বিশ্ব বিখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিং। বর্তমানে তিনি তাঁর গানের সুরে মুগ্ধ সারা বিশ্ব। এখন আর তিনি শুধু বাংলার নন, ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন। এখন কোনও সিনেমায় তাঁর গান থাকা মানে সেটা বিরাট হিট। অরিজিতের নিজস্ব গায়কীর স্টাইল আছে। যা সহজে নকল করা যায় না। এত জনপ্রিয় একজন গায়ক। অথচ এখনও মাটির মানুষ তিনি। আজও জিয়াগঞ্জের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে দেখা যায় তাঁকে, কখনও থলে হাতে বাজার করতে যাচ্ছেন। আবার কোনওদিন ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছেন সাধারণ স্কুটার চালিয়ে। অসাধারণ হয়েও অরিজিতের এই সাধারণ মনোভাব সবার মন জয় করেছে। অথচ তাঁকে দেখার জন্য মানুষ পাগল। লাখ টাকা খরচা করেও Arijit singh concert শুনতে যাচ্ছেন মানুষ। টিকিটের দাম লক্ষ টাকাতে পৌঁছালেও ক্ষতি নেই। অরিজিৎ নিজে গানের অনুষ্ঠানের জন্য ২ কোটি টাকা নেন। আর সিনেমায় গান গাইতে ২০ লক্ষ।
ঝিলিক আসলে কে ?
বর্তমানে এত টাকা পারিশ্রমিক অন্য কোনও গায়ক পান না। এত আয় করেও নিজের বিলাসের জন্য তেমন কিছু ব্যয় করেন না। তাঁর রোজগারের অধিকাংশ যায় অনাথ বাচ্চাদের জন্য। তাদের পড়াশোনা থেকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন গায়ক অরিজিৎ সিং। কিছুদিনের মধ্যেই জিয়াগঞ্জে তিনি একটি হাসপাতাল খুলতে চলছেন। তার তোড়জোড় চলছে। গান তো অনেকেই গান, মোটা টাকা আয় অনেকেই করেন, কিন্তু এত উদার হতে কাউকে দেখা যায় না। নিজে সাধারণ থেকে গরীব মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন অরিজিৎ। তবে যখন গান গাইতে ওঠেন, একটি জিনিস কোনওদিন ভোলেন না। হাতে গিটার অবশ্যই থাকবে।অনেকেই হয়ত খেয়াল করেছেন, অরিজিতের গিটারে নাম লেখা থাকে। কোন গিটারে ঝোরা, কোনটাই ঝিলিক , আবার মিঠি। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এই নাম গুলির মানে কী ? কেনই বা লেখা থাকে ? এই প্রশ্নের উত্তর গায়ক কোনওদিন কোথাও দেননি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, গায়কের অনেকগুলি গিটার আছে। যেগুলিকে খুব ভালোবাসেন অরিজিৎ। তাই ভালোবেসে প্রত্যেকের নামকরণ করেছেন। নাম ধরে প্রত্যেক গিটারকে ডাকেন। যখন তাতে সুর তোলেন, তখন হয়ত বিভিন্ন রাগে-অনুরাগে সাড়া দেয় অরিজিতের প্রিয় গিটারগুলি।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box