‘খড়কুটো’ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় নিয়ে আসেন ‘
বালিঝড়’। তাঁর প্রতিটি সিরিয়ালে যে কাস্টিং থাকে, এই সিরিয়ালে রিপিট করেছেন। সবথেকে বেশি যেটা রিপিট হয়েছে সেই ঘ্যানঘ্যানে ত্রিকোণ প্রেমের গল্প। নতুন বোতলে পুরনো মদ। খড়কুটো-র জুটি কৌশিক রায় ও তৃণা সাহা ফের একসঙ্গে। সঙ্গে আছেন ‘ধুলোকণা’র নায়ক ইন্দ্রাশিস রায়। তিনজনই এখন সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ। প্রথম দিকে গল্পের গতি থাকলেও দিন দিন যেন বোরিং হয়ে উঠেছে ‘
বালিঝড়’। শুরু হয়েছে ট্রোলিং। দর্শকদের প্রশ্ন, কবে ঝড় উঠবে ? নাকি আর পাঁচটা সিরিয়ালের মতোই চেনা ছকে গল্প ফেলে এগোবেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ? কোন উত্তর নেই। ক্রমশ তলানিতে যাচ্ছে টি আর পি। সবার প্রশ্ন, লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে তাহলে আর দেওয়ার কিছু নেই ? শুরুতে জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘মিঠাই’কে জোরালো টক্কর দিচ্ছিল ‘বালিঝড়’। কিন্তু টিআরপি তালিকায় ক্রমশ নীচের দিকে নামছে ‘লীনা পিসি’র সিরিয়াল। স্টার জলসার রাত ৯ টার স্লটে চলছে তাঁর আর একটি সিরিয়াল ‘এক্কাদোক্কা’। তারও রেজাল্ট খুব একটা ভালো নয়। তাহলে কী টিআরপির বালিয়াড়িতে হারিয়ে যাবে ‘বালিঝড়’ ?
বালিঝড় এখন দর্শকের চোখের বালি
ট্রেলারেই ত্রিকোণ প্রেমের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। সিরিয়ালের শুরু থেকেই তৃণা-কৌশিক-ইন্দ্রাশিসের মধ্যে প্রেমের লড়াই দেখানো হয়। বেশ জমজমাট লাগছিল দর্শকের। মজার চরিত্রে অম্বরীশের অভিনয় ভালো দর্শক টানছিল। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের দু’জনের মজার মজার দৃশ্য দর্শক উপভোগ করছিল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁরাও অনুপস্থিত । গল্পের ট্রাক হঠাৎ পরিবর্তন করে চন্দন সেন ও ঈপ্সিতা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হয়েছে। ইন্দ্রাশিসের পরিবারের সদস্য হিসেবে তাঁদের দেখানো হচ্ছে। কিন্তু গল্পে কোন টানটান ভাব নেই। ভীষণ বোরিং হয়ে উঠেছে। রাজনীতির অলিন্দে যে ত্রিকোণ প্রেমের আভাস সিরিয়ালের শুরুতে দেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে তাঁর ছিটেফোঁটাও নেই। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের খামখেয়ালিতে সিরিয়াল চলছে। শুরু হওয়ার অল্প দিনের মধ্যেই যদি এই হাল হয়, তাহলে কতদিন ‘বালিঝড়’ চলবে, তা নিয়ে দর্শকের মনে প্রশ্ন দেখা দিতে শুরু করেছে। সিরিয়ালের নাম ‘বালিঝড়’। কিন্তু নামের কোন সার্থকতা এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি । টিআরপির ঝড়ে উড়ে যেতে বসেছে ‘বালিঝড়’।
বালিঝড় এখন দর্শকের চোখের বালি 
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box