শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পর থেকে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে শিমূলের সঙ্গে। নানা বিষয়ে শাশুড়ি তাঁকে উঠতে বসতে খোঁটা দিচ্ছেন। এমনকি দেনা-পাওনা নিয়েও বউভাতের আসরে নতুন বউকে কথা শোনান। সম্প্রতি ‘কার কাছে কই মনের কথা’ সিরিয়ালের শিমূল আর পরাগের বিয়ে দেখানো হচ্ছে। নতুনত্ব কিছু নেই। সেই এক শাশুড়ি-বউমার কাজিয়া। কিন্তু ছেলের ফুলশয্যায় রাতে মা যা করলেন, তা সত্যি অভিনব। প্রশ্ন উঠেছে, TRP বাড়াতে আর কত নীচে নামবে বাংলা সিরিয়াল। শিমূল আর পারুলের ফুলশয্যা। সেই ঘরে কড়া নাড়ছেন শাশুড়ি। হঠাৎ অসুস্থ বোধ করছেন তিনি। এতটাই অসুস্থ যে নড়বার ক্ষমতা নেই। নানা অছিলায় ছেলের বিছানায় শুয়ে পড়েন তিনি। পাশে ছেলে। অন্যদিকে, সোফায় বসে রাত কাটায় শিমূল। সিরিয়ালে এই দৃশ্য দেখানোর পর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সিরিয়াল বন্ধের দাবী
সামাজিক মাধ্যমের পাতায় এই দৃশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে এমন গল্প কতটা যুক্তি সঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফুলশয্যা ভন্ডুল করে দিলেন শাশুড়ি। এই দৃশ্য অন্যভাবে দেখানো যেতে পারত। অন্তত ওই খাটে মা-ছেলেকে পাশাপাশি দেখানো কতটা রুচিশীল ? উঠেছে সেই প্রশ্ন। অনেকে অবিলম্বে সিরিয়াল বন্ধের দাবী তুলেছেন। কেউ লেখকের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। উঠেছে সিরিয়াল বয়কটের পক্ষে সওয়াল। এমন পরিস্থিতিতে কী বলছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ?
কী বলছেন ‘শাশুড়ি’ ঋতা দত্ত চক্রবর্তী ?
এই ব্যাপারে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল, এই দৃশ্যের অভিনেত্রী ঋতা দত্ত চক্রবর্তীর সঙ্গে। যিনি এখানে শাশুড়ির ভূমিকায় অভিনয় করছেন। তাঁর বক্তব্য সোজাসাপ্টা। ঋতা বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে কী লেখা হচ্ছে, তা নিয়ে আমি অবগত নই। কারণ আমি ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামে নেই। সিরিয়ালে যা দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে হয়তো শহুরে বা আধুনিক সমাজের মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। লেখক কিছু একটা ভেবে তো এই দৃশ্য লিখেছেন। আর যারা মা ও ছেলের ফুলশয্যা নিয়ে নোংরা মন্তব্য করছেন তারা বিকৃত মানসিকতার শিকার। ছেলে বড় হলে কী মায়ের সঙ্গে ঘুমায় না’ ?
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box