The Kerela story director Sudipto Sen biography: বাংলায় নিষিদ্ধ দ্য কেরালা স্টোরি, আইনি পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিচালক সুদীপ্ত সেনের, কে এই সুদীপ্ত সেন ?
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerela story) নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়ল। বাংলায় ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। আজ থেকে কোন হলে বিতর্কিত ছবিটি আর চলবে না। মমতা সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চুপ করে বসে থাকবেন না পরিচালক সুদীপ্ত সেন। জন্মভূমিতেই তাঁর পরিচালিত ছবি নিষিদ্ধ। এটা কিছুতেই মানতে পারছেন না তিনি। স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমরা আইনের সাহায্য নেব। পরিচালক সুদীপ্ত সেনের বক্তব্য, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে সার্টিফিকেট দিয়েছে সেন্সর বোর্ড। তা ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই ছবি দেশের সর্বত্র চলবে। তাহলে কীভাবে কোন রাজ্য সরকার ছবিটি ‘নিষিদ্ধ’ করতে পারে ? এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরা ফের আদালতে যাবে। যে রাজ্য নিয়ে গল্প, অর্থাৎ কেরলে রমরমিয়ে চলছে ছবিটি। ইতিমধ্যেই রেকর্ড ব্যবসা করেছে। প্রথম দিনেই সারা ভারতে ৮ কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে। চলতি বছরে কোন হিন্দি ছবি ওপেনিং ডে’তে এত ব্যবসা করতে পারেনি। আগামী দিনে আরও ভালো ব্যবসা করতে চলেছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। আর এই ছবির হাত ধরে লাইম লাইটে চলে এসেছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন (director Sudipto Sen) । এখন তাঁকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে সর্বত্র।
এখনও পর্যন্ত পরিচালক হিসেবে তেমন স্বীকৃতি তিনি পাননি। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerela story) তাঁকে বলিউডের সফল পরিচালকদের তালিকায় এনে দিল। বিতর্কের পাশাপাশি ছবিটি ব্যবসায়িক দিক থেকে বেশ সফল। ছবিটি ব্যান করার দাবি নিয়ে আদালতে গিয়েছিল কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তাদের বক্তব্য, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে (The Kerela story) বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে ৩২ হাজার হিন্দু মেয়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর আই এস আই এস জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছেন। এই তথ্য পরিচালক কোথায় পেলেন ? এই হিসেব অনুযায়ী, প্রতি বছরে ৩ হাজার করে মেয়ে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছেন। দিনে ৯ জন করে। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এই তথ্য। পরিচালক সুদীপ্ত সেনের বক্তব্য, চার বছর ধরে গবেষণা করার পর তবে চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনি। আর যে সংখ্যা বলা হয়েছে, তা কেরালার মানুষের মুখে শুনে লেখা হয়েছে। উত্তর কেরলের দিকে গেলে জানা যায়, এই সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।
কয়েক বছর আগে সুদীপ্ত সেনের লাভ জেহাদের মতো বিষয় নিয়ে তৈরি ‘ইন দ্য নেম অফ লাভ’ চরম বিতর্কের মুখে পড়েছিল। জেএনইউতে ছবিটি স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রচণ্ড মারধর করা হয় পরিচালককে। রীতিমতো হিংসাত্মক হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। একাধিক ছাত্রছাত্রী গুরুতর জখম হন। তখন একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন পরিচালক সুদীপ্ত সেনের পাশে দাঁড়ায়।
কে এই সুদীপ্ত সেন ?
পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে জন্ম সুদীপ্ত সেনের। প্রাথমিক শিক্ষা সেখানেই। তারপর পরিবার কলকাতায় চলে আসে। ভরতি হন বি টি রোড সরকারী স্কুলে। কলেজ পাশ করার পর মুম্বাই চলে যান সিনেমা করার ইচ্ছা নিয়ে। দীর্ঘদিন লড়াই করার পর ১৯৯৭ সালে প্রথম তথ্যচিত্র পরিচালনা করেন। নাম ‘দ্য আদার ওয়েলথ’। ছবিটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরস্কৃত হয়। ২০০৬-এ এসে প্রথম সিনেমা পরিচালনা। ‘দ্য লাস্ট মঙ্ক’। ইংরেজি ভাষার এই সিনেমাটি সিনে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা সিনেমাটোগ্রাফির জন্য সম্মানিত হয়েছিল। ২০০৭-এ একটি শর্ট ফিল্ম নির্মাণ করেন।এখনও পর্যন্ত পরিচালক হিসেবে তেমন স্বীকৃতি তিনি পাননি। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerela story) তাঁকে বলিউডের সফল পরিচালকদের তালিকায় এনে দিল। বিতর্কের পাশাপাশি ছবিটি ব্যবসায়িক দিক থেকে বেশ সফল। ছবিটি ব্যান করার দাবি নিয়ে আদালতে গিয়েছিল কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তাদের বক্তব্য, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে (The Kerela story) বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে ৩২ হাজার হিন্দু মেয়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর আই এস আই এস জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছেন। এই তথ্য পরিচালক কোথায় পেলেন ? এই হিসেব অনুযায়ী, প্রতি বছরে ৩ হাজার করে মেয়ে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছেন। দিনে ৯ জন করে। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এই তথ্য। পরিচালক সুদীপ্ত সেনের বক্তব্য, চার বছর ধরে গবেষণা করার পর তবে চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনি। আর যে সংখ্যা বলা হয়েছে, তা কেরালার মানুষের মুখে শুনে লেখা হয়েছে। উত্তর কেরলের দিকে গেলে জানা যায়, এই সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।
কয়েক বছর আগে সুদীপ্ত সেনের লাভ জেহাদের মতো বিষয় নিয়ে তৈরি ‘ইন দ্য নেম অফ লাভ’ চরম বিতর্কের মুখে পড়েছিল। জেএনইউতে ছবিটি স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রচণ্ড মারধর করা হয় পরিচালককে। রীতিমতো হিংসাত্মক হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। একাধিক ছাত্রছাত্রী গুরুতর জখম হন। তখন একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন পরিচালক সুদীপ্ত সেনের পাশে দাঁড়ায়।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box