গত শুক্রবার সকাল থেকে বঙ্গবাসীর ফোন আচমকা জোরে জোরে কেঁপে ওঠে। মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে ওঠে একটি জরুরি বার্তা। আর সেই ভাইব্রেশন দেখে অনেকেই ভয় পেয়ে গিয়েছেন। তবে জানেন কী এই মেসেজ কিসের জন্য ছিল ? কেন পাঠানো হয়েছিল এই বার্তা ? চলুন জেনে নিই।
EAS মেসেজ সরাসরি আপনার ফোনের ইনবক্সে ঢুকবে না। স্ক্রিনে ফুটে উঠবে। সেই সঙ্গে ফোন জোরে জোরে ভাইব্রেট হবে। যাতে খুব সহজে মানুষ মেসেজগুলি দেখতে পায়। তবে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এই মেসেজ কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়া আর কেউ পাঠাতে পারবে না। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, অঞ্চল ভিত্তিক পরীক্ষামূলকভাবে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে। কেবলমাত্র জিও, বিএসএনএল ব্যবহারকারীদের ফোনে এই মেসেজ এসেছে। মেসেজ আসার পর OK টিপতে হবে। তাহলেই মেসেজ চলে যাবে। আগে এই ধরণের মেসেজের জন্য বিদেশী প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হত। এখন বিদেশী নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে।
Emergency alert system
গত শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে ১২.৪৪ মিনিটের মধ্যে দেশের অধিকাংশ স্মার্ট ফোনে এই মেসেজ এসেছে। খুব জোরে জোরে সাইরেনের মতো মোবাইল বেজে উঠেছিল। আর তা দেখে ভয় পেয়েছেন আপামর জনগণ। অনেকে সাইবার অপরাধীদের কোনও কারসাজি ভেবে OK টিপতে ভয় পেয়েছেন। কতটা ভয়ের ছিল এই মেসেজ? জানা গিয়েছে, ভারতের টেলি কমিউনিকেশন মন্ত্রক থেকে এই মেসেজ পাঠানো হয়। পুরোটাই ছিল স্যাম্পেল টেস্টিং। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।কেন আসছে ইমারজেন্সি মেসেজ ?
চলতি বছরের জুলাই মাসে দেশের টেলি কমিউনিকেশন মন্ত্রক জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে মিলে এই মেসেজ সিস্টেম চালু করেছে। এই কর্মসূচির নাম ইমারজেন্সি অ্যালারট সিসেস্ট (EAS)। এর লক্ষ্য হল দেশে কোনও বড় ধরণের বিপর্যয় হলে সহজে দেশবাসীকে সতর্ক করা যাবে। মাস খানেক আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল। বেশ কিছু মানুষের ফোনে এই ধরণের মেসেজ ঢুকেছিল।EAS মেসেজ সরাসরি আপনার ফোনের ইনবক্সে ঢুকবে না। স্ক্রিনে ফুটে উঠবে। সেই সঙ্গে ফোন জোরে জোরে ভাইব্রেট হবে। যাতে খুব সহজে মানুষ মেসেজগুলি দেখতে পায়। তবে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এই মেসেজ কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়া আর কেউ পাঠাতে পারবে না। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, অঞ্চল ভিত্তিক পরীক্ষামূলকভাবে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে। কেবলমাত্র জিও, বিএসএনএল ব্যবহারকারীদের ফোনে এই মেসেজ এসেছে। মেসেজ আসার পর OK টিপতে হবে। তাহলেই মেসেজ চলে যাবে। আগে এই ধরণের মেসেজের জন্য বিদেশী প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হত। এখন বিদেশী নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box