২০১০ সাল থেকে ‘কেল্লাফতে’ দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এই ১৩ বছরে ২০টির বেশি ছবি করেছেন। তার সুপারহিট ক’টা ? আচ্ছা বাদ দিন। সুপারহিট ছেরে দিন। অ্যাভারেজ হিট হয়েছে ক’টি ? উত্তর আসবে একটিও না। ১৩ বছরের কেরিয়ারে একটি সিনেমাও বক্স অফিসে কামাল করতে পারেনি। অথচ, ২৪ জুলাই উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবসে সেই ‘ফ্লপ’ নায়কের হাতে তুলে দেওয়া হল মহানায়ক সম্মান। রঙ্গে ভরা বঙ্গ। সব কিছু সম্ভব। আগের বার দেবকে ‘মহানায়ক সম্মান’ দেওয়া নিয়ে কম খিল্লি হয়নি। এবার অঙ্কুশ ‘মহানায়ক’ হতেই রে রে করে উঠল নেটপাড়া। হাসির রোল উঠেছে। আবার উঠেছে প্রশ্ন। জিত এত বছর ধরে এতগুলি হিট ছবি দেওয়ার পরও সম্মান দেওয়ার সময় তাঁর নাম রাজ্য সরকার বাহাদুরের কেন মনে পড়ে না ? নাকি পিছনে সেই রাজনীতি। তৃণমূলের হয়ে ভোট প্রচারে মুখ হয় না দেখেই কি জিত ‘মহানায়ক’ নন ? অঙ্কুশ তো সেখানে এক পায়ে এগিয়ে।
অঙ্কুশ সিনেমা নিয়ে যত বেশি চর্চায় থাকেন তার চেয়ে বেশি আলোচনায় থাকেন প্রেম নিয়ে। সিরিয়ালের অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেনের সঙ্গে খুল্লামখুল্লা রোমান্স, বিদেশে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া ইত্যাদির ছবি সোশ্যাল সাইটে বেশি দিয়ে থাকেন। সিনেমা কালেভদ্রে একটা আসে। কিছুদিন আগে রিলিজ হয় ‘আবার বিবাহ অভিযান’। বক্স অফিসে চূড়ান্ত ফ্লপ। যাই হোক, তবু তিনি মহানায়ক। নেটপাড়া এই নিয়ে লিখেছে, ‘এটাই দেখার বাকি ছিল’। অপর একজন লিখেছেন, পুরস্কার গ্রহণ না করলে নিজের কেরিয়ারে ‘গ্রহণ’ লেগে যেত। মহানায়কের নামে পুরস্কার চালু নিয়েও আপত্তি তুলেছেন কেউ কেউ।
অঙ্কুশের জবাব
চালাক অভিনেতা। ট্রোল হবে জেনেই আগেই থেকেই উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। ইন্সটাগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার ছবি দিয়ে আবেগঘন পোস্ট লিখেছেন ‘মহানায়ক’ অঙ্কুশ। তিনি লিখেছেন, ‘পুরস্কার অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই গ্রহণ করলাম। প্রচুর পরিশ্রম বাকি নিজেকে এই পুরস্কারের যোগ্য করে তোলার জন্য। আপাতত আমার মত একজন সামান্য নায়ককে সরকারের তরফ থেকে ‘মহানায়ক’ সম্মান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। চোখের সামনে সাজিয়ে রেখে দেব যাতে রোজ চোখ পড়লেই নিজেকে বলি ভগবান দয়া করে ভাগ্যবান বানিয়েছেন। যোগ্যতা পরিশ্রম করে নিজেকে অর্জন করতে হবে’। লেখা পড়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ট্রোলের জবাব আগেভাগেই দিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতেও ট্রোল্ড হওয়া বন্ধ হচ্ছে না।অঙ্কুশ সিনেমা নিয়ে যত বেশি চর্চায় থাকেন তার চেয়ে বেশি আলোচনায় থাকেন প্রেম নিয়ে। সিরিয়ালের অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেনের সঙ্গে খুল্লামখুল্লা রোমান্স, বিদেশে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া ইত্যাদির ছবি সোশ্যাল সাইটে বেশি দিয়ে থাকেন। সিনেমা কালেভদ্রে একটা আসে। কিছুদিন আগে রিলিজ হয় ‘আবার বিবাহ অভিযান’। বক্স অফিসে চূড়ান্ত ফ্লপ। যাই হোক, তবু তিনি মহানায়ক। নেটপাড়া এই নিয়ে লিখেছে, ‘এটাই দেখার বাকি ছিল’। অপর একজন লিখেছেন, পুরস্কার গ্রহণ না করলে নিজের কেরিয়ারে ‘গ্রহণ’ লেগে যেত। মহানায়কের নামে পুরস্কার চালু নিয়েও আপত্তি তুলেছেন কেউ কেউ।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box