Jadavpur university: যাদবপুরের অন্দরের কীর্তি কলাপ ফাঁস করলেন প্রাক্তন ছাত্র অভিনেতা অরিত্র দত্ত বনিক
যাদবপুর ইউনিভার্সিটির সুনাম শুধু দেশে নয়, ছড়িয়ে আছে বিদেশেও। তাই তো অন্য দেশ থেকেও ছাত্ররা পড়তে আসেন এখানে। বলা হয়, এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের গর্ব। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি ছাত্রের রহস্যমৃত্যু ঘটনায় সেই সুনামে কালির ছিটে লেগেছে। প্রথমবর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু হোস্টেলে প্রাক্তনীদের দাদাগিরি, অব্যবস্থা ও র্যাগিং নিয়ে হাজারো প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যাদবপুরকে। দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের (university) অন্দরের অব্যবস্থা কতটা চূড়ান্ত তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। চুপ করে থাকলেন না অরিত্র দত্ত বনিক। তিনি নিজেও যাদবপুরের প্রাক্তনী। কলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের খোল নলচে তুলে ধরলেন তিনি। অরিত্রকে সবাই ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, ‘খোকাবাবু’, ‘চ্যালেঞ্জ’ ইত্যাদি ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।
স্বপ্নদীপের মৃত্যুর জন্য অরিত্র সরাসরি আঙুল তুলেছেন প্রাক্তনীদের দিকে। তিনি জানিয়েছেন, পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রাক্তনীরা চার পাঁচ বছর অনায়াসে হোস্টেলে থেকে যান। কেউ কিছু করতে পারে না। সুপার নজর দিয়েও কিছু করতে পারে না। কারণ, কোনও রাজনৈতিক নেতা ফোন করে জানান, ‘ও আমার লোক, ওকে থাকতে দিন’। ব্যস আর কিছু করার থাকে না। অরিত্রের কথায় এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর নেই বলা হচ্ছে। যখন থাকেন, তখনও তো বহিরাগতদের দাপট দেখা যায়।
সবশেষে অরিত্র বলেন, ‘আপনারা আসলে দায়িত্বজ্ঞানহীন, অকর্মণ্য। ছাত্রদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। ১০০ বছরের ইতিহাস ধুয়ে খাওয়া যায় না। ২০২৩-এর ডেটা দেখান। ২০২৪-এর প্ল্যান বলুন। শিক্ষাটা মজা করার জায়গা নয়। আমরা সুশিক্ষা ও সুব্যবস্থা চাই’।
কী বলছেন অরিত্র ?
যাদবপুরের ছাত্র হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো নয়। তিনি জানান, ঠিকমতো ক্লাস হয় না। অধ্যাপকরা অনুপস্থিত থাকেন। সিলেবাস শেষ হয় না। পরীক্ষার প্রশ্নেও অনেক কারচুপি থাকে। সেই নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ করতে ভয় পান। তাহলে যে পরীক্ষায় নম্বর কমে যাবে। অরিত্র জানিয়েছেন, কলা বিভাগে ক্যাম্পাসিং হয় না। এর জন্য শিক্ষকরা দায়ী। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের চূড়ান্ত হেনস্থা করা হয় ক্লাসে। বাংলা মিডিয়ামের ছেলেদের বলা হয়, তোমরা সাধারণ সরকারি চাকরি কর। আর কনভেন্ট থেকে আসা পড়ুয়াদের বলা হয়, তোমরা গবেষণা কর।স্বপ্নদীপের মৃত্যুর জন্য অরিত্র সরাসরি আঙুল তুলেছেন প্রাক্তনীদের দিকে। তিনি জানিয়েছেন, পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রাক্তনীরা চার পাঁচ বছর অনায়াসে হোস্টেলে থেকে যান। কেউ কিছু করতে পারে না। সুপার নজর দিয়েও কিছু করতে পারে না। কারণ, কোনও রাজনৈতিক নেতা ফোন করে জানান, ‘ও আমার লোক, ওকে থাকতে দিন’। ব্যস আর কিছু করার থাকে না। অরিত্রের কথায় এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর নেই বলা হচ্ছে। যখন থাকেন, তখনও তো বহিরাগতদের দাপট দেখা যায়।
সবশেষে অরিত্র বলেন, ‘আপনারা আসলে দায়িত্বজ্ঞানহীন, অকর্মণ্য। ছাত্রদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। ১০০ বছরের ইতিহাস ধুয়ে খাওয়া যায় না। ২০২৩-এর ডেটা দেখান। ২০২৪-এর প্ল্যান বলুন। শিক্ষাটা মজা করার জায়গা নয়। আমরা সুশিক্ষা ও সুব্যবস্থা চাই’।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box