Kar kache koi moner kotha serial: ‘অসুর’ পরাগকে শাস্তি দিতে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে শিমূল, কার কাছে কই মনের কথা’র ফাটাফাটি পর্ব
সমাজের বাস্তবভিত্তিক গল্প দেখিয়ে খুব তাড়াতাড়ি দর্শক মনে স্থান করে নিয়েছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ সিরিয়াল। শাশুড়ি-বউমা কুটকাচালি বা ত্রিকোণ প্রেম নয়, পারিবারিক হিংসা এই সিরিয়ালের প্রধান বিষয়। অন্য স্বাদের ধারাবাহিক দেখে কিছুটা বাড়তি আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। শিমুল, পারুল বা মধুবালারা হয়ে উঠেছে দর্শকের ঘরের লোক। যদিও প্রথম দিকে এই সিরিয়ালটি কিছুটা বিতর্কে জড়িয়েছিল। ফুলশয্যার খাটে মা-ছেলের শুয়ে থাকা দেখানোয় সমালোচনার ঝড় ওঠে। সে সব বিতর্ক এখন অতীত। সিরিয়ালের বিষয়বস্তু মানুষের মন টানতে সক্ষম হয়েছে। এবার সিরিয়ালে আসতে চলেছে ধামাকাদার পর্ব।
যাঁরা সিরিয়ালটি নিয়মিত দেখেন তাঁরা জানেন, একসময় প্রচুর অপমান করলেও এখন শিমূলকে খুব ভালোবাসেন শাশুড়ি মধুবালা। পাড়ার দুর্গা পুজোয় প্রাণখুলে আনন্দ করতে দেখা যায় শাশুড়ি-বউমাকে। সঙ্গে ছিলেন পাড়ার মহিলারা। মায়ের এই পরিবর্তন মন থেকে মেনে নিতে পারছে না পরাগ আর পলাশ। ধারাবাহিকের সর্বশেষ পর্বে দেখানো হয়েছে, পাড়ার পুজোয় আনন্দ করায় মধুবালাকে যাচ্ছেতাই ভাবে অপমান করে দুই ছেলে। পাশাপাশি, শিমূলকে ‘চরিত্রহীন’ বলেও আক্রমণ করে। সব মুখ বুজে সহ্য করলেও শেষে সব বাঁধ ভেঙে যায়।
স্বামীর লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়ে শেষে লাঠি ধরে শিমূল। এর আগে দেওর পলাশের অসভ্যতামী রুখতে লাঠি হাতে তুলে নিয়েছিল। এবার স্বামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে। আর তাঁর এই রূপ দেখে তাঁকে মা দুর্গা বলে মনে হয় মধুবালা, পুতুল, তিতুল ও পরাগের কাকিমার। বাড়ির বউয়ের এই রূপ দেখে প্রার্থনা করেন মধুবালা ও কাকিমা। তিনি যেন এইভাবে অসুর বধ করতে পারেন। এখন দর্শক মনে প্রশ্ন, পরাগের মানসিকতা কী পাল্টে ফেলতে পারবেন শিমূল ? কবে আসবে সেই দিন ?
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box