডি বা ইনফোরসমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা তাঁকে ১১ ঘণ্টা জেরা করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে এত জলদি বিরাট সম্পত্তির মালকিন হলেন সায়নী। ইডির নজরে যেমন সায়নী, পাবলিকের নজরে তেমন সায়নীর বাবা সমর ঘোষ (Saayoni ghosh father) । তাঁর জীবন সিনেমার গল্পের থেকে কম রোমাঞ্চকর নয়। লালমোহন গাঙ্গুলী হলে বলতেন, হাইলি সাস্পিসিয়াস। সামান্য একজন পানের দোকানদার থেকে আজ কয়েক কোটি টাকার মালিক সায়নীর বাবা সমর ঘোষ। কীভাবে তাঁর এই উত্থান ? সেই গল্প কিছুদিন আগে দিদি নম্বর ওয়ানে এসে শুনিয়েছিলেন তিনি।
Saayoni ghosh father: সামান্য পানের দোকান থেকে কীভাবে ‘যাদবপুরের ডন’ হয়ে উঠলেন সায়নী ঘোষের বাবা, জানুন কাহিনী

ওই অনুষ্ঠানে সায়নী তাঁর বাবার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ‘যাদবপুরের ডন’ বলে। দিদি নম্বর ওয়ানে সমর ঘোষের সাজ দেখে চমকে উঠেছিলেন সবাই। কালো পাঞ্জাবি,গলায় একাধিক সোনার চেন, হাতে সোনার আংটি, চোখে কালো চশমা। একেবারে বাপ্পি লাহিড়ি স্টাইল। সায়নী নিজেই বাবাকে যাদবপুরের ডন বলে পরিচয় দেন। সমর ঘোষের বরাবর এমন অবস্থা ছিল না।
Saayoni ghosh father: সামান্য পানের দোকান থেকে কীভাবে ‘যাদবপুরের ডন’ হয়ে উঠলেন সায়নী ঘোষের বাবা, জানুন কাহিনী

তিনি ছিলেন সামান্য পানের দোকানের মালিক। সেখান থেকে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় বিপুল সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। এখন যাদবপুরের বুকে তাঁর অনেক ফ্ল্যাট। সমর ঘোষ জানান, ‘আমার পানের দোকান ছিল। সেখানে কাজ করে সংসার চালাতাম। একবার প্রোমোটার দীপক মুখোপাধ্যায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছিলাম। উনি আবেগপ্রবণ হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরেন। বলেছিলেন, আমি তোমায় দেখে নেব’। ব্যস, এরপর ঘুরে যায় সমর ঘোষের ভাগ্য। ওই প্রোমোটারের হাত ধরে ব্যবসায় নামেন। ধীরে ধীরে কাজ শিখে অনেক দূর এগিয়ে যান। একবার এক নামী জ্যোতিষীকে হাত দেখান। তিনি বলেছিলেন, তাঁর চাকরী করার প্রয়োজন হবে না। অন্যের ধনে তিনি বড়লোক হতে পারবেন। সত্যি তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরে গিয়েছে। এখন বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি। যাদবপুরের বুকে তাড় বিরাট প্রতিপত্তি। সায়নীর তাঁর বাবাকে নিয়ে বিরাট গর্ব। তিনি বলেন, আমার বাবা ভীষণ পরোপকারী। যাদবপুরের বুকে কেউ যদি বলে, আমাকে সমর ঘোষ পাঠিয়েছেন। তাহলেই তাঁর কাজ হয়ে যায়। এতটাই প্রভাবশালী তিনি।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.