Trp-এর জন্য দিদি নম্বর ওয়ানে চলছে মিথ্যাচার, উঠল সংসার ভাঙার অভিযোগ, কী বলছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়

Trp-এর জন্য দিদি নম্বর ওয়ানে চলছে মিথ্যাচার, উঠল সংসার ভাঙার অভিযোগ, কী বলছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
জি বাংলা চ্যানেলে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলা ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এত বছর ধরে কোন শো তার জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে, এটা টেলিভিশনের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। আর সাফ্যলের সঙ্গে শো সঞ্চালনা করছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝে তাঁকে পাল্টে দেবশ্রী রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাতারাতি TRP-এর পতন হয়। বাধ্য হয়ে ফের রচনাকে ফিরিয়ে আনে জি বাংলা। এতটাই সফল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিনেমার থেকেও টিভি তাঁকে বেশি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। তবে প্রদীপের নীচেই থাকে অন্ধকার। এক দশক ধরে চলা দিদি নম্বর ওয়ানে কয়েক হাজার ‘দিদি’ অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁরা সবাই কেউ স্বামী দ্বারা প্রতারিত, অথবা শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারিত। অনেকে স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে আবার নিজের পায়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এমন নানা কাহিনী প্রায় প্রতিটি এপিসোডে থাকে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এইসব গল্পের কতটা সত্যি বলেন মহিলারা ? অভিযোগ উঠেছে, টিআরপির লোভে মিথ্যা বলানো হয় প্রতিযোগীদের দিয়ে। সোনার সংসার দাবী করা জি বাংলা অন্যের সংসার ভাঙছে।
Trp-এর জন্য দিদি নম্বর ওয়ানে চলছে মিথ্যাচার, উঠল সংসার ভাঙার অভিযোগ, কী বলছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়

কেন এই অভিযোগ ?

দিদি নম্বর ওয়ানে আসা দিদিদের জীবন সংগ্রাম অন্যদের উৎসাহ যোগায়। কিন্তু প্রতিটি মহিলা যাঁরা শ্বশুরবাড়ির নামে অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন, তাঁদের মধ্যে ক’জন সত্যি কথা বলছেন ? প্রশ্ন তুলেছেন দর্শকরা। তাঁরা নিজেরা শ্বশুর-শাশুড়ির উপর অত্যাচার করেন না, তার কী গ্যারিন্টি আছে ? কিছু কিছু এপিসোড দেখে দর্শকের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কেঁদে কেঁদে যা বলা হয়, তা কতটা সত্যি ? নাকি সবটাই শো’র চিত্রনাট্য ?
Trp-এর জন্য দিদি নম্বর ওয়ানে চলছে মিথ্যাচার, উঠল সংসার ভাঙার অভিযোগ, কী বলছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়

কিছুদিন আগে বেহালার এক বাসিন্দা ফেসবুকে সাক্ষাৎকারে সরাসরি দিদি নম্বর ওয়ান বন্ধ করার দাবী তোলেন। ওই শোতে যে সব মহিলারা স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির নামে অভিযোগ করেন, তাঁদের মধ্যে একজন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী। ওই বক্তি বলেন, শোতে গিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী। অত্যাচারের যে গল্প শোনানো হয়েছে, তা ঠিক নয়। সবটাই বানানো। অভিযোগকারী ব্যক্তিকে সমর্থন করে নেটিজেনরা। অনেকেই বলেছেন, রচনার কাছে হাউ হাউ করে কেঁদে যে সব গল্প শোনানো হয়, তা সত্যি নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে দুপক্ষের বয়ান শোনা উচিত। মহিলারা কেঁদে কেঁদে যা বলবেন, দর্শক তাই বিশ্বাস করবে এটা ঠিক নয়। গল্পগুলি বিশ্বাসযোগ্য করতে ব্যাকগ্রাউন্ডে করুণ মিউজিক লাগানো হয়। এডিটিং এমনভাবে করা হয়, যাতে মানুষ বিশ্বাস করে।
Trp-এর জন্য দিদি নম্বর ওয়ানে চলছে মিথ্যাচার, উঠল সংসার ভাঙার অভিযোগ, কী বলছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়

কী বলছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ?

‘দিদি নম্বর ওয়ান’ সংসার ভাঙছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব অভিযোগ উড়িয়ে তিনি বলেন, ১১ বছর ধরে একটি অনুষ্ঠান চলছে। এত এপিসোড জুড়ে এত মেয়ের কাহিনী, এত চোখের জল তো আর মিথ্যা হতে পারে না। হাজার হাজার মেয়ে অংশ নিয়েছেন, সবাই অভিনয় করছেন ? এটা হতে পারে ? অভিনয় এত সোজা ? প্রশ্ন রচনার। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এত মহিলা আসেন। তাঁদের মধ্যে দুই-একজন সত্যিটা এদিক ওদিক বাড়িয়ে বলতে পারেন। তার মানে সবাই মিথ্যা বলছে, এটা সত্যি নয়। যদিও এই সাফাইয়ের পরে বিতর্ক থামছে না। টিআরপির লোভে ক্রমাগত মিথ্যাচার চলছে। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের বক্তব্য তুলে ধরুক ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। উঠছে দাবী।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.