Amitabh Bachchan and Kader khan friendship: বিগবিকে ‘স্যার’ না বলার মাশুল দিতে হয়েছিল, মৃত্যুর আগে সেই কাহিনী বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন কাদের খান
তাঁর লেখা চোখা চোখা সংলাপ বলে অমিতাভ বচ্চন থেকে ‘বিগবি’ হয়েছেন। মানুষ হাততালি দিয়ে ‘গুরু’ ‘গুরু’ বলে চিৎকার করেছে। পর্দা কাঁপানো সেই সব সংলাপ যিনি লিখেছিলেন, সেই ব্যক্তিকেই একসময় চরম অপমান করেছিলেন অমিতাভ। ভেঙে যায় দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। মৃত্যুর আগে একটি সাক্ষাৎকারে সেই কাহিনী বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন অভিনেতা কাদের খান। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সদূর কানাডায় প্রয়াত হন কাদের খান। মানুষ চলে গেলেও তাঁর কাহিনীগুলি থেকে যায়। রয়ে যায় অনেক কথা। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে একাধিক স্ক্রিন শেয়ার করেছেন কাদের খান। কোথাও ভিলেন, কোনটায় দাদা আবার কোথাও বন্ধু। রিল লাইফের বন্ধুত্ব আসল লাইফেও তৈরি হয়েছিল (Amitabh Bachchan and Kader khan friendship) । কিন্তু বিগবি’র পক্ষ থেকে এমন একটা আঘাত এসেছিল যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।
ভালো লেখক হলেও কাদের খানের কোনওদিন অহংকার ছিল না। তিনি বিশ্বাস করতেন, অহংকার খুব খারাপ জিনিস। মানুষের সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। বরাবর অমিতাভ বচ্চনকে ‘অমিত’ বলে ডাকতেন কাদের খান। বিগবি বড় স্টার হয়ে যাওয়ার পর সবাই তাঁকে ‘স্যারজি’ বলে ডাকত। একবার অমিতাভ বচ্চন শ্যুটিং ফ্লোরে বসেছিলেন। সেখানে তাঁকে ‘অমিত’ নামে ডাকেন কাদের খান। কোনও উত্তর না দিয়ে উঠে যান তিনি। কি হল বুঝতে পারেননি কাদের খান। অমিত কেন সাড়া দিল না। এই ভাবনার মধ্যে ছবির সাউথের প্রযোজক এসে বলেন, ‘আপনি স্যারজিকে অমিত নামে ডাকবেন না। স্যারজি বলবেন। উনি এখন খুব বড় মানুষ’।
অবাক হয়ে যান কাদের খান। তিনি জানান, অমিতকে তিনি স্যারজি বলতে পারবেন না। চিরকাল অমিত নামে ডাকেন। সেই সিনেমা থেকে বাদ যান কাদের খান। বিষয়টি নিয়ে এতটাই আঘাত পেয়েছিলেন তিনি যে ‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’ সিনেমার চিত্রনাট্য অর্ধেক লিখে ছেড়ে দিয়েছিলেন। তারপর অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে আর কোনও দিন কাজ করেননি কাদের খান। সেদিনের সেই অপমান আমৃত্যু পর্যন্ত ভোলেননি।
কী সেই ঘটনা ?
‘শোলে’ ছবির জয়-বীরুর মতো বন্ধুত্ব ছিল অমিতাভ-কাদেরের। কিন্তু একটা সময় সেটা ভেঙে যায়। সম্পর্ক এতটাই তিক্ত হয়ে গিয়েছিল যে, দুজনে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। একটি সাক্ষাৎকারের সেই কাহিনী তুলে ধরেছিলেন কাদের খান। অভিনয়ের পাশাপাশি সংলাপ লেখার ভালো হাত ছিল কাদের খানের। অমিতাভের ‘মুক্কাদ্দার কা সিকান্দার’, ‘সুহাগ’, ‘শাহেনশা’, ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’, ‘কালিয়া’ ইত্যাদি নানা সিনেমার ডাইলগ লিখেছিলেন তিনি। আর সেই সূত্রে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।ভালো লেখক হলেও কাদের খানের কোনওদিন অহংকার ছিল না। তিনি বিশ্বাস করতেন, অহংকার খুব খারাপ জিনিস। মানুষের সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। বরাবর অমিতাভ বচ্চনকে ‘অমিত’ বলে ডাকতেন কাদের খান। বিগবি বড় স্টার হয়ে যাওয়ার পর সবাই তাঁকে ‘স্যারজি’ বলে ডাকত। একবার অমিতাভ বচ্চন শ্যুটিং ফ্লোরে বসেছিলেন। সেখানে তাঁকে ‘অমিত’ নামে ডাকেন কাদের খান। কোনও উত্তর না দিয়ে উঠে যান তিনি। কি হল বুঝতে পারেননি কাদের খান। অমিত কেন সাড়া দিল না। এই ভাবনার মধ্যে ছবির সাউথের প্রযোজক এসে বলেন, ‘আপনি স্যারজিকে অমিত নামে ডাকবেন না। স্যারজি বলবেন। উনি এখন খুব বড় মানুষ’।
অবাক হয়ে যান কাদের খান। তিনি জানান, অমিতকে তিনি স্যারজি বলতে পারবেন না। চিরকাল অমিত নামে ডাকেন। সেই সিনেমা থেকে বাদ যান কাদের খান। বিষয়টি নিয়ে এতটাই আঘাত পেয়েছিলেন তিনি যে ‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’ সিনেমার চিত্রনাট্য অর্ধেক লিখে ছেড়ে দিয়েছিলেন। তারপর অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে আর কোনও দিন কাজ করেননি কাদের খান। সেদিনের সেই অপমান আমৃত্যু পর্যন্ত ভোলেননি।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box