গত বছরের মাঝামাঝি বীরভূমের দুবরাজপুরের এক কাঁচা বাদাম বিক্রেতার স্বরচিত গান এত হিট হয়েছিল যে , বাংলা ছাড়িয়ে দেশ, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। নামী-দামী ইউটিউবাররা গ্রামে গিয়ে দেখা করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ভিডিও বানান। রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের হয়ে ভোট প্রচার করেছেন। দু’হাতে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করেছেন। কাঁচা বাদামের হাত ধরে কাঁচা মাটির ছোট বাড়ি পাকা দালান হয়েছে। একটি গাড়িও কিনেছিলেন। ভাইরালের দুনিয়ায় এত বড় তারকা হতে খুব কম দেখা গিয়েছে। কিন্তু সে সব সুখের দিন এখন অতীত। লক্ষ্মী এসেও আবার বিদায় নিয়েছেন। যে তিমিরে ছিলেন সেই তিমিরে ফিরে গিয়েছেন ভুবন বাদ্যকর। রিল আর শর্ট ভিডিওর ভীড়ে নামটি এখন হারিয়ে গিয়েছেন। কেউ আর খোঁজ নিতে আসেন না। নেতামন্ত্রীরাও প্রচারে নিয়ে যেতে আগ্রহ দেখান না। শুধু কি তাই ? আরও বড় ধাক্কা লেগেছে জীবনে। লেখাপড়া না জানার খেসারত এইভাবে দিতে হবে কোনদিন ভাবেননি তিনি। হারিয়ে গিয়েছে জীবনের একমাত্র সঞ্চয়।
সম্প্রতি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে ডাক পড়ে ভুবন বাদ্যকরের। স্ত্রী আদুরিকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। সেখানেই এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে কেঁদে ফেললেন প্রায়। বললেন, “এখন আমার গ্রামে যা অবস্থা তাতে আর মাঠে গিয়ে মুনিষ খাটতে পারব না। কেউ কাজ দেবে না। খুব কষ্টে দিন কাটছে”। কিন্তু কী এমন হল যে, প্রায় রাস্তায় নেমে গেলেন ভুবন বাবু। তিনি জানান, পড়াশোনা না জানায় ঠকিয়ে নিয়েছে একজন। ‘কাঁচা বাদাম’ গানের কপিরাইট নিয়ে নিয়েছে একজন। এখন কোন গানে ‘বাদাম’ শব্দ উচ্চারণ করতে পারছেন না তিনি। গাইলেই কপিরাইট দিয়ে দিচ্ছে। সব গান সরিয়ে দিচ্ছে। কোথাও কোন অনুষ্ঠানে গিয়ে ‘কাঁচা বাদাম’ গাইতে পারছেন না। বীরভূমের এক সংস্থা ও তার মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, চক্রান্ত করে আইপিআরএসের নাম করে গান নিয়ে নিয়েছে। আমি লেখাপড়া জানি না। ইংরেজি পড়তে পারি না। এখন আমাকে জানিয়েছে, তোমার গান কিনে নিয়েছি। আর ফোন ধরে না।
আসলে বাদাম কাকুর অজান্তেই তাঁর গান নিয়ে নিয়েছেন অন্যজন। ফলে আর ‘কাঁচা বাদাম’ গান গাইতে পারছেন না কোথাও। অনুষ্ঠানে ডাক এলেও গাইতে পারেন না। বদনাম হয়ে যাচ্ছে। ফলে ডাক আসাও কমে গিয়েছে। আর্থিকভাবে খুব কষ্টে আছেন তিনি। বলতে বলতে গলা ধরে এল। যে গান গেয়ে ভুবন জোড়া খ্যাতি পেয়েছিলেন ভুবন বাদ্যকর, সেই গান এখন পরের হেফাজতে। একদিন ওই গান গেয়ে গেয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাঁচা বাদাম বিক্রি করতেন। কেউ একজন মোবাইলে গানটি রেকর্ড করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। তারপর সবটাই ইতিহাস। গ্রামের গ্লামারহীন মানুষটি ডাক পেয়েছিলেন বাংলা সিনেমার সুপারস্টার জিতের শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’তে। কিন্তু স্মার্টনেসের অভাবেই এখন রাস্তায় বসার উপক্রম। আইনি পথে নিজের লেখা গান উদ্ধার করার চেষ্টায় আছেন তিনি। সেই পথ অনেক দীর্ঘ । তাই জানা নেই, ফের কবে ভুবন বাদ্যকরের মুখে শোনা যাবে-
Bhuban Badyakar: আমি আর মুনিষ খাটতে পারব না
সম্প্রতি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে ডাক পড়ে ভুবন বাদ্যকরের। স্ত্রী আদুরিকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। সেখানেই এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে কেঁদে ফেললেন প্রায়। বললেন, “এখন আমার গ্রামে যা অবস্থা তাতে আর মাঠে গিয়ে মুনিষ খাটতে পারব না। কেউ কাজ দেবে না। খুব কষ্টে দিন কাটছে”। কিন্তু কী এমন হল যে, প্রায় রাস্তায় নেমে গেলেন ভুবন বাবু। তিনি জানান, পড়াশোনা না জানায় ঠকিয়ে নিয়েছে একজন। ‘কাঁচা বাদাম’ গানের কপিরাইট নিয়ে নিয়েছে একজন। এখন কোন গানে ‘বাদাম’ শব্দ উচ্চারণ করতে পারছেন না তিনি। গাইলেই কপিরাইট দিয়ে দিচ্ছে। সব গান সরিয়ে দিচ্ছে। কোথাও কোন অনুষ্ঠানে গিয়ে ‘কাঁচা বাদাম’ গাইতে পারছেন না। বীরভূমের এক সংস্থা ও তার মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, চক্রান্ত করে আইপিআরএসের নাম করে গান নিয়ে নিয়েছে। আমি লেখাপড়া জানি না। ইংরেজি পড়তে পারি না। এখন আমাকে জানিয়েছে, তোমার গান কিনে নিয়েছি। আর ফোন ধরে না।
আসলে বাদাম কাকুর অজান্তেই তাঁর গান নিয়ে নিয়েছেন অন্যজন। ফলে আর ‘কাঁচা বাদাম’ গান গাইতে পারছেন না কোথাও। অনুষ্ঠানে ডাক এলেও গাইতে পারেন না। বদনাম হয়ে যাচ্ছে। ফলে ডাক আসাও কমে গিয়েছে। আর্থিকভাবে খুব কষ্টে আছেন তিনি। বলতে বলতে গলা ধরে এল। যে গান গেয়ে ভুবন জোড়া খ্যাতি পেয়েছিলেন ভুবন বাদ্যকর, সেই গান এখন পরের হেফাজতে। একদিন ওই গান গেয়ে গেয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাঁচা বাদাম বিক্রি করতেন। কেউ একজন মোবাইলে গানটি রেকর্ড করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। তারপর সবটাই ইতিহাস। গ্রামের গ্লামারহীন মানুষটি ডাক পেয়েছিলেন বাংলা সিনেমার সুপারস্টার জিতের শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’তে। কিন্তু স্মার্টনেসের অভাবেই এখন রাস্তায় বসার উপক্রম। আইনি পথে নিজের লেখা গান উদ্ধার করার চেষ্টায় আছেন তিনি। সেই পথ অনেক দীর্ঘ । তাই জানা নেই, ফের কবে ভুবন বাদ্যকরের মুখে শোনা যাবে-
আমার কাছে নেই কো বুবু ভাজা বাদাম
আমার কাছে আছে শুধু কাঁ-চা-বাদাম।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box