Bangladeshi singer Nobel insult Rabindranath Tagore: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করলেন নোবেল, দেখুন কী বললেন
বিতর্কে থাকা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশী গায়ক মইনুল আহাসান নোবেলের (Mainul Ahsan Nobel)। কতগুলি গান এখনও পর্যন্ত লিখেছেন বা গেয়েছেন ? প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারবেন না। জি বাংলার সারেগামাপা ( sa re ga ma pa) থেকে দুই বাংলায় পরিচিতি পেয়েছিলেন। তারপর থেকে গায়ক হিসেবে উত্থান তো দূর। বরং দিন দিন অবনতি হচ্ছে তাঁর। কিছুদিন আগে মদ খেয়ে স্টেজে উঠে গান গাইতে গিয়ে জুতো খেয়েছিলেন। তার আগে স্ত্রীকে মারধর, একাধিক নারীসঙ্গ থেকে মাদক সেবন এই সব তো চলছিল। আবার সোশ্যাল সাইটে নিজের মৃত্যু কামনা করে চর্চায় ছিলেন। পাশাপাশি, গুণী মানুষদের অপমান করা শুরু করেছিলেন। বিশেষ করে ভারতের ব্যক্তিত্বদের সম্পর্কে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন নোবেল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কাউকে রেহাই দিচ্ছিলেন না।
হিরো আলমের রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্যারোডি নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং চলছিল। তখন নিজের মুখটা খোলেন নোবেল। তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল নবী বা দেবতা নয় যে তাঁদের গান প্যারোডি গাওয়া যাবে না। রবীন্দ্রনাথ এদেশের কবিদের সম্পর্কে কোন মূল্যায়ন করেননি। তারে নিয়ে চর্চা চলছে, এই অনেক বেশি”। এখানেই থামেননি। নোবেলের মতে, “রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের সাহিত্যের জন্য কিছুই করেননি। তবুও তাঁর গান প্যারোডি আকারে গাওয়া হচ্ছে, এটাই অনেক বেশি”।
তিনি যে কতবড় রবীন্দ্র বিদ্বেষী, তা প্রমাণ করতে নোবেল বলেছেন, “বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের গান বা সাহিত্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। আমাদের কবি কাজি নজরুল ইসলাম। বিদ্রোহী কবি। বাংলাদেশের জন্য লড়েছেন। ব্রিটিশ বিরোধিতা করে জেল খেটেছেন। আর রবীন্দ্রনাথ ব্রিটিশদের চাটুকার সেজে আমাদের বাপ-ঠাকুরদার রক্ত চুষে খেয়েছে। ব্রিটিশদের তাঁবেদারি করে সো-কলড বিশ্বকবি হয়ে ছিলেন”। নোবেলের এই বক্তব্য শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বাংলাদেশের মানুষও ভালোভাবে নেয়নি। সোশ্যাল সাইটে তীব্র প্রতিবাদ হয়েছে। অনেকে বলেছেন, রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা করতে গেলে যোগ্যতা লাগে। যার বিন্দুমাত্র নোবেলের মধ্যে নেই।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box