বলিউডের ‘মস্ত মস্ত গার্ল’ রবীনা ট্যান্ডন (Raveena Tandon) । ৪৮ বছর বয়সেও তিনি আজও আকর্ষণীয় । বড় পর্দায় নিয়মিত দেখা না গেলেও চর্চা বিন্দুমাত্র কমেনি । বর্তমান প্রজন্মের কাছেও তিনি আগ্রহের বিষয় । গুগলে তাঁর সম্পর্কে জানতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ অনুসন্ধান চালায়। ব্যক্তিগত জীবনে রবীনা চিরদিনই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। বরাবরই তিনি শাসক দল বিজেপি ঘেঁষা। ট্যুইটারে সরকারের প্রশংসা শোনা যায় তাঁর মুখে। আর সেই রাজভক্তির পুরস্কার পেলেন অভিনেত্রী রবীনা ট্যান্ডন (Raveena Tandon) । ২৬ জানুয়ারী সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে পদ্মশ্রী প্রাপকদের নাম ঘোষণা হয়েছে । সেই তালিকায় আছে রবীনার নাম। যদিও এই নিয়ে কেউ খুব বেশি অবাক হয়নি । গত বছর কঙ্গনা রানাওয়াতকে সম্মানিত করেছিল মোদী সরকার । পিছনে সেই রাজভক্তির পরাকাষ্ঠা । আর এই বছর রবীনা ট্যান্ডন (Raveena Tandon) । আনুগত্য দেখালে পুরস্কৃত হবে। এটাই প্রধান বিষয়। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, সমাজের প্রতি রবীনা ট্যান্ডনের অবদান কি ? অভিনেত্রী হিসেবেও তিনি যে খুব উচ্চমানের তাও নয়। ২০০২ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে ‘দমন’ নামের একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। যদিও সরকারের সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষের মতো ব্যক্তিত্ব । সরকারি মঞ্চ বয়কট করেছিলেন তাঁরা । এছাড়াও শিশু চলচ্চিত্র বিভাগের প্রধান হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করা নিয়েও বিতর্ক হয়। এই রকম একাধিক বিতর্ক জড়িয়ে রয়েছে অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডনের জীবনে।
· Me too মুভমেন্টকে সমর্থন করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন রবীনা ট্যান্ডন। তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে প্রাক্তন প্রেমিক অক্ষয় কুমারের অ্যাকাউন্ট জুড়ে দেওয়া হয়েছিল । ফলে ব্যাপারটি দাঁড়িয়ে যায় তিনি বোধ হয় অক্ষয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। যদিও বিষয়টি তেমন নয় বলে জানান রবীনা নিজে। তিনি ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হন । ইন্ড্রাস্ট্রিতে যৌন হয়রানির শিকার মহিলাদের হয়ে বলেছেন তিনি।
· ২০১৫ সালে দুটি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন রবীনা ট্যান্ডন। তাঁর দাবি, অনুমতি না নিয়ে ছবি ব্যবহার করেছে তারা।
· ২০১৮ সালে বিভিন্ন রাজ্যে কৃষক আন্দোলনের সময় তিনি ট্যুইট করেন , যারা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করছে তাদের জেলে ভরা হোক । সঙ্গে সঙ্গে ট্রোলিং শুরু হয়ে যায় । পরে নিজের ট্যুইট মুছে রবীনা বলেন , তিনি সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে বলেছেন। কৃষকদের নিয়ে কিছু লেখেননি। যদিও তাতে সমালোচনা কমেনি ।
· ২০১৮ সালে ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দিরের নো ক্যামেরা জোনে একটি বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করে বিতর্কে জড়ান। রবীনা ট্যান্ডনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। একটি বিউটি প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং হয়েছিল মন্দিরে।
· ২০১৭ সালে ‘শাব’ নামের ছবিতে অভিনয় করেন। ১৩ বছরের প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্টতা নিয়ে বিতর্ক হয় । সিনেমাটিতে প্রচুর সাহসী দৃশ্য থাকায় ছবিটি টিভিতে রিলিজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
রাশি- বৃশ্চিক
স্কুল- জম্নাভাই নাসি স্কুল, মুম্বাই
কলেজ – মিথিলাভাই কলেজ , মুম্বাই
শিক্ষাগত যোগ্যতা – বি এ ড্রপ আউট। সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য তখন রবীনা রীতিমতো বিখ্যাত। কলেজে তাঁকে ঘিরে ধরত শত শত মানুষ। কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা সম্ভব ছিল না। শেষ পর্যন্ত পড়া ছেড়ে দেন রবীনা ট্যান্ডন।
অভিভাবক- বাবা- রবি ট্যান্ডন, ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী ৮৫ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন। রবীনা তাঁর শেষকৃত্য করেন। , মা – বীণা ট্যান্ডন। ভাই- রাজীব ট্যান্ডন
বাবা রবি এবং মা বীণার সঙ্গে মিলিয়ে তাঁর নাম ‘রবীনা’ রাখা হয়েছিল।
‘শোলে’ ছবির সাম্ভা ম্যাক মোহন সম্পর্কে রবীনার মামা।
ছোটবেলায় রবীনা পাইলট/ আইপিএস অফিসার হতে চাইতেন।
রবীনা জীবনে অভিনেত্রী হবেন ভাবেননি। তিনি যখন অ্যাড ফিল্ম মেকার প্রহ্লাদ কক্করের ‘ জেনেসিস পি আর’ -এ ইন্ট্রান হিসেবে কাজ করতেন । তখন তাঁর সহকর্মীরা রবীনার রূপ নিয়ে মুদ্ধ ছিলেন। তাঁরা অভিনয়ের পরামর্শ দিতে শুরু করেন । কিন্তু রবীনা রাজি ছিলেন না। ফিল্মের অফার এলেও তিনি ফিরিয়ে দেন। শেষে প্রহ্লাদ কক্কর তাঁকে রাজি করান । ১৯৯১ সালে ‘পাথর কে ফুল’ ছিল প্রথম ছবি। বিপরীতে ছিলেন সালমান খান।
খুব ছোট বয়সে তিনি সঞ্জয় দত্তের প্রতি মোহিত ছিলেন। সিনেমা জগতে আসার পর অক্ষয় কুমারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় । কিন্তু অক্ষয় এই সম্পর্ক গোপন রাখতেন। নিজের কেরিয়ার এবং মহিলা ভক্ত নিয়ে অক্ষয় তখন খুবই চিন্তিত ছিলেন। পরে রেখার সঙ্গে অক্ষয়ের প্রেমের গুঞ্জন শুনে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন রবীনা।
অক্ষয় কুমারের আগে কিছু দিন অজয় দেবগণের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন রবীনা। কিন্তু অজয়ের জীবনে তখন বহু নারী। ফলে সম্পর্ক টেকেনি।
২০০৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী ব্যবসায়ী অনিল থাডানিকে বিয়ে করেন রবীনা। তাঁদের চারটি সন্তান । ছেলে রণবীর এবং মেয়ে রাশা। পুজা ও ছায়া নামের দুটি শিশুকন্যাকে দত্তক নিয়েছেন রবীনা।
রবীনা ট্যান্ডনের জনপ্রিয় সিনেমা লাডলা (১৯৯৪), দিলওয়ালে (১৯৯৪), মোহরা (১৯৯৪), খিলাড়িয়ো কা খিলাড়ি (১৯৯৬), জিদ্দি (১৯৯৭), বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ (১৯৯৮) ও দুলহা রাজা (১৯৯৮)।
‘ইসিকা নাম জিন্দিগি’ এবং ‘সিম্পিলি বাঁতে উইথ রবীনা’ নামের দুটি টিভি শো হোস্ট করেছিলেন তিনি।
মাঝে তিনি অভিনয় থেকে দুবছরের ব্রেক নিয়েছিলেন। তখন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ এবং ‘গুপ্ত’ ছবির অফার ফিরিয়ে দেন।
বাংলা ছবি ‘ল্যাবরেটরি’তে অভিনয় করেছেন । পরিচালক রাজা সেন। তাছাড়া বাংলা যাত্রাতেও কিছুদিন কাজ করেন।
২০২২ সালে দক্ষিণী ছবি ‘ কেজিএফ -২’ তে অভিনয় করেছিলেন ।
Raveena Tandon controversies
· Me too মুভমেন্টকে সমর্থন করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন রবীনা ট্যান্ডন। তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে প্রাক্তন প্রেমিক অক্ষয় কুমারের অ্যাকাউন্ট জুড়ে দেওয়া হয়েছিল । ফলে ব্যাপারটি দাঁড়িয়ে যায় তিনি বোধ হয় অক্ষয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। যদিও বিষয়টি তেমন নয় বলে জানান রবীনা নিজে। তিনি ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হন । ইন্ড্রাস্ট্রিতে যৌন হয়রানির শিকার মহিলাদের হয়ে বলেছেন তিনি। · ২০১৫ সালে দুটি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন রবীনা ট্যান্ডন। তাঁর দাবি, অনুমতি না নিয়ে ছবি ব্যবহার করেছে তারা।
· ২০১৮ সালে বিভিন্ন রাজ্যে কৃষক আন্দোলনের সময় তিনি ট্যুইট করেন , যারা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করছে তাদের জেলে ভরা হোক । সঙ্গে সঙ্গে ট্রোলিং শুরু হয়ে যায় । পরে নিজের ট্যুইট মুছে রবীনা বলেন , তিনি সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে বলেছেন। কৃষকদের নিয়ে কিছু লেখেননি। যদিও তাতে সমালোচনা কমেনি ।
· ২০১৮ সালে ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দিরের নো ক্যামেরা জোনে একটি বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করে বিতর্কে জড়ান। রবীনা ট্যান্ডনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। একটি বিউটি প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং হয়েছিল মন্দিরে।
· ২০১৭ সালে ‘শাব’ নামের ছবিতে অভিনয় করেন। ১৩ বছরের প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্টতা নিয়ে বিতর্ক হয় । সিনেমাটিতে প্রচুর সাহসী দৃশ্য থাকায় ছবিটি টিভিতে রিলিজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
Raveena Tandon Biography
জন্ম- ২৪ অক্টোবর , ১৯৭৪রাশি- বৃশ্চিক
স্কুল- জম্নাভাই নাসি স্কুল, মুম্বাই
কলেজ – মিথিলাভাই কলেজ , মুম্বাই
শিক্ষাগত যোগ্যতা – বি এ ড্রপ আউট। সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য তখন রবীনা রীতিমতো বিখ্যাত। কলেজে তাঁকে ঘিরে ধরত শত শত মানুষ। কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা সম্ভব ছিল না। শেষ পর্যন্ত পড়া ছেড়ে দেন রবীনা ট্যান্ডন।
অভিভাবক- বাবা- রবি ট্যান্ডন, ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী ৮৫ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন। রবীনা তাঁর শেষকৃত্য করেন। , মা – বীণা ট্যান্ডন। ভাই- রাজীব ট্যান্ডন
বাবা রবি এবং মা বীণার সঙ্গে মিলিয়ে তাঁর নাম ‘রবীনা’ রাখা হয়েছিল।
‘শোলে’ ছবির সাম্ভা ম্যাক মোহন সম্পর্কে রবীনার মামা।
রবীনা জীবনে অভিনেত্রী হবেন ভাবেননি। তিনি যখন অ্যাড ফিল্ম মেকার প্রহ্লাদ কক্করের ‘ জেনেসিস পি আর’ -এ ইন্ট্রান হিসেবে কাজ করতেন । তখন তাঁর সহকর্মীরা রবীনার রূপ নিয়ে মুদ্ধ ছিলেন। তাঁরা অভিনয়ের পরামর্শ দিতে শুরু করেন । কিন্তু রবীনা রাজি ছিলেন না। ফিল্মের অফার এলেও তিনি ফিরিয়ে দেন। শেষে প্রহ্লাদ কক্কর তাঁকে রাজি করান । ১৯৯১ সালে ‘পাথর কে ফুল’ ছিল প্রথম ছবি। বিপরীতে ছিলেন সালমান খান।
খুব ছোট বয়সে তিনি সঞ্জয় দত্তের প্রতি মোহিত ছিলেন। সিনেমা জগতে আসার পর অক্ষয় কুমারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় । কিন্তু অক্ষয় এই সম্পর্ক গোপন রাখতেন। নিজের কেরিয়ার এবং মহিলা ভক্ত নিয়ে অক্ষয় তখন খুবই চিন্তিত ছিলেন। পরে রেখার সঙ্গে অক্ষয়ের প্রেমের গুঞ্জন শুনে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন রবীনা।
অক্ষয় কুমারের আগে কিছু দিন অজয় দেবগণের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন রবীনা। কিন্তু অজয়ের জীবনে তখন বহু নারী। ফলে সম্পর্ক টেকেনি।
২০০৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী ব্যবসায়ী অনিল থাডানিকে বিয়ে করেন রবীনা। তাঁদের চারটি সন্তান । ছেলে রণবীর এবং মেয়ে রাশা। পুজা ও ছায়া নামের দুটি শিশুকন্যাকে দত্তক নিয়েছেন রবীনা।
রবীনা ট্যান্ডনের জনপ্রিয় সিনেমা লাডলা (১৯৯৪), দিলওয়ালে (১৯৯৪), মোহরা (১৯৯৪), খিলাড়িয়ো কা খিলাড়ি (১৯৯৬), জিদ্দি (১৯৯৭), বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ (১৯৯৮) ও দুলহা রাজা (১৯৯৮)।
‘ইসিকা নাম জিন্দিগি’ এবং ‘সিম্পিলি বাঁতে উইথ রবীনা’ নামের দুটি টিভি শো হোস্ট করেছিলেন তিনি।
মাঝে তিনি অভিনয় থেকে দুবছরের ব্রেক নিয়েছিলেন। তখন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ এবং ‘গুপ্ত’ ছবির অফার ফিরিয়ে দেন।
বাংলা ছবি ‘ল্যাবরেটরি’তে অভিনয় করেছেন । পরিচালক রাজা সেন। তাছাড়া বাংলা যাত্রাতেও কিছুদিন কাজ করেন।
২০২২ সালে দক্ষিণী ছবি ‘ কেজিএফ -২’ তে অভিনয় করেছিলেন ।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box