প্রতিদিন কত মানুষ অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পা রাখেন মায়া নগরী মুম্বাইয়ে। সবার চোখে অমিতাভ বচ্চন বা শাহরুখ খান হওয়ার ইচ্ছা থাকে। কিন্তু চাইলেই তো সুপারস্টার হওয়া যায় না। কিছু অভিনেতা ভালো অভিনয় করলেও সারা জীবন পার্শ্ব চরিত্র হিসেবেই থেকে যান। পরিচালক থেকে প্রযোজক সবাই তাঁদের অন্য চরিত্রে কাস্ট করতে ভয় পান। টাইপকাস্ট (Typecast) হয়ে পড়েন সেই সব অভিনেতা। তেমনি একজন হিন্দি ছবির অভিনেতা ছিলেন জগদীশ রাজ খুরানা। তাঁর নাম বললে হয়ত কেউ চিনতে পারবেন না। কিন্তু ছবি দেখলে হিন্দি সিনেমার নিয়মিত দর্শকরা তাঁকে ঠিক চিনতে পারবেন। দীর্ঘ কেরিয়ারে অসংখ্য ছবিতে কাজ করেছেন। তার মধ্যে ১৪৪ টি ছবি এমন ছিল, যেখানে শুধু পুলিশ অফিসার হিসেবে পর্দায় এসেছিলেন জগদীশ রাজ খুরানা।
তাঁর তিন ছেলেমেয়ে। তিনজনই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। মেয়ে অনিতা রাজ ৮০-এর দশকের নায়িকা ছিলেন। জগদীশের নাতনি মালবিকা রাজ শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিতে। করিনা কাপুরের বোন পু হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে জগদীশ রাজের মৃত্যু হয়।
প্রথম জীবন
১৯৩৯ সালে ‘এক হি রাস্তা’ ছবির মাধ্যমে সিনেমা জগতে পা রাখেন তিনি। এরপর অসংখ্য ছবিতে অভিনয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মধুমতী, সিআইডি, ধুল কা ফুল, কঙ্গন, জাল, বাজি, সংঘর্ষ, কানুন, উপাসনা, মেমসাব, জাওয়ানি দিওয়ানি, হালচাল, গ্যাম্বালার ইত্যাদি গুণে শেষ করা যাবে না। ২০০১ সালে ‘কসম’ ছবিতে তিনি শেষবার পুলিশ অফিসার হিসেবে অভিনয় করেন। প্রথম প্রথম দুই একটি সিনেমাতে পুলিশ অফিসার হিসেবে অভিনয় করেন। তাঁর অভিনয় এতটাই নিখুঁত ছিল যে সিনেমাতে পুলিশ অফিসারের চরিত্র থাকলে ডিরেক্টররা তাঁকেই সিলেক্ট করতেন। এইভাবে ১৪৪ টি সিনেমায় পুলিশ অফিসার সেজে ছিলেন। টাইপ কাস্ট হয়ে গেলেও কোনওদিন কাজের অভাব হয়নি জগদিশ রাজ খুরানার।তাঁর তিন ছেলেমেয়ে। তিনজনই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। মেয়ে অনিতা রাজ ৮০-এর দশকের নায়িকা ছিলেন। জগদীশের নাতনি মালবিকা রাজ শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিতে। করিনা কাপুরের বোন পু হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে জগদীশ রাজের মৃত্যু হয়।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box