Raima Sen married or not ?: ৪৩ বসন্ত পার করেও কুমারী ? কবে বিয়ে করবেন সুচিত্রার আদরের নাতনি রাইমা সেন ?
মেঘে মেঘে বেলা অনেক হল। ছোট বোন রিয়া সেন ঘরকন্না শুরু করেছেন সেই কবে। আর তিনি ? বাঙালির মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের বড় নাতনি রাইমা সেন ? বিয়ে কবে করবেন ? নাকি সারা জীবন আইবুড়ো থেকেই কাটিয়ে দেবেন ? প্রশ্ন অনেক। উত্তর অবশ্য তিনি দিয়েছেন। রাইমার বক্তব্য, বিয়ে তিনি নিশ্চয় করবেন । তবে কবে ? তা জানেন না। মনের মানুষের সন্ধান তিনি এখনও পাননি । খোঁজ করছেন । কেমন হবে তাঁর মনের মানুষ ? উত্তরে মুনমুন কন্যা বলেন , কিছু না, শুধু ভালো মন হলেই চলবে । তবে ভালো মনে তো পেট ভরে না। তাই রাইমার যিনি স্বামী হবেন , তাঁর রেস্ত ভালো হতে হবে। ধনী না হলে রাজকন্যাকে পাওয়া যাবে না। স্পষ্ট বলে দিয়েছেন রাইমা সেন। ৩ ফেব্রুয়ারী জি ফাইবে রিলিজ করছে রাইমার ওয়েব সিরিজ ‘রক্তকরবী’। রাইমার সঙ্গে অভিনয় করেছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় এবং লাবণী সরকার। তারই প্রচারে বেরিয়ে বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন রাইমা সেন। সোজা কথার মানুষ তিনি। উত্তর দিয়েছেন সোজাসুজি। ‘ভালো মন এবং পকেটে ধন’ থাকলে তবেই সেই পাত্রকে তিনি বিয়ে করবেন ।
দিদা সুচিত্রা সেন বিয়ের পর কন্যা সন্তানের মা হয়ে সিনেমা জগতে এসেছিলেন। মা মুনমুনেরও অল্প বয়সে বিয়ে হয় ত্রিপুরার দেববর্মা রাজপরিবারে। বোন রিয়াও ফিল্মি দুনিয়ায় বিশেষ কিছু করতে না পেরে বয়স থাকতেই ছাতনাতলা ঘুরে এসেছেন। আর দিদি রাইমার বয়স ইতিমধ্যেই ৪৩ পার। বলতে গেলে বিয়ের বয়স অতিক্রান্ত। মেয়েকে নিয়ে মা মুনমুন সেনের বিস্তর চিন্তা। বারবার প্রেমে পড়লেও সংসার করার দিকে মতিগতি নেই। অভিনয় জীবন ২০ পেরিয়ে গিয়েছে। যথেষ্ট ট্যালেন্ট থাকা সত্ত্বেও বাংলা সিনেমার তথাকথিত নায়িকা তিনি হতে পারেননি। বরং তিনি বেশি পচ্ছন্দ আর্ট ফিল্মের ডিরেক্টরদের । সেই সূত্রপাত হয়েছিল প্রয়াত ঋতুপর্ণ ঘোষের হাত ধরে । তাঁর ‘ চোখের বালি’ ছবিতে আশালতার চরিত্রে অভিনয় রাইমার জীবনে বড় ব্রেক। অভিনয় যেমন তাঁর রক্তে। তেমনই রাইমার শরীরে বইছে রাজরক্ত। বাবা ভারত দেববর্মা ত্রিপুরা রাজ পরিবারের সন্তান । শুধু এটুকু বংশ পরিচয় যথেষ্ট নয় । রাইমার ঠাকুমা ইলা দেবী ছিলেন কোচবিহারের রাজকন্যা। ইলা দেবীর বোন গায়ত্রী দেবীর বিয়ে হয়েছিল জয়পুর রাজ ঘরানায় । তাঁর বাবার ঠাকুমা ইন্দ্রিরা দেবী ছিলেন বরদার মহারাজা তৃতীয় সায়াজিরাও গায়কোয়াড়ের একমাত্র মেয়ে। দিদা সুচিত্রা সেনের শ্বশুর আদিনাথ সেন ছিলেন সেই আমলের কলকাতার নামজাদা ব্যবসায়ী।
এহেন বংশের মেয়ে রাইমা আসলে কিন্তু মাটির মানুষ। তিনি মুম্বাইয়ের ব্যস্ত জীবন ভালবাসলেও বেশিদিন কলকাতা ছেড়ে থাকতে পারেন না। বাঙ্গালির গল্প -আড্ডা বা জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া তিনি খুব পছন্দ করেন । জানলে অবাক হবেন, রাজ পরিবারের মেয়ে রাইমার প্রিয় খাবার কলকাতার স্ট্রিট ফুড। বিশেষ করে ঝালমুড়ি আর আলুচাট ! বারবার প্রেমে পড়তে ভালোবাসেন রাইমা। তাঁর মনে অনেক রাজকুমার এসেছেন, আবার চলেও গিয়েছেন। ২০০৬ সালে একটি ইন্টারভিউয়ে রাইমা স্বীকার করেন, ওড়িশার রাজনৈতিক নেতা কৈলাশ নারায়ণ সিং দেওয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন । কিন্তু মাত্র একবছর সেই সম্পর্ক টিকে ছিল।
· প্রকৃত নাম- রাইমা দেবশর্মা। কিন্তু তিনি তিনি পরিচিতির জন্য দিদা সুচিত্রা সেনের টাইটেল ব্যবহার করেন।
· উচ্চতা- ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি
· স্কুল- লরেটো হাউস, কলকাতা
· রাশি- বৃশ্চিক
· প্রেম- ব্যবসায়ী বরুণ থাপার সঙ্গে প্রথম সম্পর্কে জড়ান। দুজনের একাধিক ছবি প্রকাশিত হয় । পরে অভিনেতা কুণাল কাপুর তাঁর বয়ফ্রেন্ড ছিলেন। সেই সম্পর্ক ভাঙার পর ওড়িশার নেতা কৈলাশ নারায়ণ সিং দেওয়ের সঙ্গে কিছু সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
· প্রথম ছবি ১৯৯৯ সালের ‘গডমাদার’। প্রথম বাংলা সিনেমা ‘নীল নির্জনে’ (২০০৩) । হানিমুন ট্রাভেল প্রাইভেট লিমিটেড (২০০৬), জাপানিস ওয়াইফ (২০১০), বাইশে শ্রাবণ (২০১১) ইত্যাদি তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য ছবি। তিনি ২০০৫ সালে তেলেগু মুভি ‘দারিয়াম’-এর হাত ধরে সাউথে পা রাখেন। সেখানেও একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
· প্রিয় পরিচালক – মণিরত্নম, যশ চোপড়া, অনুরাগ বসু, ইমতিয়াজ আলি এবং আশুতোষ গায়কোয়াড়।

Raima sen: শরীরে বইছে রাজরক্ত
দিদা সুচিত্রা সেন বিয়ের পর কন্যা সন্তানের মা হয়ে সিনেমা জগতে এসেছিলেন। মা মুনমুনেরও অল্প বয়সে বিয়ে হয় ত্রিপুরার দেববর্মা রাজপরিবারে। বোন রিয়াও ফিল্মি দুনিয়ায় বিশেষ কিছু করতে না পেরে বয়স থাকতেই ছাতনাতলা ঘুরে এসেছেন। আর দিদি রাইমার বয়স ইতিমধ্যেই ৪৩ পার। বলতে গেলে বিয়ের বয়স অতিক্রান্ত। মেয়েকে নিয়ে মা মুনমুন সেনের বিস্তর চিন্তা। বারবার প্রেমে পড়লেও সংসার করার দিকে মতিগতি নেই। অভিনয় জীবন ২০ পেরিয়ে গিয়েছে। যথেষ্ট ট্যালেন্ট থাকা সত্ত্বেও বাংলা সিনেমার তথাকথিত নায়িকা তিনি হতে পারেননি। বরং তিনি বেশি পচ্ছন্দ আর্ট ফিল্মের ডিরেক্টরদের । সেই সূত্রপাত হয়েছিল প্রয়াত ঋতুপর্ণ ঘোষের হাত ধরে । তাঁর ‘ চোখের বালি’ ছবিতে আশালতার চরিত্রে অভিনয় রাইমার জীবনে বড় ব্রেক। অভিনয় যেমন তাঁর রক্তে। তেমনই রাইমার শরীরে বইছে রাজরক্ত। বাবা ভারত দেববর্মা ত্রিপুরা রাজ পরিবারের সন্তান । শুধু এটুকু বংশ পরিচয় যথেষ্ট নয় । রাইমার ঠাকুমা ইলা দেবী ছিলেন কোচবিহারের রাজকন্যা। ইলা দেবীর বোন গায়ত্রী দেবীর বিয়ে হয়েছিল জয়পুর রাজ ঘরানায় । তাঁর বাবার ঠাকুমা ইন্দ্রিরা দেবী ছিলেন বরদার মহারাজা তৃতীয় সায়াজিরাও গায়কোয়াড়ের একমাত্র মেয়ে। দিদা সুচিত্রা সেনের শ্বশুর আদিনাথ সেন ছিলেন সেই আমলের কলকাতার নামজাদা ব্যবসায়ী। 
এহেন বংশের মেয়ে রাইমা আসলে কিন্তু মাটির মানুষ। তিনি মুম্বাইয়ের ব্যস্ত জীবন ভালবাসলেও বেশিদিন কলকাতা ছেড়ে থাকতে পারেন না। বাঙ্গালির গল্প -আড্ডা বা জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া তিনি খুব পছন্দ করেন । জানলে অবাক হবেন, রাজ পরিবারের মেয়ে রাইমার প্রিয় খাবার কলকাতার স্ট্রিট ফুড। বিশেষ করে ঝালমুড়ি আর আলুচাট ! বারবার প্রেমে পড়তে ভালোবাসেন রাইমা। তাঁর মনে অনেক রাজকুমার এসেছেন, আবার চলেও গিয়েছেন। ২০০৬ সালে একটি ইন্টারভিউয়ে রাইমা স্বীকার করেন, ওড়িশার রাজনৈতিক নেতা কৈলাশ নারায়ণ সিং দেওয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন । কিন্তু মাত্র একবছর সেই সম্পর্ক টিকে ছিল।
Raima sen biography, age, relationships, family, career
· জন্ম- ১৯৭৯ সালের ১১ নভেম্বর, রবিবার কলকাতায়· প্রকৃত নাম- রাইমা দেবশর্মা। কিন্তু তিনি তিনি পরিচিতির জন্য দিদা সুচিত্রা সেনের টাইটেল ব্যবহার করেন।
· উচ্চতা- ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি
· স্কুল- লরেটো হাউস, কলকাতা
· রাশি- বৃশ্চিক
· প্রেম- ব্যবসায়ী বরুণ থাপার সঙ্গে প্রথম সম্পর্কে জড়ান। দুজনের একাধিক ছবি প্রকাশিত হয় । পরে অভিনেতা কুণাল কাপুর তাঁর বয়ফ্রেন্ড ছিলেন। সেই সম্পর্ক ভাঙার পর ওড়িশার নেতা কৈলাশ নারায়ণ সিং দেওয়ের সঙ্গে কিছু সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
· প্রথম ছবি ১৯৯৯ সালের ‘গডমাদার’। প্রথম বাংলা সিনেমা ‘নীল নির্জনে’ (২০০৩) । হানিমুন ট্রাভেল প্রাইভেট লিমিটেড (২০০৬), জাপানিস ওয়াইফ (২০১০), বাইশে শ্রাবণ (২০১১) ইত্যাদি তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য ছবি। তিনি ২০০৫ সালে তেলেগু মুভি ‘দারিয়াম’-এর হাত ধরে সাউথে পা রাখেন। সেখানেও একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
· প্রিয় পরিচালক – মণিরত্নম, যশ চোপড়া, অনুরাগ বসু, ইমতিয়াজ আলি এবং আশুতোষ গায়কোয়াড়।
Raima Sen movie lists
· গডমাদার (১৯৯৯)
· নীল নির্জনে (২০০২)
· চোখের বালি (২০০২)
· কুছ দিল নে কাহা (২০০৩)
· অন্তরমহল (২০০৪)
· নিশিযাপন (২০০৫)
· পরিণীতা (২০০৫)
· বং কানেকশন (২০০৬)
· হানিমুন ট্রাভেল প্রাইভেট লিমিটেড (২০০৭)
· যাত্রা (২০০৭)
· খেলা (২০০৮)
· দ্য জাপানিজ ওয়াইফ (২০১০)
· মেমোরিজ ইন মার্চ (২০১০)
· নৌকাডুবি (২০১১)
· শব্দ (২০১৩)
· চিল্ড্রেন অব ওয়ার (২০১৪)
· বাস্তুসাপ (২০১৬)
· হাসন রাজা (২০১৭)
· দ্বিতীয় পুরুষ (২০২০)
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box