বর্তমান বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। শুধু অভিনেতা পরিচয় যথেষ্ট নয়। একাধারে তিনি অভিনেতা, আবার সফল পরিচালক। ব্যোমকেশ হিসেবে বাংলার ক্রাশ অনির্বাণ। এবারের পুজোয় রিলিজ হয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘দশম অবতার’। এই ছবিতে ইন্সপেক্টর পোদ্দারের চরিত্র করে অনেক প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। কর্মজীবনে বিরাট সফল হলেও ব্যক্তিগত জীবন মোটেই সুখের হল না। তিন বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন দীর্ঘদিনের প্রেমিকা মধুরিমা গোস্বামীকে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে সেই বৈবাহিক সম্পর্ক এখন টলমল। বিচ্ছেদের পথে এগোচ্ছেন দু’জনে। এই নিয়ে কী বলছেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য ?
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে হঠাৎ বিয়ে করেন অনির্বাণ। খুব ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের মধ্যে বিয়েটা সম্পন্ন হয়। তবে সেটা ছিল আইনি বিয়ে। নাট্য দুনিয়ায় আলাপ ঘটে মধুরিমার সঙ্গে। বিয়ের ছবি দেখে অনেকেই সোশ্যাল সাইটে মন্তব্য করেন, সুদর্শন অনির্বাণের পাশে মধুরিমাকে ঠিক মানাচ্ছে না। অনেকে লিখেছিলেন, এই বিয়ে টিকবে না। বাস্তবে সেটাই হল। মধুরিমা শুধু নাট্যকর্মী নন, তিনি বিখ্যাত শিল্পী নিরঞ্জন গোস্বামীর কন্যা। তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী। অনির্বাণ ও মধুরিমা দু’জনেই রবীন্দ্রভারতীর পড়ুয়া ছিলেন। ‘সংঘারাম’ নামের একটি নাট্যগোষ্ঠীতে একসঙ্গে কাজ করতেন।
বিয়ের পর থেকে অনির্বাণ ও মধুরিমাকে কোনওদিন একসঙ্গে দেখা যায়নি। কোনও অনুষ্ঠানে তাঁরা একত্র যান না। এমনকি ইন্সটাগ্রামেও স্ত্রীকে ফলো করেন না অনির্বাণ। এখন তাঁদের বিচ্ছেদের গল্প শোনা যাচ্ছে। এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ অভিনেতা। শুধু জানান, ‘বিচ্ছেদ নিয়ে এখন কিছু বলতে চাই না। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। আমার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষটিরও ব্যক্তিগত বিষয়’। এরপর বলেন, ‘এটা হোক, বা না হোক বা যাই হোক, আমি চাই ব্যক্তিগত স্তরে যেন সমাধান হয়ে যায়। কারও সঙ্গে অসভ্য আচারণ করতে চাই না। যাঁদের নাম এক্ষেত্রে জড়িয়ে গিয়েছে, তাঁদের যেন একটু হলেও কষ্ট কম হয়, তার চেষ্টা করব’।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box