Mithun Chakraborty: এক দর্জির দোকানে প্রথম দেখেই মিঠুনকে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন এই বলি হিরোর বাবা

Mithun Chakraborty: এক দর্জির দোকানে প্রথম দেখেই মিঠুনকে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন এই বলি হিরোর বাবা
অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। কিন্তু প্রথম থেকেই কঠিন থেকে কঠিনতর পরিস্থিতি মধ্যে পড়তে হয়েছে। কিন্তু মনের জোর এতটাই বেশি ছিল যে, কোনও দিন হার মানেননি। শুনতে রূপকথার মতো লাগলেও সবকিছু একদিনে সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ স্ট্রাগল আছে তাঁর পিছনে। অনেক ধৈর্য, অনেক অধ্যাবশায় ও পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে নিজের জায়গায় পৌঁছতে পেরেছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। কেউ পাশে ছিল না। শুধু মাত্র নিজের ইচ্ছাশক্তির জোরে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। যদিও যাত্রাটা শুরু হয়েছিল বাংলা থেকেই। ১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ ছবিতে কাজ করে জাতীয় পুরস্কার পান। ভেবেছিলেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতাকে সবাই চিনবে। বম্বে তাঁর কাছে সহজ হবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছিল ভিন্ন। আজকের প্রতিবেদনে মিঠুনের জীবনের এক অজানা কাহিনী। কীভাবে লড়াই করে বড় হয়েছিলেন তিনি।
Mithun Chakraborty: এক দর্জির দোকানে প্রথম দেখেই মিঠুনকে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন এই বলি হিরোর বাবা


দর্জির দোকান থেকে শুরু

যতবার ব্যর্থ হয়েছেন, তত উন্নতি করার খিদে বেড়ে গিয়েছে। পণ করেছিলেন, যেভাবেই হোক শিখরে পৌঁছাতেই হবে। তার জন্য কী না করেছেন। মুম্বাইয়ে প্লে বয় নামের একটি দর্জির দোকান ছিল। বলিউডের বড় বড় তারকারা সেখানে জামা স্যুট বানাতে দিতেন। যদি কোনও বড় ডিরেক্টর বা অভিনেতার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ মেলে, তাই রোজ সেই দোকানে যেতেন মিঠুন। সেখানেই একদিন ভবিষ্যতের এক হিরোর বাবার সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। তিনি ছিলেন সলমান খানের বাবা সেলিম খান। সলমান খান তখনও শিশু। আর সেলিম-জাভেদ জুটি বলিউডে বিরাট হিট। ‘শোলে’-এর মতো হিট ছবি তাঁদের কলম থেকে বেরিয়েছিল। সেলিম খান দোকানে বসে থাকা মিঠুনকে দেখে বলেছিলেন, ‘তোমার চোখ-মুখ দেখলেই বোঝা যায় অভিনয়ের খিদে আছে তোমার মধ্যে। কাজ করবে’ ?
Mithun Chakraborty: এক দর্জির দোকানে প্রথম দেখেই মিঠুনকে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন এই বলি হিরোর বাবা

এযেন না চাইতেই স্বর্গ পাওয়া। মিঠুন সঙ্গে সঙ্গে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি কাজ করতে চাই। পুণের এফটিটিআই থেকে পাশ করেছি। অনেক দিন থেকে ঘুরছি। কিন্তু কোনও কাজ পাচ্ছি না’। সব কথা শুনে সেলিম খান একটি কাগজে যশ চোপড়ার ঠিকানা আর একটি চিঠি লিখে দিয়ে বলেছিলেন, ‘যশ চোপড়ার বাড়ি যাও। বলবে আমি পাঠিয়েছি’। যশ চোপড়া তখন তাঁর ‘ত্রিশূল’ ছবির জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন। মিঠুন তাঁর সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী সুযোগ পাননি। তবে সেলিম খানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ মনোবল বাড়িয়েছিল। তিনি আজও সেলিম খানের কাছে কৃতজ্ঞ।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.