Jadavpur university student death: যৌ*ন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মর্মান্তিক মৃত্যু, সেদিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল স্বপ্নদীপের সঙ্গে
র্যাগিংয়ের নামে অকথ্য অত্যাচার। চালিয়ে ছিল সিনিয়র দাদারা। যার ফলস্বরূপ ১৮ বছরের তরতাজা তরুণ স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মর্মান্তিক মৃত্যু। উচ্চমাধ্যমিকে প্রায় ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়ে বাংলা নিয়ে উচ্চশিক্ষার আশায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন স্বপ্নদীপ। কিন্তু সেই স্বপ্ন তিনদিনও পেরলো না। বিশ্ববিদ্যালয়ের (university) মেইন হোস্টেলের তিনতলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন তিনি। পরিণতি মৃত্যু। কিন্তু কেন এইভাবে মৃত্যু বেছে নিলেন স্বপ্নদীপ ? ঘটনার দিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল তরুণ ছাত্রের সঙ্গে ? শুনলে আঁতকে উঠবেন।
সংবাদমাধ্যমের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সৌরভ চৌধুরী নামের এক প্রাক্তন ছাত্র ও তাঁর দলবল সেদিন রাতে ভয়াবহ অত্যাচার চালিয়েছিলেন স্বপ্নদীপের উপর। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ছাত্র জানিয়েছেন, সেদিন গভীর রাতে সিনিয়র দাদারা ইন্ট্রো দেওয়ার নাম করে স্বপ্নদীপ ও কয়েকজন নবীন ছাত্রকে ডেকে পাঠায় তাঁদের ঘরে। সেখানে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে বলা হয়। অনেক বাজে বাজে প্রশ্ন শুরু করেন তাঁরা। এক প্রত্যক্ষ দর্শী জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে স্বপ্নদীপকে উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ভ্রান্তের মতো আচরণ করতে দেখা যায়।
স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডু সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সৌরভ চৌধুরীর দিকে। তিনি নাকি হোস্টেলের দাদা। স্বপ্নদীপকে ফোনে তাঁর বাবা-মার সঙ্গে কথা বলতে দিতেন না সৌরভ। মৃত্যুর আগে স্বপ্নদীপ শুধু তাঁর মাকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘মা আমি ভালো নেই’। এর বেশি কিছু বলতে পারেনি। গভীর রাতে বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, আপনাদের ছেলে তিনতলা থেকে পড়ে গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, সেদিন রাতে তাঁরা স্বপ্নদীপকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখেছিলেন। প্রত্যেক ঘরের দরজায় টোকা মেরে স্বপ্নদীপ বলছিল, ‘আমি সমকামী নই’। Jadavpur university-এর এক ছাত্র আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, সেদিন রাতে এ-টু ব্লকে জোরে জোরে আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন। সেদিন তিনি ওই ব্লকের নীচেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। কী হয়েছে ? জানতে চাওয়া হলে তাঁকে জানানো হয়, গভর্নিং বডির মিটিং চলছে।
এরপর ওই ছাত্র পিছন ফিরে দেখেন যে স্বপ্নদীপ ভীষণ রেগে গজগজ করতে করতে ছাদের কিনারায় এসে দাঁড়ান। তারপরে পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ার মতো করে উপর থেকে লাফিয়ে পড়েন। ওই ছাত্র জানিয়েছেন, র্যাগিংয়ের নামে এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা তাঁরও হয়েছিল। প্রতিবাদ করে কোনও লাভ হয়নি। কেউ শোনে না। আজ চোখের সামনে একটি তরুণ ছাত্রের মৃত্যুর সাক্ষী থাকতে হল।
সংবাদমাধ্যমের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সৌরভ চৌধুরী নামের এক প্রাক্তন ছাত্র ও তাঁর দলবল সেদিন রাতে ভয়াবহ অত্যাচার চালিয়েছিলেন স্বপ্নদীপের উপর। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ছাত্র জানিয়েছেন, সেদিন গভীর রাতে সিনিয়র দাদারা ইন্ট্রো দেওয়ার নাম করে স্বপ্নদীপ ও কয়েকজন নবীন ছাত্রকে ডেকে পাঠায় তাঁদের ঘরে। সেখানে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে বলা হয়। অনেক বাজে বাজে প্রশ্ন শুরু করেন তাঁরা। এক প্রত্যক্ষ দর্শী জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে স্বপ্নদীপকে উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ভ্রান্তের মতো আচরণ করতে দেখা যায়।
স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডু সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সৌরভ চৌধুরীর দিকে। তিনি নাকি হোস্টেলের দাদা। স্বপ্নদীপকে ফোনে তাঁর বাবা-মার সঙ্গে কথা বলতে দিতেন না সৌরভ। মৃত্যুর আগে স্বপ্নদীপ শুধু তাঁর মাকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘মা আমি ভালো নেই’। এর বেশি কিছু বলতে পারেনি। গভীর রাতে বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, আপনাদের ছেলে তিনতলা থেকে পড়ে গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, সেদিন রাতে তাঁরা স্বপ্নদীপকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখেছিলেন। প্রত্যেক ঘরের দরজায় টোকা মেরে স্বপ্নদীপ বলছিল, ‘আমি সমকামী নই’। Jadavpur university-এর এক ছাত্র আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, সেদিন রাতে এ-টু ব্লকে জোরে জোরে আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন। সেদিন তিনি ওই ব্লকের নীচেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। কী হয়েছে ? জানতে চাওয়া হলে তাঁকে জানানো হয়, গভর্নিং বডির মিটিং চলছে।
এরপর ওই ছাত্র পিছন ফিরে দেখেন যে স্বপ্নদীপ ভীষণ রেগে গজগজ করতে করতে ছাদের কিনারায় এসে দাঁড়ান। তারপরে পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ার মতো করে উপর থেকে লাফিয়ে পড়েন। ওই ছাত্র জানিয়েছেন, র্যাগিংয়ের নামে এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা তাঁরও হয়েছিল। প্রতিবাদ করে কোনও লাভ হয়নি। কেউ শোনে না। আজ চোখের সামনে একটি তরুণ ছাত্রের মৃত্যুর সাক্ষী থাকতে হল।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box