Megastar Rajanikant early life: বাসের কন্ডাক্টরি করে পেট চলত না, রজনীকান্তের ঘুরে দাঁড়ানো সিনেমার থেকে কম কিছু নয়
তাঁর ছবি রিলিজ হলে রাস্তা-ঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। সারা রাত মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কেনেন, শুধু কি তাই, সিনেমা রিলিজের দিন অফিস-আদালত ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এতটাই প্রভাবশালী তিনি। তিনি আর কেউ নন, ভারতীয় সিনেমার মেগাস্টার রজনীকান্ত। সাউথের মানুষ তাঁকে ‘থালাইভা’ নামে ডাকে। থালাইভা মানে বড় দাদা। তিনি সত্যি বড়। অভিনয়ের জোরে আর অসংখ্য হিট সিনেমা দিয়ে নিজের জায়গা তৈরি করতে পেরেছেন তিনি। যা আর কোনও অভিনেতা করতে পারেননি। ভারতের সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। বছরে খুব বেশি সিনেমা তিনি করেন না। কিন্তু যখন করেন তখন রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। শুধু সাউথ কেন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডের মতো একাধিক দেশে রজনীকান্তের সিনেমা নিয়ে চূড়ান্ত মাতামাতি হয়।
১৯৫০ সালের ১২ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে জন্ম গ্রহণ করেন রজনীকান্ত। খুব নিম্নবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। খুব অল্প বয়স থেকেই রোজগার শুরু করেন। প্রথম জীবনে বাসের কন্ডাকটর ছিলেন। বাবা রামোজি রাও গায়কোয়ারড ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল। মাত্র নয় বছর বয়সে মাকে হারান রজনীকান্ত। প্রাথমিক শিক্ষার পর দাদা তাঁকে রামকৃষ্ণ মিশনে রেখে আসেন। সেখানেই আধ্যত্মিকতার প্রতি টান বাড়ে। বেদ, উপনিষদ ইত্যাদি পড়েছিলেন। রামকৃষ্ণ মিশনে ছোট থেকেই ধর্মীয় চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। পড়াশোনা শেষ করার পর নানা ধরণের কাজ করেছেন। এমনকি কুলি হিসেবেও কাজ করেছেন। তারপর বেঙ্গালুরু বাস সার্ভিসে কন্ডাকটর হিসেবে কাজ পান। তবে নাটকে অভিনয় তিনি ছাড়েননি। অভিনয় ভালো করে শেখার জন্য মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিউটিশনে ভর্তি হন। বাড়ি অবশ্য তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। বন্ধুদের উৎসাহে অভিনয় চালিয়ে যান। একটি নাটকে পরিচালক কে বালাচন্দ্রণের নজরে পড়েন। বাকিটা ইতিহাস।
এখন সাউথের সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। আগামী ছবি ‘জেলার’-এর জন্য ১৫০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। চেন্নাইয়ের অভিজাত এলাকায় থাকেন। শূন্য থেকে শুরু করে এখন ৩৫ কোটির বাড়িতে থাকেন। ৭২ বছরের রজনীকান্তের গাড়ির খুব সখ। একাধিক গাড়ির মধ্যে ১৬ কোটি টাকা দামের রোলস রয়েস ফ্যান্টাম ও ৬ কোটি দামের রোলস রয়েস ঘোস্ট আছে তাঁর কাছে। আনুমানিক ৪৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক রজনীকান্ত।
প্রথম জীবন
সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মাননি তিনি। সিনেমা জগতে রজনীকান্তের কোনও গডফাদার ছিল না (Megastar Rajanikant early life) । যতটুকু অর্জন করেছেন, সবটাই নিজের দমে ও পরিশ্রমে। এখন তাঁর প্রভাব এতটাই যে সিবিএসসি বোর্ডের পাঠ্যক্রমে স্থান পেয়েছেন রজনীকান্ত। অভিনেতা হিসেবে এমন কৃতিত্ব আর কোনও অভিনেতার নেই। প্রকৃত নাম শিবাজী রাও গায়কোওয়ারড। ছত্রপতি শিবাজীর নামানুসারে তাঁর নামকরণ হয়। ১৯৭৫ সালে অভিনয়ে পা রাখেন তিনি। প্রথম তামিল ছবি কে বালাচন্দ্রণের ‘অপূর্বা রাগাংগাল’। প্রথম সিনেমা থেকেই ইউনিক স্টাইল ও অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার জোরে দর্শক মনে জায়গা করে নেন।১৯৫০ সালের ১২ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে জন্ম গ্রহণ করেন রজনীকান্ত। খুব নিম্নবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। খুব অল্প বয়স থেকেই রোজগার শুরু করেন। প্রথম জীবনে বাসের কন্ডাকটর ছিলেন। বাবা রামোজি রাও গায়কোয়ারড ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল। মাত্র নয় বছর বয়সে মাকে হারান রজনীকান্ত। প্রাথমিক শিক্ষার পর দাদা তাঁকে রামকৃষ্ণ মিশনে রেখে আসেন। সেখানেই আধ্যত্মিকতার প্রতি টান বাড়ে। বেদ, উপনিষদ ইত্যাদি পড়েছিলেন। রামকৃষ্ণ মিশনে ছোট থেকেই ধর্মীয় চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। পড়াশোনা শেষ করার পর নানা ধরণের কাজ করেছেন। এমনকি কুলি হিসেবেও কাজ করেছেন। তারপর বেঙ্গালুরু বাস সার্ভিসে কন্ডাকটর হিসেবে কাজ পান। তবে নাটকে অভিনয় তিনি ছাড়েননি। অভিনয় ভালো করে শেখার জন্য মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিউটিশনে ভর্তি হন। বাড়ি অবশ্য তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। বন্ধুদের উৎসাহে অভিনয় চালিয়ে যান। একটি নাটকে পরিচালক কে বালাচন্দ্রণের নজরে পড়েন। বাকিটা ইতিহাস।
এখন সাউথের সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। আগামী ছবি ‘জেলার’-এর জন্য ১৫০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। চেন্নাইয়ের অভিজাত এলাকায় থাকেন। শূন্য থেকে শুরু করে এখন ৩৫ কোটির বাড়িতে থাকেন। ৭২ বছরের রজনীকান্তের গাড়ির খুব সখ। একাধিক গাড়ির মধ্যে ১৬ কোটি টাকা দামের রোলস রয়েস ফ্যান্টাম ও ৬ কোটি দামের রোলস রয়েস ঘোস্ট আছে তাঁর কাছে। আনুমানিক ৪৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক রজনীকান্ত।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box