Forgery case against Ameesha Patel: কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি, আদালতে ফেঁসে গেলেন এই অভিনেত্রী

Forgery case against Ameesha Patel: কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি, আদালতে ফেঁসে গেলেন এই অভিনেত্রী
আগামী ১১ আগস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পাবে ‘গদর ২’ (Gadar 2)। এই সিনেমার হাত ধরে পাঁচ বছর পর বড় পর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। সানি দেওলের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তিনি। সিনেমা নিয়ে যখন প্রচার তুঙ্গে। আগাম বুকিংয়ে মিলেছে অভূতপূর্ব সাড়া। ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ দিয়ে সিনেমায় পা রেখেছিলেন আমিশা। তাঁর কেরিয়ারে অন্যতম সফল ছবি ছিল ‘গদর’। ২২ বছর পর সেই সিনেমার সিকুয়্যাল নিয়ে এলেন পরিচালক অনিল শর্মা। সিনেমা নিয়ে যখন উত্তেজনার পারদ চড়ছে, অন্যদিকে তখন বড় প্রতারণা (Forgery) মামলায় ফেঁসে গেলেন অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। চেক বাউন্স ও আড়াই কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় রাঁচির আদালতে খারিজ হয়ে গেল নায়িকার আবেদন।
Forgery case against Ameesha Patel: কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি, আদালতে ফেঁসে গেলেন এই অভিনেত্রী

কি অভিযোগ আমিশার বিরুদ্ধে ?

জানা গিয়েছে, অজয় কুমার সিং নামের রাঁচির এক ব্যবসায়ী অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল ও তাঁর সঙ্গী কুণালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। তিনি রাঁচির হারমু শহরের বাসিন্দা। অজয় কুমার সিং জানিয়েছেন, ‘দেশী ম্যাজিক’ নামের একটি ছবি করার জন্য তাঁকে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আমিশা প্যাটেল। অভিনেত্রীর কথা মতো তাঁর অ্যাকাউন্টে আড়াই কোটি টাকা দিয়েছিলেন অজয় কুমার। ২০১৩ সালে সেই সিনেমার শ্যুটিং শুরু হয়। কিন্তু বাস্তবে সেই সিনেমা দিনের আলো দেখেননি। তখন অজয় কুমার সিং তাঁর টাকা ফেরত চান।
Forgery case against Ameesha Patel: কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি, আদালতে ফেঁসে গেলেন এই অভিনেত্রী

আমিশা ও তাঁর সঙ্গী পুরো টাকা সুদ সমেত ফেরত দিবেন বলে জানিয়ে ছিলেন। আমিশা তাঁকে আড়াই কোটির দুটি চেক দেন। ২০১৮ সালে ৫০ লক্ষ টাকার আরও একটি চেক দিয়েছিলেন। কিন্তু সেগুলি ব্যাংকে জমা দিতে গেলে সব বাউন্স করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ও ১২০ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় গত এপ্রিল মাসে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে রাঁচির সিভিল কোর্ট। তখন মুখে কাপড় ঢাকা দিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন আমিশা। তখন অবশ্য জামিন পেয়ে যান তিনি।
Forgery case against Ameesha Patel: কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি, আদালতে ফেঁসে গেলেন এই অভিনেত্রী

সোমবার বিচারক ডি এন শুক্লার এজলাসে মামলার শুনানি হয়। আমিশার আইনজীবী সাক্ষ্যদের জেরা করার জন্য আদালতের কাছে সময় চান। কিন্তু অজয় কুমার সিং তার বিরোধিতা করেন। আদালত বিরোধিতা মঞ্জুর করে। সেইমতো সাক্ষ্যদের ডিসচার্জ দিয়ে দেওয়া হয়। বিচারক পরবর্তী শুনানির দিন দিয়েছেন। সেদিন বিরোধী পক্ষকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.