মহানায়ক উত্তম কুমারের যুগ হল বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগ। এই সময়ে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী এসেছেন। নিজেদের অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করেছেন। আবার মাঝপথে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছেন। বাংলা সিনেমার দর্শকরা আজও সেই সব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের খুঁজে বেড়ান। জানতে চান তাঁরা কোথায় ? কেমন আছেন ? কী করছেন ? উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘স্ত্রী’ ছবির নায়িকা আরতি ভট্টাচার্যের কথা মনে পড়ে ? অসাধারণ সুন্দরী এই নায়িকা টানা ১০ বছর একাধিক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। তারপর হঠাৎ করেই একদিন উধাও হয়ে যান। কিন্তু কেন ? আজকের হারিয়ে যাওয়া নায়িকা (Lost heroine) নিয়ে প্রতিবেদনে আরতি ভট্টাচার্যের খবর।
ডাক আসে মৃণাল সেনের কাছ থেকে। প্রথম সিনেমা হিন্দিতে। মৃণাল সেন নতুন মেয়ে খুঁজছিলেন। যিনি ভালো হিন্দি বলতে পারবেন। অডিশনে আরতি হিন্দি বলে তাক লাগিয়ে দেন। প্রথম ছবি ‘এক আধুরি কাহিনী’। কিন্তু আরতির প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘স্ত্রী’। উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয়। পাল্লা দিয়ে কাজ করেছিলেন আরতি ভট্টাচার্য। প্রথম মুক্তি পাওয়া সিনেমা সুপারহিট। গানগুলি আজও জনপ্রিয়। প্রথম সিনেমা থেকেই বাংলা সিনেপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এরপর টানা ১০ বছর বাংলা সিনেমার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর অভিনীত সিনেমা হল, ‘হারমোনিয়াম’, ‘জাল সন্ন্যাসী’, ‘আমি সে ও সখা’, ‘পিকনিক’, ‘জব চারণকের বিবি’, ‘নিশান’, ‘অসাধারণ’, ‘আনন্দমেলা’, ‘প্রেয়সী’, ‘নন্দিতা’ ইত্যাদি।
১৯৮০ সালে ‘কাল হামারা হ্যায়’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে ভোজপুরী অভিনেতা কুণাল সিংয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের পর বাংলা সিনেমা ছেড়ে মুম্বাইয়ে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। বাংলা সিনেমাকে পুরোপুরি বিদায় জানালেও ফিল্ম তাঁকে ছাড়েনি। বাংলার এক সময়ের নায়িকা আরতি ভট্টাচার্য এখন ভোজপুরি সিনেমার প্রযোজক।
প্রথম অভিনয়
১৯৫৯ সালের ৮ই নভেম্বর জামশেদপুরে জন্মগ্রহণ করেন আরতি ভট্টাচার্য। ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে ডাক্তার হবেন। কিন্তু স্কুলের ড্রামা কম্পিটিশনে অংশ নিয়ে প্রতিবার প্রথম পুরস্কার পেতেন। এইভাবে মনের মধ্যে অভিনেত্রী হওয়ার বাসনা তৈরি হল। এরপর কলেজের নাটক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার দিতে এসে ছিলেন অভিনেতা সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরতির অভিনয় দেখে মুগ্ধ হন। নাম-ঠিকানা নিয়ে বলেন যোগাযোগ করতে। পড়াশোনা শেষ করে তবেই অভিনয় করা যাবে, শর্ত দেন বাবা-মা। কলেজ শেষ করে মায়ের হাত ধরে চুঁচুড়ায় আসেন আরতি। যোগাযোগ করেন সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁকে ‘নহবত’ নাটকে কেয়ার ভূমিকায় কাস্ট করেন সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শুরু। কেয়ার ভূমিকায় অভিনয় করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন।ডাক আসে মৃণাল সেনের কাছ থেকে। প্রথম সিনেমা হিন্দিতে। মৃণাল সেন নতুন মেয়ে খুঁজছিলেন। যিনি ভালো হিন্দি বলতে পারবেন। অডিশনে আরতি হিন্দি বলে তাক লাগিয়ে দেন। প্রথম ছবি ‘এক আধুরি কাহিনী’। কিন্তু আরতির প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘স্ত্রী’। উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয়। পাল্লা দিয়ে কাজ করেছিলেন আরতি ভট্টাচার্য। প্রথম মুক্তি পাওয়া সিনেমা সুপারহিট। গানগুলি আজও জনপ্রিয়। প্রথম সিনেমা থেকেই বাংলা সিনেপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এরপর টানা ১০ বছর বাংলা সিনেমার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর অভিনীত সিনেমা হল, ‘হারমোনিয়াম’, ‘জাল সন্ন্যাসী’, ‘আমি সে ও সখা’, ‘পিকনিক’, ‘জব চারণকের বিবি’, ‘নিশান’, ‘অসাধারণ’, ‘আনন্দমেলা’, ‘প্রেয়সী’, ‘নন্দিতা’ ইত্যাদি।
১৯৮০ সালে ‘কাল হামারা হ্যায়’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে ভোজপুরী অভিনেতা কুণাল সিংয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের পর বাংলা সিনেমা ছেড়ে মুম্বাইয়ে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। বাংলা সিনেমাকে পুরোপুরি বিদায় জানালেও ফিল্ম তাঁকে ছাড়েনি। বাংলার এক সময়ের নায়িকা আরতি ভট্টাচার্য এখন ভোজপুরি সিনেমার প্রযোজক।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box