বাংলায় এখন চার থেকে পাঁচটি বিনোদন চ্যানেল। আর এইসব চ্যানেলে বিনোদন বলতে বাংলা ধারাবাহিক। কোনওটি রমরম করে চলছে। TRP ওঠানামার খেলায় কোনও সিরিয়াল সুপারহিট, আর কোনওটি দর্শকের অভাবে অকালে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কেউ চলছে অনন্তকাল। তবে সিরিয়াল তো এমনি চলে না। তার ভিতর মাল-মশলা দিতে হয়। মানে ‘দর্শক যা খাবে’। ভালো রুচিশীল বা উন্নতমানের সিরিয়াল এখন আর হয় না। প্রতিটি সিরিয়ালে শাশুড়ি-বউমার দ্বন্দ্ব। নয়তো পরকীয়া। এক ছেলের একাধিক বিয়ে। জটিল থেকে জটিলতর হয় সেই সব সিরিয়ালের গল্প। তবে যতই নিন্দা হোক, দর্শক দেখছে তো। তার উপরে তো আর কোনও কথা হতে পারে না। আর দর্শক টেনে নিয়ে আসার পিছনে যেসব কারিগর (writer) আছেন, আজকের প্রতিবেদনে তাঁদের সঙ্গে আলাপ হবে।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ঃ গৌতম হালদারের ‘ভালো থেকো’ সিনেমার গল্প লিখে প্রথম লেখিকা হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত হন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। এখন তিনি সিরিয়ালের লেখিকা হিসেবে রীতিমতো বিখ্যাত। যাঁর ভক্ত স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বউ কথা কও’, ‘ইষ্টিকুটুম’, ‘জলনুপুর’, ‘চোখের তারা তুই’, ‘সাত পাকে বাঁধা’ ইত্যাদি একাধিক হিট সিরিয়ালের লেখিকা তিনি। লীনা গাঙ্গুলীকে ‘পরকীয়ার ডিপো’ বলে নেটিজেনরা। তার উপর সিরিয়ালে এক নায়ক বা নায়িকার উদ্ভট বিয়ে দেখানো তাঁর স্বভাব। তার উপর একাধিক বিয়ে তো আছেই। এককালে তাই দর্শক গোগ্রাসে দেখেছে। এখন আর লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সিরিয়ালের দর্শক কমতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে শুরুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় ‘বালিঝড়’। এখন স্টার জলসায় চলছে ‘এক্কা দোক্কা’ ও ‘গুড্ডি’। সেই সিরিয়াল দুটিও অবস্থা খুব ভালো নয়।
স্নেহাশিষ চক্রবর্তীঃ ব্লুজ প্রোডাকশন হাউসের কর্ণধার স্নেহাশিষ চক্রবর্তী। তাঁর লেখা ও প্রযোজিত একাধিক সিরিয়াল যেমন ‘ভজ গোবিন্দ’, ‘খোকাবাবু’, ‘যমুনা ঢাকি’ হিট করেছে। এখন ‘জগদ্ধাত্রী’ ও ‘মাধবীলতা’ চলছে। তাঁর সিরিয়ালের বিশেষত্ব হল হিন্দি গানের ব্যবহার। আগে সিরিয়ালের জন্য আলাদা করে গান রেকর্ডিং হত। কিন্তু এখন স্নেহাশিষ চক্রবর্তীর মতো প্রযোজক ওই ঝামেলায় যান না। হিন্দি সিনেমার গান বাংলা সিরিয়ালে বিন্দাস ব্যবহার করে দিচ্ছেন। ধীরে ধীরে নষ্ট করছেন বাংলা সংস্কৃতি।
সুশান্ত দাসঃ স্টার জলসার অন্যতম হিট ধারাবাহিক ছিল ‘কে আপন কে পর’। যার লেখক ছিলেন সুশান্ত দাস। জি বাংলার ‘কৃষ্ণকলি’ও বেরিয়েছে তাঁর কলম থেকে। এছাড়া ‘তিতলি’, ‘আলতা ফড়িং’ ও ‘বাংলা মিডিয়াম’ সিরিয়াল তিনি লিখছেন।
অর্ক গাঙ্গুলীঃ লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ক এখন সিরিয়ালের লেখক। এই মুহূর্তের সবথেকে বিতর্কিত সিরিয়াল ‘কার কাছে কই মনের কথা’-এর লেখক তিনি। যেখান ফুলশয্যার রাতে বউয়ের বদলে মা ছেলের খাটে শুয়ে আছেন দেখানো হয়েছে। আর তা নিয়ে রীতিমতো ছিঃ ছিঃ পড়ে গিয়েছে।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ঃ গৌতম হালদারের ‘ভালো থেকো’ সিনেমার গল্প লিখে প্রথম লেখিকা হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত হন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। এখন তিনি সিরিয়ালের লেখিকা হিসেবে রীতিমতো বিখ্যাত। যাঁর ভক্ত স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বউ কথা কও’, ‘ইষ্টিকুটুম’, ‘জলনুপুর’, ‘চোখের তারা তুই’, ‘সাত পাকে বাঁধা’ ইত্যাদি একাধিক হিট সিরিয়ালের লেখিকা তিনি। লীনা গাঙ্গুলীকে ‘পরকীয়ার ডিপো’ বলে নেটিজেনরা। তার উপর সিরিয়ালে এক নায়ক বা নায়িকার উদ্ভট বিয়ে দেখানো তাঁর স্বভাব। তার উপর একাধিক বিয়ে তো আছেই। এককালে তাই দর্শক গোগ্রাসে দেখেছে। এখন আর লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সিরিয়ালের দর্শক কমতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে শুরুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় ‘বালিঝড়’। এখন স্টার জলসায় চলছে ‘এক্কা দোক্কা’ ও ‘গুড্ডি’। সেই সিরিয়াল দুটিও অবস্থা খুব ভালো নয়।
স্নেহাশিষ চক্রবর্তীঃ ব্লুজ প্রোডাকশন হাউসের কর্ণধার স্নেহাশিষ চক্রবর্তী। তাঁর লেখা ও প্রযোজিত একাধিক সিরিয়াল যেমন ‘ভজ গোবিন্দ’, ‘খোকাবাবু’, ‘যমুনা ঢাকি’ হিট করেছে। এখন ‘জগদ্ধাত্রী’ ও ‘মাধবীলতা’ চলছে। তাঁর সিরিয়ালের বিশেষত্ব হল হিন্দি গানের ব্যবহার। আগে সিরিয়ালের জন্য আলাদা করে গান রেকর্ডিং হত। কিন্তু এখন স্নেহাশিষ চক্রবর্তীর মতো প্রযোজক ওই ঝামেলায় যান না। হিন্দি সিনেমার গান বাংলা সিরিয়ালে বিন্দাস ব্যবহার করে দিচ্ছেন। ধীরে ধীরে নষ্ট করছেন বাংলা সংস্কৃতি।
সুশান্ত দাসঃ স্টার জলসার অন্যতম হিট ধারাবাহিক ছিল ‘কে আপন কে পর’। যার লেখক ছিলেন সুশান্ত দাস। জি বাংলার ‘কৃষ্ণকলি’ও বেরিয়েছে তাঁর কলম থেকে। এছাড়া ‘তিতলি’, ‘আলতা ফড়িং’ ও ‘বাংলা মিডিয়াম’ সিরিয়াল তিনি লিখছেন।
অর্ক গাঙ্গুলীঃ লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ক এখন সিরিয়ালের লেখক। এই মুহূর্তের সবথেকে বিতর্কিত সিরিয়াল ‘কার কাছে কই মনের কথা’-এর লেখক তিনি। যেখান ফুলশয্যার রাতে বউয়ের বদলে মা ছেলের খাটে শুয়ে আছেন দেখানো হয়েছে। আর তা নিয়ে রীতিমতো ছিঃ ছিঃ পড়ে গিয়েছে।





No comments:
please do not enter any spam link in the comment box