Kharja Mukherjee birthday: এক সময় লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, কাজ পাইনি, জন্মদিনে অকপট খরাজ মুখোপাধ্যায়
৭ জুলাই ৬০-এ পা দিলেন অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায়। অর্থাৎ এখন থেকে তিনি সিনিয়র সিটিজেন। মাত্র ২০ বছর বয়স থেকে অভিনয়ে হাতেখড়ি। প্রায় ৩০ বছর ধরে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। জন্মদিনে (birthday) দেওয়া সাক্ষাৎকারে জীবনের নানা দিক নিয়ে অকপট খরাজ মুখোপাধ্যায়। বাড়িতে বড় করে না হলেও কেক কেটে ছোট করে পালন হয় জন্মদিন। এইদিন কাজ না রাখার অনুরোধ করেন বাড়ির সবাই। তবে প্রতিবার সেটা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। জন্মদিনে স্মৃতির সরণী বেয়ে হেঁটেছেন অভিনেতা। জানিয়েছেন, একসময় বাবা অভিনয়ের মতো ভীষণ অনিশ্চিত পেশা বেছে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশ তিনি রাখতে পারেননি। বাবার অমতেই অভিনেতা হয়ে ছিলেন। প্রথম জীবনে রেলের চাকরি পেয়েছিলেন। চাকরি করতে করতেই টুকটাক অভিনয় করতেন। এতে কাজের ক্ষতি হত।
কীভাবে এত মোটা হলেন ?
নিজের মধ্যে একটা অনুশোচনা হত। কাজ ফেলে অভিনয় করার তাঁর ভালো লাগত না। স্ত্রীকে একদিন মনের কথা জানালেন। স্ত্রী প্রতিভা মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, যেটা ভালো লাগে, সেটাই কর। তারপর ছেড়ে দিলেন চাকরি। পুরোদমে অভিনয় শুরু করলেন। নাটক দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল। নিজের গুরুর আসনে তিনি নাট্যব্যক্তিত্ব রমাপ্রসাদ বণিককে রেখেছেন। অকপটে স্বীকার করেন, রমাদা না থাকলে তিনি অভিনেতা হতে পারতেন না। হাতে ধরে কাজ শিখিয়ে ছিলেন।READ MORE: কোথায় হারিয়ে গেলেন ‘বয়েই গেল’ সিরিয়ালের নায়ক রোহিত সামন্ত ? এখন কী করছেন তিনি ?
কেরিয়ারের শুরুর দিকে খুব রোগা ছিলেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। কিন্তু তখন কাজ পেতেন না। লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, কেউ কাজ দেয়নি। একবার রানাঘাটের কাছে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। গুরুতর জখম হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, খুব বেশি ব্যায়াম তাঁর করা যাবে না। এরপরই মোটা হতে লাগলেন। আর মোটা হয়ে লাভও হল। ভালো কাজ পেতে লাগলেন। সিনেমায় তিনি কমেডি অভিনেতা। আর স্টেজে মিমিক্রি শিল্পী। রবি ঘোষ, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রঞ্জিত মল্লিক সবার নকল করে দেখাতে পারেন। একবার মমতা শঙ্করের ছেলে রাতুলের বিয়েতে রঞ্জিত মল্লিকের সামনেই তাঁর নকল করে দেখিয়েছিলেন।
এখনও সুযোগ পেলে বাড়িতে রান্না করতে ভালোবাসেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। তাঁর ছেলে মাংস, স্ত্রী মাছ আর বউমা সবজি রান্না খেতে খুব পচ্ছন্দ করেন। বন্ধুরা ডাঁটা চচ্চড়ি আর নুডলস খেতে পচ্ছন্দ করেন। সিনেমা থেকে ফাঁক পেলে বীরভূমের পাথাইয়ের গ্রামের বাড়িতে চলে যান। ঠিক করেছেন অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর গ্রামের বাড়িতে গিয়েই থাকবেন। কুঁতিয়ে কুঁতিয়ে রোজগার তিনি করবেন না। গ্রামের বাড়িতে রাধাগোবিন্দের মন্দির আছে। নিত্যসেবা হয়। জীবনের বাকি দিন সেখানেই কাটাবেন অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায়।
কেরিয়ারের শুরুর দিকে খুব রোগা ছিলেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। কিন্তু তখন কাজ পেতেন না। লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, কেউ কাজ দেয়নি। একবার রানাঘাটের কাছে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। গুরুতর জখম হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, খুব বেশি ব্যায়াম তাঁর করা যাবে না। এরপরই মোটা হতে লাগলেন। আর মোটা হয়ে লাভও হল। ভালো কাজ পেতে লাগলেন। সিনেমায় তিনি কমেডি অভিনেতা। আর স্টেজে মিমিক্রি শিল্পী। রবি ঘোষ, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রঞ্জিত মল্লিক সবার নকল করে দেখাতে পারেন। একবার মমতা শঙ্করের ছেলে রাতুলের বিয়েতে রঞ্জিত মল্লিকের সামনেই তাঁর নকল করে দেখিয়েছিলেন।
এখনও সুযোগ পেলে বাড়িতে রান্না করতে ভালোবাসেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। তাঁর ছেলে মাংস, স্ত্রী মাছ আর বউমা সবজি রান্না খেতে খুব পচ্ছন্দ করেন। বন্ধুরা ডাঁটা চচ্চড়ি আর নুডলস খেতে পচ্ছন্দ করেন। সিনেমা থেকে ফাঁক পেলে বীরভূমের পাথাইয়ের গ্রামের বাড়িতে চলে যান। ঠিক করেছেন অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর গ্রামের বাড়িতে গিয়েই থাকবেন। কুঁতিয়ে কুঁতিয়ে রোজগার তিনি করবেন না। গ্রামের বাড়িতে রাধাগোবিন্দের মন্দির আছে। নিত্যসেবা হয়। জীবনের বাকি দিন সেখানেই কাটাবেন অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায়।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box