India richest courtesans: ভারতের সবথেকে ধনী বাইজি ছিলেন কারা? যাঁদের একদিনের রোজগার এখন কল্পনা করা যায় না
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হীরামান্ডি’। এই ওয়েব সিরিজে নবাব আমলের বাইজিদের জীবনের নানা ঝলক দেখা গিয়েছে। পাকিস্তানের লাহোরে একসময় সত্যি ‘হীরামান্ডি’র রমরমা ছিল। শুধু হীরামান্ডি কেন ? ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বাইজিদের ব্যাপক রমরমা ছিল। লখনউ থেকে কলকাতা শহর। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ভারতে বাইজিদের প্রভাব ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সব পালটায়। ধীরে ধীরে রাজা-নবাবদের প্রতিপত্তি কমে যাওয়ায় বাইজিদের রুটিরুজি মার খেতে লাগল। বিলুপ্ত হল বাইজি সম্প্রদায়। বদলে প্রসার বাড়ল দেহ ব্যবসায়ীদের। এই প্রতিবেদনে জানাব ভারতের নামকরা কিছু নর্তকী বা বাইজিদের কথা। যারা নাচে, গানে, শিষ্টাচার এবং বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। এঁদের মধ্যে কিছু জনের রোজগার এবং সম্পত্তির পরিমাণ ছিল আকাশ ছোঁয়া। এরা ভারতের সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া বাইজি। আজকের সিনেমার নায়িকারা ছবি পিছু যা নিয়ে থাকেন, তখনকার দিনে জলসা প্রতি তার থেকে বেশি টাকা নিতেন এক একজন বাইজি।
গওহর জানঃ ১৮৮৭ সালে দ্বারভাঙ্গা রাজের রাজ দরবারে প্রথম গান গেয়েছিলেন গওহর জান। প্রথম থেকেই তাঁর গানের কদর হত। সমগ্র ভারতে তিনি বিখ্যাত ছিলেন। ওই শতকের কোটিপতি গায়িকা ছিলেন তিনি। জানা যায়, তখন ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ২০ টাকা। আর গওহর জান গানপিছু নিতেন ৩ হাজার টাকা। বর্তমান সময়ে হিসেব করলে কোটির উপরে পৌঁছে যায়। সারা জীবনে একাধিক ভাষায় ৬০০টির বেশি গান গেয়েছেন তিনি।
বেগম হযরত মহলঃ বাইজি হলেও তিনি অবধের বেগম নামেও পরিচিত ছিলেন। অবধের নবাব ওয়াজির আলি শাহের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। ১৮২০ সালে তাঁর জন্ম হয়। খুব ছোটতেই হারেমে বিক্রি করে দেন বাবা-মা। শাহী হারেমে আশ্রয় পান। নাম হয় মেহেক পরী। তাঁর রূপ এবং গানে পাগল ছিলেন তখনকার নবাবরা। শোনা যায় বেগম হযরত মহল গান শোনানোর জন্য অনেক স্বর্ণ মুদ্রা নিতেন।
জদ্দানবাই হুসেনঃ বলিউড অভিনেত্রী নার্গিসের মা ছিলেন জদ্দানবাই হুসেন। ১৮৯২ সালে কলকাতায় তাঁর জন্ম। তিনি অসাধারণ সঙ্গীত প্রতিভার অধিকারিনী ছিলেন। রামপুর, বিকানির, গোয়ালিয়র, জম্মু-কাশ্মীর, ইন্দোর এবং যোধপুরের রাজা-মহারাজা তাঁর গানের ভক্ত ছিলেন। জলসা প্রতি ব্যাপক টাকা চার্জ করতেন জদ্দানবাই।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box