Mimi Chakraborty life story: গ্রামের মেয়ে থেকে বাংলা সিনেমার সুপারস্টার, মিমি চক্রবর্তীর জীবন সিনেমার থেকে কম কিছু নয়

Mimi Chakraborty life story: গ্রামের মেয়ে থেকে বাংলা সিনেমার সুপারস্টার, মিমি চক্রবর্তীর জীবন সিনেমার থেকে কম কিছু নয়
বাংলা সিনেমা জগতের অত্যন্ত পরিচিত নাম মিমি চক্রবর্তী। অথচ আজ থেকে কয়েক বছর আগেও এই নামটার সঙ্গে কেউ পরিচিত ছিল না। এমনকি এই সাধারণ বাড়ির মেয়েটি এই জায়গায় পৌঁছতে পারবে, টলিউডের সুপারস্টার হয়ে উঠতে পারবে, তা তাঁর কাছের লোকজনও বিশ্বাস করত না। জলপাইগুড়ির সেই মিমি আজ টলিউডের সুপারস্টার নায়িকা। অনেক স্ট্রাগল অতিক্রম করে এই জায়গায় পৌঁছেছেন তিনি। সেই নিয়ে এবার সংবাদপত্রে কলম ধরলেন অভিনেত্রী।
Mimi Chakraborty life story: গ্রামের মেয়ে থেকে বাংলা সিনেমার সুপারস্টার, মিমি চক্রবর্তীর জীবন সিনেমার থেকে কম কিছু নয়

মিমির কথা অনুযায়ী, ছোট থেকেই তিনি খুব ডানপিটে ছিলেন। কাবাডি খেলতেন, ব্যাডমিন্টনে পুরস্কার পেয়েছিলেন। রোদে পুড়ে গায়ের রং কালো হয়ে গিয়েছিল। তাই তাঁকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় থাকতেন মা-বাবা। মেয়ের এই খেলা করে বেড়ানো ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি তারা। কারণ আশেপাশের সবাই বলতো এমন ডানপিটে মেয়ের বিয়ে হবে না। বিয়ে করে সাধারণভাবে জীবন কাটিয়ে দিতে তিনি চাননি। অথবা দশটা পাঁচটা চাকরি, আড্ডা, ভাত ঘুম, বিয়ে এসবের বাইরেও একটা জীবন আছে, সেই জীবনটাই পৌঁছাতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই স্কুলের পর কলেজে পড়াশোনা শেষ করে বাড়ির অমতে জেদের বশে এসেছিলেন কলকাতায়। তারপর সেখান থেকেই আকাশ বাংলার ধারাবাহিকে প্রথম সুযোগ পান। এই ভাবেই শুরু হল স্ট্রাগল। কলকাতায় আসার পর মিমির জীবন সহজ ছিল না। তবু তিনি হাল ছাড়েননি। এমনও দিন গিয়েছে গরম থেকে বাঁচার জন্য বিছানায় জল ঢেলে শুয়েছেন। ভেজা তোয়ালেতে মেঝেতে শুয়ে থেকেছেন। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই বলত, গ্রামের মেয়ে একে দিয়ে অভিনয় হবে না। যারা এসব বলতো আজ তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ মিমি চক্রবর্তী টিকে আছেন নিজের জায়গায়।
Mimi Chakraborty life story: গ্রামের মেয়ে থেকে বাংলা সিনেমার সুপারস্টার, মিমি চক্রবর্তীর জীবন সিনেমার থেকে কম কিছু নয়

বাংলা ছবি জগতের অভিনেত্রীদের কম পারিশ্রমিক নিয়ে প্রতিবাদের সোচ্চার হয়েছিলেন মিমি। তিনি বলেন, আমি যদি কোন বিজ্ঞাপনের জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করি তাহলে অনেকের হাত-পা শুকিয়ে যায়। কারণ ওই কাজটায় অন্য কেউ এক লাখ টাকায় করে দেবে। অথচ ইন্ডাস্ট্রি চায় আমাদের যেন ক্যাটরিনা কাইফের মত দেখতে লাগে। তার জন্য যে খরচ হওয়া দরকার তার সিকি ভাগও কেউ দেয় না। মুম্বাইয়ের প্রযোজনা সংস্থা ক্যাটরিনার জন্য বিশেষ খাবারের খরচ পর্যন্ত জোটায়। আর এখানে? লোকে তো নিজেকে কম পয়সায় ঠিক করে রাখতেই পারবে না। আর তখন শুরু হবে সমালোচনা। মোটা মেয়ে, কালো মেয়ে, বুড়ি মেয়ে ইত্যাদি বলা হবে। মিমি ব্যক্তিগত জীবনে পার্টি, হুল্লোড়ের মধ্যে থাকতে চান না। তিনি শুধু নিজের কাজ নিয়ে থাকতে চান। কম কাজ করেন ঠিকই। কিন্তু বেছে বেছে কাজ করেন। আর বাকি সময়টা লেখেন, বই পড়েন‌। পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটান। আর তার নিজস্ব বন্ধু-বান্ধব রয়েছেন। যারা আজীবন তার পাশে থাকবেন। তিনি যে একা আছেন জীবনে, এটা তার অভিযোগ নয়। বরং এটাই তার শান্তি।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.