Prosenjit Chatterjee and Chiranjit Chakraborty: ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে ও সব কিছু করতে পারে, ফের প্রসেনজিৎকে খোঁচা চিরঞ্জিতের

Prosenjit Chatterjee and Chiranjit Chakraborty: ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে ও সব কিছু করতে পারে, ফের প্রসেনজিৎকে খোঁচা চিরঞ্জিতের
বউ গেলে বউ পাবি রে পাগলা, মা গেলে আর মা পাবি না...। বিখ্যাত সংলাপ। আর সংলাপের জেরে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাংলা ছবির সুপারস্টার চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। ১৯৫০ সালের ২রা নভেম্বর কলকাতায় জন্ম চিরঞ্জিত ওরফে দীপক চক্রবর্তীর। জীবনের ৭৩ বছর পূর্ণ করে ফেললেন তিনি। জন্মদিনে রাজনীতি থেকে বিনোদন হয়ে নিজের পরিবার প্রতিটি ক্ষেত্র নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা। কেন সিনেমার মতো অনিশ্চিত পেশায় মেয়েকে প্রবেশ করতে দেননি। আবার কেন আর ভোটে দাঁড়াতে চান না, সব কিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। একইসঙ্গে ফের একবার প্রসেনজিৎকে নিয়েও বিস্ফোরক চিরঞ্জিত।

কী বলেছেন তিনি ?

ধুমধাম করে জন্মদিন পালন পচ্ছন্দ নয় অভিনেতার। প্রতিবছর বাড়ির কাছের মানুষদের নিয়ে জন্মদিন পালন করেন। তবে প্রত্যেক বছর জন্মদিনে একটি প্রতিজ্ঞা করেন। যেমন ৫০ বছরের জন্মদিনে শপথ নিয়েছিলেন ধূমপান ছেড়ে দেবেন। দিয়েছেন। এবারের জন্মদিনে মদ্যপান পুরোপুরি ত্যাগ করবেন বলে ঠিক করেছেন। একবার প্রতিজ্ঞা নিলে তা সারা জীবন পালন করেন।
Prosenjit Chatterjee and Chiranjit Chakraborty: ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে ও সব কিছু করতে পারে, ফের প্রসেনজিৎকে খোঁচা চিরঞ্জিতের

বাবা ছিলেন চিত্রশিল্পী। ৬ বছর বয়সে প্রথমবার অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন ‘ডাকঘর’ নাটকে। তারপর সাংবাদিকতায় প্রবেশ। দূরদর্শনের সংবাদ পাঠক হিসেবে কাজ করেছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। প্রথম অভিনয় সত্যজিৎ রায়ের ‘সুকুমার রায়’ তথ্যচিত্রে। প্রথম নায়ক হিসেবে অভিনয় ১৯৮১ সালে ‘সোনায় সোহাগা’ ছবিতে। অঞ্জন চৌধুরীর ‘শত্রু’ তাঁকে বড় পরিচিতি দিয়েছিল। একক নায়ক হিসেবে প্রথম ছবি ‘অন্তরালে’। এরপর ‘প্রতিকার’, ‘পাপ পুণ্য’, ‘পাপী’, ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’, ‘অমরকন্টক’, ‘জীবন যৌবন’, ‘তোমার রক্তে আমার সোহাগ’, ‘প্রতীক’, ‘ভয়’, ‘জীবন যুদ্ধ’, ‘রক্ত নদীর ধারা’ ইত্যাদি একাধিক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন।
Prosenjit Chatterjee and Chiranjit Chakraborty: ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে ও সব কিছু করতে পারে, ফের প্রসেনজিৎকে খোঁচা চিরঞ্জিতের

সমসাময়িক অভিনেতা ছিলেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কোনও দিন প্রতিযোগিতা ছিল না বলে জানিয়েছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তিনি জানান, ‘বুম্বার সঙ্গে আমার সম্পর্ক চিরকাল মধুর। তবে ওর সঙ্গে আমার একটাই পার্থক্য ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে ও সব কিছু করতে পারে। আমি তেমনটা পারি না। আমি কোনও দিন তপন সিনহা বা তরুণ মজুমদারের কাছে কাজ চাইতে যায়নি। প্রস্তাব এলে পচ্ছন্দ হলে অভিনয় করেছি না হলে না বলে দিয়েছি’। সিনেমা পাড়ার রাজনীতি নিয়ে চিরঞ্জিতের বক্তব্য, ‘নতুনদের জায়গা ছাড়তেই হবে। তবে নিজের জায়গা ঠিক থাকলে কেউ তা কেড়ে নিতে পারে না। আমার চরিত্র নিয়ে নেওয়ার অনেক চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আমার কাজ ঠিক আমার কাছেই চলে আসত। এখন পিছন ফিরে তাকালে মনে হয়, ভগবানের আশীর্বাদে ও মানুষের ভালোবাসায় আমি যা পেয়েছি তা যথেষ্ট’।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.