বাংলা হোক বা হিন্দি, নায়িকা হতে গেলে প্রাথমিক শর্ত ফর্সা এবং স্লিম চেহারা হতে হবে। অবশ্য ইদানিং সেই ধারণায় কিছু কিছু পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। তবে আজ থেকে ২০ বা ৩০ বছর আগে ইন্ডাস্ট্রির নায়িকাদের চেহারাটাই ছিল প্রধান। না হলে প্রবল কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হত। যেমন, সাউথের অভিনেত্রী শান্তিপ্রিয়া বলিউডে কাজ করতে এসে বিদ্রুপের মুখে পড়েছিলেন। কারণ তিনি ছিলেন কালো। আবার অভিনেত্রী তনুজার মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও বডি শেমিং থেকে রেহাই পাননি কাজল। তিনি যখন প্রথম হিন্দি ছবিতে কাজ করতে এসেছিলেন, তখন কাজলের চেহারা অন্যদের মতো ছিল না। গায়ের রং ছিল চাপা, শরীরে মেদ স্পষ্ট ধরা পড়ত ক্যামেরায়। আর সে সব নিয়েই চলত কটাক্ষ। মনোবল ভেঙ্গে দেওয়ার লোকের অভাব ছিল না। কিন্তু একটা জায়গায় কাজলের টক্কর কেউ দিতে পারত না, আর তা হল অভিনয় ক্ষমতা। অভিনয়ের জোরে ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নিয়ে ছিলেন তিনি।
আজ থেকে ৩৬ বছর আগে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন কাজল। কিন্তু চেহারা নিয়ে নানা ধরণের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তখন অনেক বিদ্রুপ ও অপমান মুখ বুজে হজম করতে হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যেই সেই অপমানের জবাব দিয়ে ছিলেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রির এক নম্বর নায়িকার খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শুধুমাত্র অভিনয়ের জোরে। আজও তিনি হিট। বর্তমানে চেহারার অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগের মতো লুক আর নেই। এখন তিনি রীতিমতো ফর্সা। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, চেহারা পরিবর্তন করতে প্ল্যাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন কাজল। কারণ, তাঁর গায়ের রং আর মুখের গড়নের পরিবর্তন স্বাভাবিক নয়। তবে এখন কাজলের কন্যা নাইসাকে একই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তাঁরও গায়ের রং ও চেহারা বদলে গিয়েছে রাতারাতি। তিনিও কী প্ল্যাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
READ MORE: ক্যামেরার সামনে পোষাক খুলেও চূড়ান্ত ফ্লপ, সুচিত্রা সেনের মেয়ে হয়েও কেন হারিয়ে গেলেন মুনমুন
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box