Bollywood actress Mala Sinha: টাকার লোভে দেহব্যবসা, পতিতাবৃত্তি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন এই অভিনেত্রী
নেপাল থেকে এসে বলিউডে রাজত্ব করেছিলেন মালা সিনহা। শুধু হিন্দি সিনেমা নয়, ৬০ এবং ৭০-এর দশকে বাংলা সিনেমাতেও তিনি ছিলেন অন্যতম মুখ। সেই সময়ে সিনেমা জগতে অন্যতম বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু ৭০-এর দশকে একদিন তাঁর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে আয়কর দপ্তর। জানা যায়, পতিতাবৃত্তি করে মালা সিনহা এই অর্থ আয় করেছিলেন। এই একটা কথা সিনেমা জগতে তাঁর কেরিয়ার পুরো শেষ করে দিয়েছিল। কিন্তু কেন এত বড় একজন অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও দেহব্যবসা বেছে নিয়েছিলেন ?
১৯৩৬ সালে ১১ নভেম্বর কলকাতায় জন্মে ছিলেন মালা সিনহা। বাবা আলবার্ট সিনহা ছিলেন নেপালের বাসিন্দা। মেয়ের জন্মের আগে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। মেয়ের নাম রাখেন আলডা। স্কুলে সবাই ডাকত ডালডা বলে। তাই মেয়ের নাম পাল্টে নাজমা রাখেন বাবা। কিন্তু সিনেমা জগতে প্রবেশের আগে নিজের নাম পাল্টে নিয়েছিলেন। ছোট থেকেই নাচ-গানে পারদর্শী ছিলেন। নিয়মিত রেডিওতে অনুষ্ঠান করতেন। পাশাপাশি শিশুশিল্পী হিসেবে একাধিক ধর্মীয় বাংলা ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
প্রথম নায়িকা হিসেবে সুযোগ দিয়েছিলেন পরিচালক অর্ধেন্দু বসু। স্কুলের একটি নাটকে মালা সিনহার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। প্রথম সিনেমা ‘রোশনারা’। মুক্তি পায় ১৯৫২ সালে। নাজমা হয়ে যান মালা সিনহা। এরপর মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখান অভিনেত্রী গীতা বালির সাহায্যে একাধিক পরিচালক-প্রযোজকের সঙ্গে আলাপ হয়। প্রদীপ কুমারের বিপরীতে ‘বাদশা’ ছবিতে প্রথম অভিনয়। ছবিটি চলেনি। কিন্তু মালা সিনহা সবার নজর কাড়তে পেরেছিলেন। এরপর সুযোগ পান গুরু দত্তের ‘পিয়াসা’ ছবিতে। মধুবালাকে ভেবে লেখা চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেন। রাতারাতি হিন্দি সিনেমা জগতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। একে একে ধুল কি ফুল, বহুরানি, পরবারিস, জাহানারা ইত্যাদি হিট সিনেমাতে অভিনয় করেন। ১৯৬৬ সালে ‘মাইতিঘর’ নামে একটি নেপালি সিনেমাতে অভিনয় করেন। এই ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার পান। নেপালি ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে আলাপ হয় নেপালি নায়ক চিদম্বরম প্রসাদ লোহানির সঙ্গে। পরবর্তীকে কালে তাঁকেই বিয়ে করেন মালা সিনহা।
বিয়ের পরে তিনি ফের মুম্বাইতে ফিরে আসেন এবং নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মুম্বাইতে কাজ করার পাশাপাশি বাংলা সিনেমাতেও তিনি কাজ করেছেন সমানভাবে। ‘লুকোচুরি ‘, ‘সাথীহারা ‘, ‘ খেলাঘর ‘, ‘শহরের ইতিকথা’ সহ আরো বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে তিনি বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেও নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে মালা সিনহার শেষ বাংলা সিনেমা ‘কবিতা’ মুক্তি পায়, যেখানে অভিনয় করেছিলেন রঞ্জিত মল্লিক, কমল হাসান। এরপরই এলো সেই সময়, যখন মালার জীবন চিরকালের জন্য পাল্টে যায়।
১৯৩৬ সালে ১১ নভেম্বর কলকাতায় জন্মে ছিলেন মালা সিনহা। বাবা আলবার্ট সিনহা ছিলেন নেপালের বাসিন্দা। মেয়ের জন্মের আগে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। মেয়ের নাম রাখেন আলডা। স্কুলে সবাই ডাকত ডালডা বলে। তাই মেয়ের নাম পাল্টে নাজমা রাখেন বাবা। কিন্তু সিনেমা জগতে প্রবেশের আগে নিজের নাম পাল্টে নিয়েছিলেন। ছোট থেকেই নাচ-গানে পারদর্শী ছিলেন। নিয়মিত রেডিওতে অনুষ্ঠান করতেন। পাশাপাশি শিশুশিল্পী হিসেবে একাধিক ধর্মীয় বাংলা ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
প্রথম নায়িকা হিসেবে সুযোগ দিয়েছিলেন পরিচালক অর্ধেন্দু বসু। স্কুলের একটি নাটকে মালা সিনহার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। প্রথম সিনেমা ‘রোশনারা’। মুক্তি পায় ১৯৫২ সালে। নাজমা হয়ে যান মালা সিনহা। এরপর মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখান অভিনেত্রী গীতা বালির সাহায্যে একাধিক পরিচালক-প্রযোজকের সঙ্গে আলাপ হয়। প্রদীপ কুমারের বিপরীতে ‘বাদশা’ ছবিতে প্রথম অভিনয়। ছবিটি চলেনি। কিন্তু মালা সিনহা সবার নজর কাড়তে পেরেছিলেন। এরপর সুযোগ পান গুরু দত্তের ‘পিয়াসা’ ছবিতে। মধুবালাকে ভেবে লেখা চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেন। রাতারাতি হিন্দি সিনেমা জগতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। একে একে ধুল কি ফুল, বহুরানি, পরবারিস, জাহানারা ইত্যাদি হিট সিনেমাতে অভিনয় করেন। ১৯৬৬ সালে ‘মাইতিঘর’ নামে একটি নেপালি সিনেমাতে অভিনয় করেন। এই ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার পান। নেপালি ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে আলাপ হয় নেপালি নায়ক চিদম্বরম প্রসাদ লোহানির সঙ্গে। পরবর্তীকে কালে তাঁকেই বিয়ে করেন মালা সিনহা।
বিয়ের পরে তিনি ফের মুম্বাইতে ফিরে আসেন এবং নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মুম্বাইতে কাজ করার পাশাপাশি বাংলা সিনেমাতেও তিনি কাজ করেছেন সমানভাবে। ‘লুকোচুরি ‘, ‘সাথীহারা ‘, ‘ খেলাঘর ‘, ‘শহরের ইতিকথা’ সহ আরো বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে তিনি বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেও নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে মালা সিনহার শেষ বাংলা সিনেমা ‘কবিতা’ মুক্তি পায়, যেখানে অভিনয় করেছিলেন রঞ্জিত মল্লিক, কমল হাসান। এরপরই এলো সেই সময়, যখন মালার জীবন চিরকালের জন্য পাল্টে যায়।
১৯৭৮ সালে মালা সিনহার বাড়িতে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা হানা দেন। বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয় ১২ লক্ষ টাকা। ওই সময় ১২ লক্ষ টাকার যথেষ্ট মূল্য ছিল। অভিনেত্রীকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করায় তিনি প্রথমে বলেন, তার বাবা এই টাকাটি সেখানে লুকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু অভিনেত্রীর কথা অবিশ্বাস করেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। মামলাটি এতটাই গুরুতর হয়ে উঠেছিল যে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় মালা সিনহাকে। আদালতে আবার অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কিভাবে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ তিনি পেলেন। আইনজীবী এবং বাবা অ্যালবার্ট সিনহার নির্দেশে মালা সিনহা সেদিন যা বলেছিলেন তা শুনে সেই সময় উপস্থিত সকলে চমকে যায়। অভিনেত্রী আদালতে জানান, তিনি ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন পতিতাবৃত্তির মাধ্যমে। কথাটি জানার পরেই রাতারাতি মালা সিনহার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় সকলের কাছে। এই ঘটনার পরেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে সরিয়ে ফেলেন মালা। ইদানিং খুব বেশি প্রকাশ্যে আসেন না প্রবীণ এই নায়িকা। তাঁর একমাত্র মেয়ে প্রতিভা সিনহা অভিনেত্রী হলেও মায়ের জনপ্রিয়তার ধারে কাছেও যেতে পারেননি তিনি।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box