Jishu Sengupta: বিশ্বরূপ থেকে যীশু, কেন বাবা-মায়ের দেওয়া নাম পাল্টে ছিলেন ? ২২ বছর পর জানা গেল আসল কারণ
একটা সময় ছিল যখন টিকে থাকার জন্য যাত্রা করতেন যীশু। এখন তিনি শুধু বাংলা নয়, ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে সদূর মুম্বাই থেকে চেন্নাই। হিন্দির পাশাপাশি সাউথের চেনা মুখ যীশু সেনগুপ্ত। কিন্তু শুরুটা এমন ছিল না। রীতিমতো স্ট্রাগল করতে হয়েছে তাঁকে। কেউ তেমন পাত্তা দিত না। ১৯৯৮ সালে ‘মহাপ্রভু’-এর মতো সুপারহিট সিরিয়ালে অভিনয় করেও টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা পাননি। কিছু সিনেমা তখন করেছিলেন। কিন্তু সেগুলি সুপারফ্লপ হওয়ায় কেরিয়ার আরও পিছন দিকে চলে যায়। তখন ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে কয়েক বছর যাত্রা পর্যন্ত করেছিলেন। তলিয়ে যাওয়া থেকে যীশুকে উদ্ধার করেছিলেন পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। ‘নৌকাডুবি’, ‘আবহমান’ থেকে ‘চিত্রাঙ্গদা’। পরপর বেশ কয়েকটি ছবিতে যীশুকে ভালো চরিত্র দিয়েছিলেন তিনি। আর সেটাই হয় টার্নিং পয়েন্ট। ঋতুপর্ণের ছবিতে অভিনয় করার পর বাংলা ইন্ডাস্ট্রি যীশুকে সিরিয়াসলি নিতে শুরু করে। ঘুরে দাঁড়ান যীশু সেনগুপ্ত (Jishu Sengupta)।
কেন নাম বদলালেন ?
শুনলে অবাক হবেন আজকের বিখ্যাত অভিনেতা যীশুর প্রথম প্রেম কিন্তু সিনেমা ছিল না। ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন তিনি। ভাগ্য তাঁকে সিনেমায় নিয়ে আসে। অভিনয়ে আসার পর নিজের নাম বদলে ফেলেন। প্রকৃত নাম বিশ্বরূপ সেনগুপ্ত। হলেন যীশু সেনগুপ্ত। কিন্তু কেন নাম বদলে ছিলেন। প্রায় ২২ বছর পর সেই কারণ জানা গেল। ১৯৯৮ সালে ‘মহাপ্রভু’তে অভিনয় করেন। অনেকেই হয়ত ভাবেন এটাই যীশুর প্রথম কাজ। তা নয়। এর আগে যীশু দূরদর্শনের একটি টেলিফ্লিমে অভিনয় করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ১৬-১৭ হবে। সেই টেলিফ্লিমের পরিচালক ছিলেন অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়।অভিনেতা জানান, যীশু আসলে তাঁর ডাকনাম। আর মাধবী মুখোপাধ্যায় তাঁকে সেই নামেই চিনতেন। টাইটেল কার্ডে তিনি যীশু নামটাই রাখবেন বলে জানান। ১৭ বছরের বিশ্বরূপ তাতে কোনও আপত্তি করেননি। সেই থেকেই বিশ্বরূপ হয়ে গেলেন যীশু। এখন সেই নামেই তিনি সারা ভারতে পরিচিত। বিশ্বরূপ সেনগুপ্ত যে তাঁর আসল নাম তা অনেকেই জানেন না।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box