Rabindranath Tagore: রবীন্দ্রনাথের পদবী ‘ঠাকুর’ নয়, কোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পাল্টায় সারনেম?

Rabindranath Tagore: রবীন্দ্রনাথের পদবী ‘ঠাকুর’ নয়, কোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পাল্টায় সারনেম?
বাংলার সংস্কৃতির জগতকে সমৃদ্ধ করেছে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কর্তা ব্যক্তিরা। আর সেই পরিবারের অন্যতম প্রদীপ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শুধু বাংলা বা ভারতবর্ষ নয় সমগ্র বিশ্বকে উদ্বুদ্ধ করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার লেখা গান, কবিতা, গল্প এবং উপন্যাসকে আঁকড়ে ধরে হাজার হাজার মানুষ বেঁচে আছেন। তিনি ছিলেন এশিয়া মহাদেশের প্রথম নোবেল জয়ী। কিন্তু জানেন কি রবীন্দ্রনাথের আসল পদবী ঠাকুর নয়। বরং ছিল অন্য কিছু। কি সেটা? আর কিভাবে ঠাকুর পদবী জুড়ে গেল, শোনাবো সেই কাহিনী।

১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ শে বৈশাখ উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আজ তেমনি একটি ২৫ শে বৈশাখ। কবিগুরুর ১৬১ তম জন্মদিন । এই দিনটি শুধু জোড়াসাঁকো বা শান্তিনিকেতনে নয়, সারা দুনিয়ায় পালিত হয়। আজকের দিনে চলুন জেনে নিই ঠাকুর পরিবারের একেবারে অজানা একটি কাহিনী।

ঠাকুর পরিবার ছিল ব্রাহ্মণ। পরবর্তীকালে তারা ব্রাহ্ম হয়েছিলেন। আসল পদবী ছিল কুশারী। বাংলাদেশের এক নবাবের ঘনিষ্ঠ ছিলেন চার জমিদার ভাই রতিদেব কুশারী, কামদেব কুশারী, শুকদেব কুশারী এবং জয়দেব কুশারী। এই চার ভাই একদিন দেখলেন নবাব রমজান মাসে একটি গন্ধরাজ লেবুর পাতা শুকঁছেন। যা দেখে তাঁদের মধ্যে এক ভাই বলে ফেলেন, আপনার তো আর রোজা রাখা হলো না। রোজা ভঙ্গ হয়ে গেল। এই শুনে নবাব অত্যন্ত রেগে যান। তিনি তখন চার ভাইকে শাস্তি স্বরূপ একটি প্রাণীর মাংসের গন্ধ শুঁকিয়ে ছিলেন। এর ফলে সমাজে এক ঘরে হয়ে যান চার ভাই। তখন তাঁরা বাংলাদেশ ছেড়ে (তখন অবশ্য অবিভক্ত বঙ্গ ছিল) কলকাতায় চলে আসেন। এখানে এসে কালীঘাটে পূজারীর কাজ নেন। তখন থেকে তাদের সঙ্গে 'ঠাকুর' শব্দটি যুক্ত হয়ে যায়। যেহেতু পূজা করতেন তাই তারা ছিলেন ঠাকুর। আবার এই কুশারীরা দরিদ্র নারায়ণ সেবা করতেন খুব। দান ধ্যান করায় এলাকার ঈশ্বর নামে তারা পরিচিত হতে থাকে। সকলে তাদের 'ঠাকুর' সম্বোধন করতেন। এই ঠাকুরকেই পরবর্তীকালে পদবী হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেন রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষরা। এই ভাবেই ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে কুশারী বাদ গিয়ে যুক্ত হল ঠাকুর পদবী।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.