সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই স্টারকিড হন না। এমন অনেকে আছেন বা ছিলেন যাঁরা একদম নিচু থেকে উঠে এসেছিলেন। অনেক কষ্ট করে পেটের ভাত জোগাড় করেছেন। নিজেদের দক্ষতা ও অভিনয়ের জোরে বলিউডে জায়গা করেন। তেমনি একজন কমেডি অভিনেতা জনি ওয়াকার। খুব ছোট থেকেই স্ট্রাগল শুরু হয়েছিল। মুম্বাইয়ে এসে ভাগ্য পরিবর্তন হয়। হয়ে যান সেই সময়ের সেরা কমেডি অভিনেতা। পর্দায় তাঁর মাতালের অভিনয় দেখে মানুষ হেসে খুন হতেন। কিন্তু জানেন কি নিজে জীবনে কোনওদিন মদ ছুঁয়ে দেখেননি। নিষ্ঠাবান ধর্মীয় মানুষ ছিলেন। আজকের প্রতিবেদনে জনি ওয়াকারের জীবনের (biography) সেই সব দিনের কথা, যখন রাস্তায় রাস্তায় হকারি করে পেট চালিয়েছেন। তখন কে জানত রাস্তায় হকারি করা এই ব্যক্তি একদিন ভারতের শ্রেষ্ঠ কমেডিয়ান হবেন ?
ভাগ্য বদলায় পরিচালক-অভিনেতা গুরু দত্ত ‘বাজি’ ছবিতে সুযোগ দিলে। সেই ছবিতে মাতালের ভূমিকায় অভিনয় করেন। নাম পালটে দিয়েছিলেন গুরু দত্ত। তিনি তাঁর পচ্ছন্দের হুইস্কির নাম অনুসারে নাম রাখেন জনি ওয়াকার। ‘বাজি’ ছবিতে বড় রোল না হলেও মাতালের চরিত্র করে দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছিলেন। তাঁর মাতালের ভূমিকা এত জনপ্রিয় হয়েছিল যে একাধিক ছবিতে তিনি একই রোল করেন। খোনা খোনা স্বরে তাঁর সংলাপ বলার ধরণ বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। যদিও জীবনে মদ কোনওদিন ছুঁয়ে দেখেননি। জীবনে ৩০০ টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। শেষ ছবি ছিল ‘চাচি ৪২০’। সারাজীবনে এত ছবিতে অভিনয় করেও তেমন কোনও পুরস্কার বা সম্মান পাননি। শেষ জীবনে তাই কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। ফিরে যান ইন্দোরে। সেখানেই ২০০৩ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
Johnny walker first life
১৯২৬ সালে ইন্দোরে জন্ম গ্রহণ করেন জনি। যদিও তাঁর প্রকৃত নাম বদরুদ্দিন কাজী। তাঁর বাবা একটি কাপড়ের মিলে কাজ করতেন। কিন্তু সেই চাকরি একদিন চলে যায়। বাধ্য হয়ে পুরো পরিবার তখনকার সাবেক বম্বেতে এসে ওঠেন। পেট চালাতে খুব অল্প বয়স থেকেই জনি ওয়াকার ডিম, রুটি ও চিনাবাদাম বিক্রি করতেন। এইভাবে তাঁদের সংসার চলত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাস কন্ডাক্টরের চাকরি পেয়েছিলেন। বাসে নানা অঙ্গভঙ্গি করে যাত্রীদের মনোরঞ্জন করতেন। এইভাবে কয়েক বছর কাটে। এইভাবে একদিন নজরে পড়েন অভিনেতা বলরাজ সাহানির। তিনি প্রথম তাঁকে সিনেমায় সুযোগ করে দেন। প্রথম দিকে ভিড়ে দাঁড়ানোর রোল পেতেন। তেমন সংলাপ পেতেন না।ভাগ্য বদলায় পরিচালক-অভিনেতা গুরু দত্ত ‘বাজি’ ছবিতে সুযোগ দিলে। সেই ছবিতে মাতালের ভূমিকায় অভিনয় করেন। নাম পালটে দিয়েছিলেন গুরু দত্ত। তিনি তাঁর পচ্ছন্দের হুইস্কির নাম অনুসারে নাম রাখেন জনি ওয়াকার। ‘বাজি’ ছবিতে বড় রোল না হলেও মাতালের চরিত্র করে দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছিলেন। তাঁর মাতালের ভূমিকা এত জনপ্রিয় হয়েছিল যে একাধিক ছবিতে তিনি একই রোল করেন। খোনা খোনা স্বরে তাঁর সংলাপ বলার ধরণ বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। যদিও জীবনে মদ কোনওদিন ছুঁয়ে দেখেননি। জীবনে ৩০০ টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। শেষ ছবি ছিল ‘চাচি ৪২০’। সারাজীবনে এত ছবিতে অভিনয় করেও তেমন কোনও পুরস্কার বা সম্মান পাননি। শেষ জীবনে তাই কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। ফিরে যান ইন্দোরে। সেখানেই ২০০৩ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box