Burima chocolate bomb: বুড়িমার চকোলেট বোম ছাড়া কালীপুজো অসম্পূর্ণ, এই বুড়িমা আসলে কে ? জানেন তাঁর পরিচয়

Burima chocolate bomb: বুড়িমার চকোলেট বোম ছাড়া কালীপুজো অসম্পূর্ণ, এই বুড়িমা আসলে কে ? জানেন তাঁর পরিচয়
দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো কাটিয়ে এসে গেল কালী পুজো। কালীপুজো মানেই যেমন আলোর রোশনাই, তেমনি বাজির মেলা। প্রত্যেক বাঙালি এই রাতে বাজি ফাটিয়ে আনন্দ, উৎসব করেন। বাজারে নানা ধরণের বাজি পাওয়া যায়। এক এক বাজির এক এক রকম নাম। তবে সবথেকে প্রচলিত এই বাংলায় বুড়িমার চকোলেট বোম বা বাজি। এখন চকোলেট বোম নিষিদ্ধ। কিন্তু ব্যান্ড বুড়িমা কমে যায়নি। অন্য ধরণের বাজি বা আতসবাজি বানিয়ে এখন নিজেদের বাজার ধরে রেখেছে এই সংস্থা। কিন্তু কেন একটি বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থার নাম বুড়িমা ? এমন অদ্ভূত নামের কারণ কী ? বুড়িমা আসলে কে ? জানব তাঁর পরিচয়।

৮০ এবং ৯০-এর দশকে বাংলায় প্রভূত জনপ্রিয়তা পেয়েছিল বুড়িমার চকোলেট বোমা ও তারাবাজি সহ অন্যান্য বাজি। আর এই সফল ব্যান্ড বানানোর পিছনে যিনি বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি হলেন অন্নপূর্ণা দাস। লোকের কাছে যিনি বুড়িমা নামে খ্যাত। তাঁর প্রকৃত বাড়ি বাংলাদেশের ফরিদপুরে। ১৯৪৮ সালে দেশ ভাগের পর স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে এদেশে চলে আসেন। ওঠেন দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি ক্যাম্পে। সেখান থেকে আসেন কলকাতার কাছে ব্যারাকপুরে। ছেলেমেয়ে যখন ছোট ছিল তখন স্বামী সুরেন্দ্রনাথ দাস মারা যান। বাচ্চাদের মানুষ করতে সব্জি থেকে ঠাকুর বিক্রি সব করেছেন। কোনও রকমে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখেয়েছেন।
Burima chocolate bomb: বুড়িমার চকোলেট বোম ছাড়া কালীপুজো অসম্পূর্ণ, এই বুড়িমা আসলে কে ? জানেন তাঁর পরিচয়

এরপর শিখলেন বিড়ি বাঁধার কাজ। নিজেই বিড়ি বাঁধতেন। আস্তে আস্তে নিজের একটি কারখানা গড়ে তোলেন। মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন বেলুড়ে। সেই সূত্রে মেয়ে-জামাইয়ের কাছে গিয়ে হরকুসুম গাঙ্গুলীর কাছে শিখলেন আলতা-সিঁদুর বানানোর কাজ। আস্তে আস্তে তৈরি হল অন্নপূর্ণা আলতা-সিঁদুর ব্যান্ড। একবার কালীপুজোয় ঠিক করলেন বাজির ব্যবসা করবেন। সেই মতো বাজি কিনে তৈরি করলেন দোকান। কিন্তু অনুমতি না থাকায় পুলিশ দোকান তুলে দিল। হার মানতে শেখেননি অন্নপূর্ণা দাস।
Burima chocolate bomb: বুড়িমার চকোলেট বোম ছাড়া কালীপুজো অসম্পূর্ণ, এই বুড়িমা আসলে কে ? জানেন তাঁর পরিচয়

কিছুদিনের মধ্যেই অনুমতি পত্র জোগাড় করে ফের দোকান দিলেন। তবে বাজি কিনে বিক্রি করতে খরচা অনেক বেশি। লাভ কিছু হয় না। তাই ঠিক করলেন নিজেই বাজি বানিয়ে বিক্রি করবেন। কিন্তু শেখাবে কে ? অনেক সন্ধান করে বাঁকুড়ার আকবর আলির খোঁজ পেলেন। তাঁর কাছে গিয়ে বাজি বানানো শিখে বিক্রি করতে করতে লাগলেন। কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা পেল বাজি। তৈরি হল ব্যান্ড ‘বুড়িমার বাজি’। শুধু এই রাজ্যে নয়। অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছিল জনপ্রিয়তা। সেটা এতটাই বেশি ছিল যে, শিবকাশীর ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছিল। ১৯৯৫ সালে মৃত্যু হয় ‘বুড়িমা’ অন্নপূর্ণা দাসের। এখন তাঁর ছেলে-নাতিরা ব্যবসা দেখেন।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.