Tapas Paul death anniversary : মাত্র তিন বছরে বাংলা সিনেমার জগত ভুলে গেল তাপস পালকে ? এটাই কি কাম্য ছিল ?
২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারী মুম্বাইয়ের হাসপাতালে ইহলোক ত্যাগ করে অন্য ভুবনে পাড়ি দিয়েছিলেন তাপস পাল। তাঁর মৃত্যু নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন স্ত্রী নন্দিনী। এখন সে সব স্মৃতি আবছা। একই সঙ্গে বাংলা সিনেমার জগতে আবছা হয়ে গিয়েছেন একসময়ের সুপারস্টার তাপস পাল। তাইতো মৃত্যু দিনে কোথাও তাঁর স্মৃতিচারণ হয় না। কোথাও তাঁর ছবিতে মালা দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র একটি ভুল। একটি ভুল মন্তব্য । সারা জীবনের অর্জিত সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দেয়। ‘ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব’...। বিরোধীদের উদ্দেশে তাপস পালের এই হুমকি ভালো চোখে দেখেনি বাংলার জনতা। অভিনেতা তাপস পালকে মানুষ যে সম্মানের আসনে বসিয়েছিল, সেই আসন থেকে তাঁকে নামিয়ে দেয় তারা। সবার চোখে ছোট হয়ে যান। এমনকি তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসও তাপস পালের মন্তব্যের দায় নেয়নি। দূরে সরিয়ে দেয়। সর্বত্র একঘরে হয়ে যান। তার উপর তখন সারদা, রোজভ্যালি চিটফান্ড কান্ড নিয়ে উত্তাল ছিল বাংলা। রোজভ্যালি কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যায় তাপসের। কয়েকমাস জেল খাটতে হয়। তখনও পাশে দাঁড়ায়নি দল। যে দলের তিনি দু’বারের সাংসদ ছিলেন, সেই দল সব কিছু থেকে হাত ধুয়ে ফেলে। সিনেমা থেকে দূরে, রাজনীতিতে কোণঠাসা তাপস পাল মনে মনে ভেঙ্গে পড়ছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়েন। জীবনের কিছু ভুলের মাসুল তাঁকে শেষ পর্যন্ত জীবন দিয়ে দিতে হল। চিরতরে হারিয়ে গেলেন তাপস পাল। তাঁর মৃত্যুদিনে একসময়ের সহ অভিনেতা প্রসেনজিত ছাড়া কেউ স্মৃতি চারণ করল না। বুম্বা দা সোশ্যাল সাইটে লিখেছেন, মানুষ তোকে অভিনেতা হিসেবে চিরদিন মনে রাখবে। পাশাপাশি, স্ত্রী নন্দিনী ফেসবুকে লিখেছেন, যতদিন পর্যন্ত দেখা না হচ্ছে, ততদিন ভালো থেকো তুমি।
১৯৮০ সালের কথা। তাপস পাল তখন ২২ বছরের যুবক। লোকাল ট্রেনের কামরায় এক ব্যক্তি বহুক্ষণ ধরে তাকিয়ে আছেন। যেন পা থেকে মাথা পর্যন্ত মাপচ্ছেন। কিছুটা অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল। নামার আগে হঠাৎ সেই ব্যক্তি এসে বললেন , শোন, আমার নাম শ্রীনিবাস চক্রবর্তী। সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করি। তুমি অভিনয় করতে চাও ? কোনদিন এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে তা ভাবেননি তিনি। এককথায় রাজি হয়ে গেলেন। শ্রীনিবাস চক্রবর্তী নিয়ে গেলেন নিউ থিয়েটার স্টুডিওতে। সেখানে এক রাশভারি ব্যক্তির সামনে গিয়ে দাঁড়াতে হল। সেই ব্যক্তি মোটা ফ্রেমের চশমা পড়েছেন। সেই চশমার ভিতরের চোখ দিয়ে যেন মনের ভিতর পর্যন্ত পড়ে নিচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর বললেন, হেঁটে দেখাও। হেসে দেখাও। কাঁদো তো। আচ্ছা, এইবার এটা পড়ে শোনাও। দীর্ঘক্ষণ পরীক্ষার পর বললেন, চলবে। হাসি ফুটল সেই ঘরে উপস্থিত সকলের। আলাপ করালেন শ্রীনিবাসবাবু। উনি তরুণ মজুমদার। ছবির ডিরেক্টর। ‘দাদার কীর্তি’ ছবির জন্য নতুন মুখের সন্ধান করছিলেন তরুণ মজুমদার। ভার পড়েছিল সহকারী পরিচালক শ্রীনিবাস চক্রবর্তীর উপর। মুখের মধ্যে মায়া থাকবে এমন চেহারা চাই। তাপস পালের মধ্যে সেই মুখ পেয়ে গেলেন তরুণ মজুমদার। শ্যুটিং হয়েছিল শিমূলতলায়। বক্স অফিসে ‘দাদার কীর্তি’ ইতিহাস তৈরি করেছিল। আজও বাংলার জনপ্রিয় ছবির তালিকায় আছে ‘দাদার কীর্তি’। টিভিতে মানুষ উন্মুখ হয়ে দেখে তরুণ মজুমদারের অমর সৃষ্টি।
১৯৮০ সালের কথা। তাপস পাল তখন ২২ বছরের যুবক। লোকাল ট্রেনের কামরায় এক ব্যক্তি বহুক্ষণ ধরে তাকিয়ে আছেন। যেন পা থেকে মাথা পর্যন্ত মাপচ্ছেন। কিছুটা অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল। নামার আগে হঠাৎ সেই ব্যক্তি এসে বললেন , শোন, আমার নাম শ্রীনিবাস চক্রবর্তী। সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করি। তুমি অভিনয় করতে চাও ? কোনদিন এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে তা ভাবেননি তিনি। এককথায় রাজি হয়ে গেলেন। শ্রীনিবাস চক্রবর্তী নিয়ে গেলেন নিউ থিয়েটার স্টুডিওতে। সেখানে এক রাশভারি ব্যক্তির সামনে গিয়ে দাঁড়াতে হল। সেই ব্যক্তি মোটা ফ্রেমের চশমা পড়েছেন। সেই চশমার ভিতরের চোখ দিয়ে যেন মনের ভিতর পর্যন্ত পড়ে নিচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর বললেন, হেঁটে দেখাও। হেসে দেখাও। কাঁদো তো। আচ্ছা, এইবার এটা পড়ে শোনাও। দীর্ঘক্ষণ পরীক্ষার পর বললেন, চলবে। হাসি ফুটল সেই ঘরে উপস্থিত সকলের। আলাপ করালেন শ্রীনিবাসবাবু। উনি তরুণ মজুমদার। ছবির ডিরেক্টর। ‘দাদার কীর্তি’ ছবির জন্য নতুন মুখের সন্ধান করছিলেন তরুণ মজুমদার। ভার পড়েছিল সহকারী পরিচালক শ্রীনিবাস চক্রবর্তীর উপর। মুখের মধ্যে মায়া থাকবে এমন চেহারা চাই। তাপস পালের মধ্যে সেই মুখ পেয়ে গেলেন তরুণ মজুমদার। শ্যুটিং হয়েছিল শিমূলতলায়। বক্স অফিসে ‘দাদার কীর্তি’ ইতিহাস তৈরি করেছিল। আজও বাংলার জনপ্রিয় ছবির তালিকায় আছে ‘দাদার কীর্তি’। টিভিতে মানুষ উন্মুখ হয়ে দেখে তরুণ মজুমদারের অমর সৃষ্টি।
পরের বছর পরিচালক বিজয় বসুর ‘সাহেব’ ছবিতে তাপস পালের অভিনয় মানুষকে কাঁদিয়েছিল। অনুরাগের ছোঁয়া, পারাবত প্রিয়া, চোখের আলোয়, ভালোবাসা ভালোবাসা, পরশমণি, গুরুদক্ষিণা ইত্যাদি সিনেমা তাপস পালকে বাংলার সুপারস্টার করে তুলেছিল। উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বাংলা সিনেমার মোড় ঘুরে গিয়েছিল তাঁর সিনেমার হাত ধরে। গ্রাম বাংলার মা-মাসি-দিদিদের ‘নয়ন মণি’ ছিলেন তিনি। তাঁর হাসি দেখে বাংলার তরুণী হৃদয় বলে উঠত ‘তুমি কত সুন্দর’। এত এত বাম্পার হিট ছবির নায়ক আজ বিস্মৃত। কারণ, শুধু একটি ভুল। ভুল মন্তব্য।
Tapas Paul filmography
দাদার কীর্তি (১৯৮০)
সাহেব (১৯৮১)
সমাপ্তি (১৯৮২)
পারাবত প্রিয়া (১৯৮৪)
অবোধ (হিন্দি, ১৯৮৪)
নিশান্তে (১৯৮৫)
অনুরাগের ছোঁয়া (১৯৮৬)
পথভোলা (১৯৮৬)
ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৬)
গুরুদক্ষিণা (১৯৮৭)
সুরের আকাশে (১৯৮৭)
আগমন (১৯৮৮)
প্রতীক (১৯৮৮)
পরশমণি (১৯৮৮)
তুফান (১৯৮৮)
মঙ্গলদীপ (১৯৮৯)
তুমি কত সুন্দর (১৯৮৯)
আবিষ্কার (১৯৯০)
বলিদান (১৯৯০)
অন্তরের ভালোবাসা (১৯৯১)
মায়া মমতা (১৯৯৩)
সংঘর্ষ (১৯৯৫)
মেজ বউ (১৯৯৫)
উত্তরা (২০০০)
মন্দ মেয়ের উপাখ্যান (২০০২)
ত্যাগ (২০০৪)
ঘাতক (২০০৬)
মন মানে না (২০০৯)
দুর্গেশ নন্দিনী (টিভি সিরিয়াল, ২০১৪)
Who is the daughter of tapas pal?
সোহিনী পাল। বাবার মতো তিনিও সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত।What is the last movie of Tapas Paul?
রাজনীতি থেকে একপ্রকার বিদায় নিয়ে তিনি সিনেমার দিকে মনোনিবেশ করছিলেন। তাঁর শেষ অভিনীত ছবি বাঁশি।READ MORE: স্বামীর সামনে পরপুরুষের সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি ! লজ্জায় পড়েন ‘টাইটানিক’-এর নায়িকা
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box