“এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম
প্রেম মেলে না, শুধু সুখ চলে যায়
এমনি মায়ার ছলনা”
আর এক বছরের মধ্যেই তিনি সিনিয়র সিটিজেন হয়ে যাবেন । কিন্তু তাতে কি ? প্রেমের ফাঁদ পাতা আছে ভুবনে, ধরা পড়লেই হল । কে আর আটকাচ্ছে ? ব্রাড পিট
(Brad Pitt)। হলিউড সুপারস্টার। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর একাধিক মহিলার নাম জড়িয়ে বদনাম রটেছে। ফের নতুন বসন্তের আগমন হয়েছে শ্রীমান ব্রাড প্রিটের জীবনে। শোনা যাচ্ছে, গয়নার ডিজাইনার ইনেস ডি র্যামনের প্রেমে পড়েছেন তিনি। আর নতুন এই কেচ্ছা নিয়ে কান পাতা দায়। বারবার প্রেমে পড়েন ঠিকই । কিন্তু এবার নাকি হলিউড নায়ক খুব সিরিয়াস। তাই তো প্রেমটা বেশ কয়েকমাস ধরে চলছে। ইদানিং চর্চা একটু বেড়েছে। কারণ, দুজনকে বর্ষ বরণের রাতে ম্যাক্সিকোর একটি সমুদ্র সৈকতে নীরবে নিভৃতে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে। দুজনেরই ঊর্ধ্বাঙ্গ ছিল উন্মুক্ত !
ইনেস ডি র্যামন বিনোদন দুনিয়ায় একেবারে অপরিচিত নাম নয় । এর আগে তিনি ঘর করেন ‘ভ্যাম্পায়ার ড্যায়েরিজ’ খ্যাত পল ওয়েলেসলির সঙ্গে । গত বছরের শুরুর দিকে সেই রিলেশন ভেঙে যায় । এখন তিনি ব্রাড পিটের সঙ্গী । গত বছর লস এঞ্জেলসের একটি কনসার্টে ক্যামেরা বন্দি হয়েছিলেন প্রিট এবং ইনেস। মনের ঘর কোন দিনই খালি থাকে না ব্রাড পিটের। এর আগে ইমিলি রাতাজকাওস্কির সঙ্গে প্রেম করছিলেন । সেটা অবশ্য সাময়িক ছিল।
ব্রাড পিট সম্পর্কে না জানা কথা
উইলিয়াম ব্রাডলি পিটের জন্ম ১৯৬৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায়। বাবা ছিলেন ছিলেন পরিবহণ ব্যবসায়ী এবং মা স্কুল শিক্ষিকা । বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি অভিনেতা হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ, পড়াশোনা অসম্পূর্ণ রেখেই ১৯৮৬ সালে পকেটে ৩২৬ ডলার নিয়ে লস এঞ্জালেস পাড়ি দেন। কিন্তু সুযোগ পাওয়া সহজ ছিল না। তাছাড়া তিনি অভিনয়ের কিছুই জানতেন না। তখন সেখানে তিনি নানা ধরণের কাজ করেন । এক অভিনয়ের শিক্ষকের কাছে হাতেখড়ি হওয়ার পর ‘ নো ওয়ে আউট’, ‘ নো ম্যান ল্যান্ড’ এবং ‘ লেস দেন জিরো’ ছবিতে সুযোগ পান। কিন্তু কোন সংলাপ ছিল না। কয়েকটি টিভি সিরিজে কাজ করার পর ‘দ্য ডার্ক সাইট অব দ্যা সান’ ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন । তবে ১৯৯১ সালে ‘ থেলমা অ্যান্ড লুইস’ ছবিতে একজন বখাটে ছেলের চরিত্র করে দর্শকদের নজরে পড়েন। এর পরের বছরগুলিতে ‘ক্যালিফোর্নিয়া’, ‘ইন্টারভিউ উইথ ভ্যাম্পায়ার’ মতো ব্যবসা সফল ছবি তাঁকে হলিউডে প্রতিষ্ঠিত করে । ২০২২-এর শেষে তাঁর মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ব্যাবিলন’ বক্স অফিসে সুবিধা করতে পারেনি।
প্রেমের খেলা কে বুঝিতে পারে
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে একাধিক নায়িকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন ব্রাড পিট। সেই সব প্রেমিকারা হলেন গিনেথ প্যাল্ট্রো, রবিন গিভেন্স, জিল শোয়েলস্ন, জুলিয়েট লুইস, থ্যান্ডি নিউটন, জেনিফার অ্যানিস্টন ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি । ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত গিনেথ প্যাল্ট্রোর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁদের বাগদানও হয় । কিন্তু টেকেনি। তারপর জেনিফার অ্যানিস্টনকে বিয়ে করেন ২০০০ সালে। সুখের সেই দিন ২০০৫-এ শেষ হয়ে যায় । কারণ তখন পিটের জীবনে এসেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে প্রেম শুরু হয় । সাত বছর প্রেম চলার পর ২০১২ সালে বাগদান এবং ২০১৪ সালে বিয়ে করেন তাঁরা । এই জুটিকে ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ বলা শুরু হয় । কিন্তু দুবছরের মধ্যেই জোলি আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন । ২০১৯-এ তাঁরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যান ।
Brad Pitt net worth
সারাজীবন অভিনয় এবং সিনেমা প্রযোজনা করেছেন ব্রাড পিট। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box