Oindrila Sharma mother and sister in Didi number one: দিদি নম্বর ওয়ানে এসে ঐন্দ্রিলার শেষ ইচ্ছা পূরণ করলেন তাঁর মা ও দিদি

অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Oindrila Sharma) নেই আজ পাঁচ মাস হয়ে গিয়েছে। তাঁর মৃত্যু সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি সর্বত্র ঝড় তুলেছিল। কিন্তু এখন তিনি অনেকটাই বিস্মৃত। রাজনৈতিক ঘটনার ঘনঘটায় টিভি মিডিয়াতেও এখন আর ঐন্দ্রিলার নাম নেওয়ার হয় না। প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী শোক কাটিয়ে ফের অভিনয়ে ফিরেছেন। পুরোদমে কাজ করছেন তিনি। সব্যসাচীর সিরিয়াল ‘রামপ্রসাদ’ স্টার জলসায় টেলিকাস্ট হচ্ছে। ঐন্দ্রিলা এখন শুধুই স্মৃতি। তবে ভুলতে পারেননি তাঁর মা। ছোট মেয়েকে হারিয়ে আজ তিনি অসহায়। এই কটা মাস যে কীভাবে কেটেছে, তা তিনি ভাষায় বর্ণনা করতে পারেননি। সঙ্গী শুধুই চোখের জল। ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা নিজেও ক্যান্সারের পেসেন্ট। লড়াই করছেন মারণ রোগের সঙ্গে। শুধু ছোট মেয়েটা পারল না। যদিও ঐন্দ্রিলা দু’বার ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ফিরে ছিলেন। শুধু তিনবারের বেলায় আর পারলেন না। তবে ঐন্দ্রিলার একটি ছোট্ট ইচ্ছে এতদিনে পূরণ করলেন মা শিখা শর্মা। সঙ্গ দিলেন দিদি ঐশ্বর্য।

দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে এসে ছোট মেয়ের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা শিখা শর্মা। মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই তাঁর চলছে। এখন সুস্থ আছেন। ছোট মেয়েটা পারল না। সেই আফসোস তাঁর কিছুতেই মেটে না। গত পাঁচ মাস ধরে আদরের ছোট মেয়ে ঐন্দ্রিলাকে ছাড়াই শুধু তাঁর স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে আছে পরিবারটি। সেই কথায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শো তে এসে জানালেন মা শিখা শর্মা। ছোটবেলায় কেমন ছিলেন ঐন্দ্রিলা, কীভাবে অভিনয়ে আসেন, মৃত্যুর আগে তাঁর শেষ দিনগুলি কীভাবে কেটেছিল, তার বর্ণনা দিদি নম্বর ওয়ানে দিয়েছেন তিনি। এই বিশেষ পর্বে মায়ের সঙ্গ দিয়েছিলেন বড়মেয়ে ঐশ্বর্য।

মায়ের পাশাপাশি বোনের সঙ্গে কাটানো ছোটবেলায় স্মৃতি তুলে ধরেন ঐশ্বর্য। তিনি বলেন, ছোটবোন তাঁদের পরিবারটিকে জমিয়ে রাখত। এখন সব রং হীন হয়ে গিয়েছে। মা শিখা শর্মা জানান, ঐন্দ্রিলা (Oindrila) মাকে নিয়ে দিদি নম্বর ওয়ানে আসতে চেয়েছিলেন। আজ তিনি নেই। তাই বড় মেয়ের হাত ধরে এতদিন পরে সবার সামনে এলেন। মেয়ের মৃত্যুর আগের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তির আগে মায়ের সঙ্গেই শুয়ে ছিলেন ঐন্দ্রিলা। পরদিন গোয়া যাওয়ার কথা ছিল। মাকে বলেছিলেন, ভালো কোন সিনেমা লাগাতে, দেখবেন। বেশ গল্প করছিলেন। হঠাৎ বলেন, হাত-পা কেমন অসাড় হয়ে আসছে মা। নাড়াতে পারছেন না। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ২০ দিনের একটি জীবন-মৃত্যু লড়াই করে শেষে হার মানেন ঐন্দ্রিলা। মাত্র ২৪ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। শুধু ছবি হয়ে রয়ে গিয়েছে তাঁর হাসি মাখা মুখ।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.