Bollywood star superstition: বলিউডের তাবড় তাবড় তারকারা প্রবলভাবে কুসংস্কারী

শাহরুখ, সলমান থেকে মিঠুন চক্রবর্তী। প্রত্যেকেই একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। দর্শক বা সমালোচকরা বলেন, ভালো গল্প থাকলে সেই সিনেমা হিট হতে বাধ্য। কিন্তু বলিউডের তারকারা সেটা মানেন না। তাঁরা কিছু অন্ধবিশ্বাসের উপর বিশ্বাসী। কী কী করলে কেরিয়ার ঠিকঠাক চলবে বা সিনেমা হিট করবে, তাঁরা তাই মেনে চলেন। এমনিতে প্রত্যেক মানুষ কম বেশি অন্ধবিশ্বাসী। অসুস্থতা, চাকরিতে ব্যাগড়া বা স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলা-প্রতিটি ইস্যুতে সমাধানের জন্য আংটি ধারণ থেকে নবগ্রহ পুজো কতকিছু করে থাকেন। তারকারা হাজার হোক মানুষ তো। তাঁরা বা এর থেকে বাইরে কী করে যাবেন ? কেরিয়ারের গতি সাবলীল রাখতে বা সিনেমা হিট করাতে তাঁরাও নানা ধরণের উপায় অবলম্বন করেন। কেউ তার বাইরে নন। তাই তো জ্যোতিষীদের এত রমরমা।
 

সলমান খান

ভাইজানের ভক্তরা নিশ্চয় খেয়াল করেছেন, সলমান খানের হাতে সব সময় একটি ব্রেসলেট থাকে। রূপোর সেই ব্রেসলেটে একটি বড় নীলা বসানো। কোন এক বিখ্যাত জ্যোতিষীর পরামর্শে এটা ধারণ করেছেন তিনি। ভাইজান বিশ্বাস করেন, এই ব্রেসলেটের জন্য তাঁর সিনেমা হিট হয়। তিনি এত বেশি জনপ্রিয়তা এই নীলার জন্য পেয়েছেন। তাই ভুল করেও কখনো ব্রেসলেটটি খোলেন না। ডান হাতে সর্বদা পরে থাকেন। একবার কোন এক পার্টিতে সেটি হারিয়ে যায়। সেদিন সাল্লু মিয়াঁ প্রায় পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য সেটি খুঁজে পাওয়া যায়। গোবিন্দরা কেরিয়ার যখন অস্তাচলে তখন তাঁকেও ওই রকম একটি ব্রেসলেট দিয়েছিলেন সলমান। অবশ্যই কেরিয়ার বাঁচাতে। সলমানের কাজে এলেও গোবিন্দার বিশেষ কিছু লাভ হয়নি।
 

শাহরুখ খান

অন্ধবিশ্বাসীদের তালিকায় অন্যতম বলিউডের ‘বাদশা’ শাহরুখ খান। তিনি ‘৫৫৫’ এই সংখ্যাটিকে মেনে চলেন। যেকোনও কাজে এই সংখ্যা তিনি ব্যবহার করেন। গাড়ির নম্বর প্লেটে সংখ্যাটি থাকে। ‘পাঠান’ সুপারহিট হওয়ার পর নতুন দামী গাড়ি কিনেছেন। সেই গাড়ির নম্বরেও ৫৫৫ যোগ করেছেন। শাহরুখের মতে, এটা তাঁর লাকি নম্বর।
 

আমির খান

মিস্টার পারফেকনিস্টও প্রবলভাবে কুসংস্কারী। তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর সিনেমা বড়দিনে রিলিজ হলে কখনও ফ্লপ হতে পারে না। থ্রি ইডিয়টস, তারে জামিন পর -এর মতো সুপারহিট ছবি তিনি বড়দিনের ছুটিতে রিলিজ করেছিলেন। এর অন্যথা হলে তিনি খুব রেগে যান। গত বছর আমিরের ‘লাল সিং চাড্ডা’ আগস্ট মাসে রিলিজ করে। ফ্লপ হয়। তারপর থেকে আমিরের এই ধারণা আরও বদ্ধমূল হয়ে যায়।

 

মিঠুন চক্রবর্তী

বলিউডের ‘দাদা’ মিঠুন চক্রবর্তী ভীষণভাবে কুসংস্কার মেনে চলেন। তাঁর যেকোনও সিনেমার শ্যুটিংয়ের প্রথম দিনে তিনি থাকেন না। আবার প্রিমিয়ারেও কখনো মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে পাবেন না। তার কারণ, মিঠুন চক্রবর্তীর বিশ্বাস তাঁকে নিয়ে প্রথম দিনের শ্যুটিং হলে সিনেমা অবশ্যই ফ্লপ হবে। আবার প্রিমিয়ারে থাকলেও সিনেমা চলবে না।
 

সোনম কাপুর

কখনো কাউকে পড়ে গিয়ে খুশি হতে দেখেছেন ? অনিল কাপুরের কন্যা সোনম কাপুর খুশি হন। তিনি বিশ্বাস করেন, শ্যুটিংয়ের সেটে তিনি যদি কোনও কারণে পড়ে যান। তাহলে সেই ছবি হিট হবে।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.