Mukesh khana career ruined by Amitabh Bachchan: অমিতাভের জন্য শেষ হয়ে যায় মুকেশ খান্নার সিনেমা কেরিয়ার
ভারতের নিজস্ব প্রথম সুপারহিরো তৈরি করেছিলেন তিনি। ৯০-এর দশক জুড়ে মাতিয়ে দিয়েছিলেন সব প্রজন্মকে। তিনি ‘শক্তিমান’ মুকেশ খান্না (Mukesh khana) । আজও দূরদর্শনের ‘শক্তিমান’ নিয়ে নস্টালজিক একটা প্রজন্ম। শুধু শক্তিমান নয়, মহাভারতের ‘ভীষ্ম’ হয়েও তিনি সবার মন কেড়েছিলেন। ধারাবাহিকের পাশাপাশি একাধিক সিনেমাতেও চুটিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু রাশভারী কণ্ঠস্বর আর ভালো অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও কেন মুকেশ খান্নার সিনেমা কেরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী হল না ? পিছনে প্রকৃত কারণ কী ? তাঁর নামের পাশে ফ্লপ অভিনেতার তকমা জুড়ে গিয়েছিল। অনেকেই বলেন, এর পিছনে অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) একটি বাক্য দায়ী। যার জন্য খতম হয়ে যায় মুকেশ খান্নার কেরিয়ার।
১৯৫৮ সালের ১৩ জুন মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে জন্ম গ্রহণ করেন মুকেশ খান্না। পুনে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন থেকে স্নাতক হওয়ার পর সিনেমা জগতে প্রবেশ করেন তিনি। প্রথম ছবি ১৯৮১ সালের ‘রুহি’। এরপর দরদ-এ-দিল, প্রিন্স অব টাইম-এর মতো বেশ কিছু হিট ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। প্রায় ১২ টি সিনেমায় নায়ক ছিলেন। ক্রমে বলিউডে মুকেশ খান্নার ক্রেজ বাড়ছিল। ঠিক তখনই অমিতাভ বচ্চনের একটি কথা তাঁর কেরিয়ারকে খাদের কিনারায় নিয়ে যায়। সিনেমার পাশাপাশি, মুকেশ খান্না তখন প্রচুর বিজ্ঞাপনে কাজ করতেন। দূরদর্শনের পাশাপাশি সিনেমার মাঝেও সেই সব বিজ্ঞাপন দেখানো হত। একদিন মুম্বাইয়ে কোন একটি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। ইন্টারভ্যালে মুকেশ খান্নার একটি বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, মুকেশ খান্না সিঁড়ি দিয়ে নামছেন। আর তাঁকে ঘিরে ধরছে মেয়েরা। সেটা দেখে অমিতাভ বচ্চন শুধু বলেছিলেন, ‘শালা, কপি করতা হ্যায়’ (আমাকে কপি করছে)। ব্যস, ওই কথাতেই সর্বনাশ হয়ে গেল মুকেশ খান্নার। অমিতাভ তখন বিরাট সুপারস্টার। তাঁর আসেপাশে বসে থাকা সিনেমা জগতের অন্য ব্যক্তিরা অমিতাভের মুকের বচন শুনেছিলেন। সেই কথা একান সেকান হতে হতে ইন্ডাস্ট্রিতে ছড়িয়ে পড়ে। রটে যায় মুকেশ খান্না আসলে নকল অভিনেতা। তিনি অমিতাভ বচ্চনের নকল করেন।
নামের পাশে ‘নকল’ তকমা বসে যায়। তারপরও বেশ কয়েকটি সিনেমায় নায়ক হয়ে ছিলেন মুকেশ খান্না। কিন্তু সেগুলি চলেনি। ধীরে ধীরে সিনেমার অফার আসা বন্ধ হয়ে যায়। ইন্ডাস্ট্রিও অমিতাভের ‘নকল’ মুকেশ খান্নাকে আর কাজ দেয়নি। এরপর সহ-অভিনেতা হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। আস্তে আস্তে টিভির দিকে ঘুরে যান। ১৯৮৮ সালে ‘মহাভারত’ সিরিয়ালে ভীষ্মের জন্য মনোনীত হন। ভীষ্ম তাঁকে আশাতীত সাফল্য দিয়েছিল। তারপর ‘শক্তিমান’ মুকেশ খান্নাকে মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসনে বসিয়ে দেয়। অমিতাভ বচ্চনের একটি কথায় সিনেমাতে যে ক্ষতি হয়ে ছিল, তা টিভি পুষিয়ে দেয়। টিভি অভিনেতা হিসেবে মুকেশ খান্না আজ দারুণ সফল।
১৯৫৮ সালের ১৩ জুন মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে জন্ম গ্রহণ করেন মুকেশ খান্না। পুনে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন থেকে স্নাতক হওয়ার পর সিনেমা জগতে প্রবেশ করেন তিনি। প্রথম ছবি ১৯৮১ সালের ‘রুহি’। এরপর দরদ-এ-দিল, প্রিন্স অব টাইম-এর মতো বেশ কিছু হিট ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। প্রায় ১২ টি সিনেমায় নায়ক ছিলেন। ক্রমে বলিউডে মুকেশ খান্নার ক্রেজ বাড়ছিল। ঠিক তখনই অমিতাভ বচ্চনের একটি কথা তাঁর কেরিয়ারকে খাদের কিনারায় নিয়ে যায়। সিনেমার পাশাপাশি, মুকেশ খান্না তখন প্রচুর বিজ্ঞাপনে কাজ করতেন। দূরদর্শনের পাশাপাশি সিনেমার মাঝেও সেই সব বিজ্ঞাপন দেখানো হত। একদিন মুম্বাইয়ে কোন একটি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। ইন্টারভ্যালে মুকেশ খান্নার একটি বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, মুকেশ খান্না সিঁড়ি দিয়ে নামছেন। আর তাঁকে ঘিরে ধরছে মেয়েরা। সেটা দেখে অমিতাভ বচ্চন শুধু বলেছিলেন, ‘শালা, কপি করতা হ্যায়’ (আমাকে কপি করছে)। ব্যস, ওই কথাতেই সর্বনাশ হয়ে গেল মুকেশ খান্নার। অমিতাভ তখন বিরাট সুপারস্টার। তাঁর আসেপাশে বসে থাকা সিনেমা জগতের অন্য ব্যক্তিরা অমিতাভের মুকের বচন শুনেছিলেন। সেই কথা একান সেকান হতে হতে ইন্ডাস্ট্রিতে ছড়িয়ে পড়ে। রটে যায় মুকেশ খান্না আসলে নকল অভিনেতা। তিনি অমিতাভ বচ্চনের নকল করেন।
নামের পাশে ‘নকল’ তকমা বসে যায়। তারপরও বেশ কয়েকটি সিনেমায় নায়ক হয়ে ছিলেন মুকেশ খান্না। কিন্তু সেগুলি চলেনি। ধীরে ধীরে সিনেমার অফার আসা বন্ধ হয়ে যায়। ইন্ডাস্ট্রিও অমিতাভের ‘নকল’ মুকেশ খান্নাকে আর কাজ দেয়নি। এরপর সহ-অভিনেতা হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। আস্তে আস্তে টিভির দিকে ঘুরে যান। ১৯৮৮ সালে ‘মহাভারত’ সিরিয়ালে ভীষ্মের জন্য মনোনীত হন। ভীষ্ম তাঁকে আশাতীত সাফল্য দিয়েছিল। তারপর ‘শক্তিমান’ মুকেশ খান্নাকে মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসনে বসিয়ে দেয়। অমিতাভ বচ্চনের একটি কথায় সিনেমাতে যে ক্ষতি হয়ে ছিল, তা টিভি পুষিয়ে দেয়। টিভি অভিনেতা হিসেবে মুকেশ খান্না আজ দারুণ সফল।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box