Roopa Ganguly Meyebela serial Star Jalswa: কামব্যাকে চূড়ান্ত ব্যর্থ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় , জমল না মেয়েবেলা
২০১৫ সালে অপর্ণা সেনের বাংলা ছবি ‘আরশিনগর’-এ শেষ অভিনয় । তারপর ঘটা করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে (BJP) যোগদান । পরের বছর অর্থাৎ ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি হাওড়া উত্তর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa Ganguly) । কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লার কাছে বিরাট ব্যবধানে পরাজিত হন। তবে বিজেপি তাঁকে নিরাশ করেনি । নভজ্যোত সিং সিধুর পরিবর্তে তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য করা হয়। প্রথমদিকে রাজনীতিতে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় যতটা সক্রিয় ছিলেন, সময়ের সময়ের সঙ্গে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। দলে তাঁর গুরুত্ব এখন তলানিতে। মাঝে কয়েকটি বিতর্কে জড়ান তিনি। যেমন , অশ্লীল ভাষার ব্যবহার , মিছিলের মাঝপথে ভ্যানিটি ভ্যানে উঠে মেকআপ ঠিক করা ইত্যাদি। এইসব ইস্যু রূপার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে শাসক দল তৃণমূল । রাজনৈতিকভাবে যার মোকাবিলা তিনি করতে পারেননি। বহুদিন তাঁকে সেভাবে কোথাও দেখাও যায়নি। স্টার জলসার ‘ মেয়েবেলা’ সিরিয়ালে মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্পের মধ্যমণি হয়ে ফিরলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় । প্রায় আট বছর পর পর্দায় রূপার কামব্যাক দেখতে মুখিয়ে ছিলেন দর্শকরা। কিন্তু সে গুড়ে বালি। ট্রেলার যত জমজমাট ছিল, সিরিয়ালের গল্প তেমন জমল কই ? সেই থোড় বড়ি খাড়া ! সিরিয়ালের গল্পের ট্রাকে বিশেষ কোন মৌলিকত্ব না থাকায় দর্শক হতাশ। প্রথম দিকে বিরাট টিআরপি হাঁকালেও সপ্তাহ ঘুরতেই পতন শুরু। আর এই সপ্তাহে দেখা যাচ্ছে , স্টার জলসা এবং জি বাংলা মিলিয়ে টিআরপির ভিত্তিতে প্রথম দশেও ঠাঁই পাইনি মেয়েবেলা। ১২ নম্বরে অবস্থান করছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সিরিয়াল।
স্টার জলসার নিজস্ব তালিকায় ছয়ে আছে মেয়েবেলা। এই নিয়ে ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের কি বক্তব্য ? তিনি জানান, টিআরপির ব্যাপারটা তিনি ভালো বোঝেন না। স্টারের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হটস্টারে নাকি ভালো চলছে মেয়েবেলা। বিদেশের দর্শক দেখছেন। যাঁদের টিভিতে বসে সিরিয়াল দেখার সময় থাকে না, তাঁরা হটস্টারে দেখে নিচ্ছেন নিজেদের সময় মতো। সেখানে কেন টিআরপি মাপা হচ্ছে না ? প্রশ্ন রূপার। একই সঙ্গে যে সব সিরিয়াল ভালো র্যাঙ্ক করছে, তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। কেমন যেন অভিমানের সুর। অভিমান কি দর্শকদের প্রতি ?
· জন্ম- ১৯৬৬ সালের ২৫ নভেম্বর , শুক্রবার (বয়স ৫৭ বছর )
· জন্মস্থান- কল্যাণী , নদীয়া
· বাবা- সমরেন্দ্র লাল গঙ্গোপাধ্যায়
· মা- যূথিকা গঙ্গোপাধ্যায়
· স্কুল- বেলতলা গার্লস হাইস্কুল , কলকাতা
· কলেজ – যোগমায়া দেবী
· শিক্ষাগত যোগ্যতা – বিএসসি
· স্বামী – ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিয়ে হয়েছিল ১৯৯১ সালে, বিচ্ছেদ হয় ২০০৬-এ।
· সন্তান – আকাশ মুখোপাধ্যায়
· গায়ক দিব্যেন্দুর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর লিভ-ইন করেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় । কিন্তু বয়সে অনেক ছোট দিব্যেন্দুর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়।
প্রথম সুযোগ- স্নাতক হওয়ার পর অনেকেই তাঁকে অভিনয় করতে বলেন । কোন একটি বিয়ে বাড়িতে পরিচালক বিজয় চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয় হয় । তিনি তাঁর হিন্দি টেলিফিল্ম ‘নিরুপমা’ -র জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেনাপাওনা গল্প নিয়ে তৈরি হয় নিরুপমা। রূপাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। প্রথমে না বললেও পরিবারের সম্মতিতে পরে হ্যাঁ বলেন। এই টেলিফিল্মে তাঁর বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
সিনেমায় অভিনয়- রূপার অভিনয়ে খুশি হয়ে নিজের প্রথম ছবি ‘স্ত্রী পত্র’ (১৯৮৬) তে সুযোগ দিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর প্রভাত রায়ের ‘প্রতীক’ (১৯৮৮) ছবি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে ব্যাপক জনপ্রিয়তা দিয়েছিল। নায়ক ছিলেন চিরঞ্জিত। বীরেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘তুফান’ (১৯৮৯) ছবিতে ফের চিরঞ্জিতের বিপরীতে কাস্ট করেন। মৃণাল সেন তাঁর হিন্দি ছবি ‘একদিন আচানক’-এ সুযোগ দিয়েছিলেন।
Rupa Ganguly Draupadi- মহাভারত ধারাবাহিকে দ্রৌপদীর ভূমিকায় অভিনয় তাঁকে সারা বিশ্বে পরিচিতি দিয়েছিল। তার আগে দূরদর্শনে ‘গণদেবতা’ সিরিয়ালে রূপার অভিনয় দেখে প্রভাবিত হন বি আর চোপড়া। জুহি চাওলা দ্রৌপদীর চরিত্র ফিরিয়ে দেওয়ার পর তিনি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে অফার দিয়েছিলেন। সাউথের অভিনেত্রী রামাইয়া কৃষ্ণানকে প্রাথমিকভাবে সিলেক্ট করা হয়। লুকটেস্টের পর রূপাকেই চূড়ান্ত বাছাই করা হয়। কারণ তাঁর হিন্দি ও সংস্কৃত উচ্চারণ ভালো ছিল।
মহাভারতের পর হিন্দি, তামিল, মালায়লম মিলিয়ে একাধিক ছবিতে পরপর কাজ করেন। কিন্তু তেমন জায়গা করতে পারেননি। ফিরে আসেন বাংলায়। ১৯৯৩ সালে গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ছবিতে কপিলার চরিত্রে রূপার অভিনয় প্রসংশিত হয়েছিল। ২০১২ সালে ‘অবশেষে’ ছবিতে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে জাতীয় পুরস্কার পান।
স্টার জলসার নিজস্ব তালিকায় ছয়ে আছে মেয়েবেলা। এই নিয়ে ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের কি বক্তব্য ? তিনি জানান, টিআরপির ব্যাপারটা তিনি ভালো বোঝেন না। স্টারের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হটস্টারে নাকি ভালো চলছে মেয়েবেলা। বিদেশের দর্শক দেখছেন। যাঁদের টিভিতে বসে সিরিয়াল দেখার সময় থাকে না, তাঁরা হটস্টারে দেখে নিচ্ছেন নিজেদের সময় মতো। সেখানে কেন টিআরপি মাপা হচ্ছে না ? প্রশ্ন রূপার। একই সঙ্গে যে সব সিরিয়াল ভালো র্যাঙ্ক করছে, তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। কেমন যেন অভিমানের সুর। অভিমান কি দর্শকদের প্রতি ?
Roopa Ganguly age, husband name, live-in relation, biography
· জন্ম- ১৯৬৬ সালের ২৫ নভেম্বর , শুক্রবার (বয়স ৫৭ বছর )
· জন্মস্থান- কল্যাণী , নদীয়া
· বাবা- সমরেন্দ্র লাল গঙ্গোপাধ্যায়
· মা- যূথিকা গঙ্গোপাধ্যায়
· স্কুল- বেলতলা গার্লস হাইস্কুল , কলকাতা
· কলেজ – যোগমায়া দেবী
· শিক্ষাগত যোগ্যতা – বিএসসি
· স্বামী – ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিয়ে হয়েছিল ১৯৯১ সালে, বিচ্ছেদ হয় ২০০৬-এ।
· সন্তান – আকাশ মুখোপাধ্যায়
· গায়ক দিব্যেন্দুর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর লিভ-ইন করেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় । কিন্তু বয়সে অনেক ছোট দিব্যেন্দুর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়।
প্রথম সুযোগ- স্নাতক হওয়ার পর অনেকেই তাঁকে অভিনয় করতে বলেন । কোন একটি বিয়ে বাড়িতে পরিচালক বিজয় চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয় হয় । তিনি তাঁর হিন্দি টেলিফিল্ম ‘নিরুপমা’ -র জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেনাপাওনা গল্প নিয়ে তৈরি হয় নিরুপমা। রূপাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। প্রথমে না বললেও পরিবারের সম্মতিতে পরে হ্যাঁ বলেন। এই টেলিফিল্মে তাঁর বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
সিনেমায় অভিনয়- রূপার অভিনয়ে খুশি হয়ে নিজের প্রথম ছবি ‘স্ত্রী পত্র’ (১৯৮৬) তে সুযোগ দিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর প্রভাত রায়ের ‘প্রতীক’ (১৯৮৮) ছবি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে ব্যাপক জনপ্রিয়তা দিয়েছিল। নায়ক ছিলেন চিরঞ্জিত। বীরেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘তুফান’ (১৯৮৯) ছবিতে ফের চিরঞ্জিতের বিপরীতে কাস্ট করেন। মৃণাল সেন তাঁর হিন্দি ছবি ‘একদিন আচানক’-এ সুযোগ দিয়েছিলেন।
Rupa Ganguly Draupadi- মহাভারত ধারাবাহিকে দ্রৌপদীর ভূমিকায় অভিনয় তাঁকে সারা বিশ্বে পরিচিতি দিয়েছিল। তার আগে দূরদর্শনে ‘গণদেবতা’ সিরিয়ালে রূপার অভিনয় দেখে প্রভাবিত হন বি আর চোপড়া। জুহি চাওলা দ্রৌপদীর চরিত্র ফিরিয়ে দেওয়ার পর তিনি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে অফার দিয়েছিলেন। সাউথের অভিনেত্রী রামাইয়া কৃষ্ণানকে প্রাথমিকভাবে সিলেক্ট করা হয়। লুকটেস্টের পর রূপাকেই চূড়ান্ত বাছাই করা হয়। কারণ তাঁর হিন্দি ও সংস্কৃত উচ্চারণ ভালো ছিল।
মহাভারতের পর হিন্দি, তামিল, মালায়লম মিলিয়ে একাধিক ছবিতে পরপর কাজ করেন। কিন্তু তেমন জায়গা করতে পারেননি। ফিরে আসেন বাংলায়। ১৯৯৩ সালে গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ছবিতে কপিলার চরিত্রে রূপার অভিনয় প্রসংশিত হয়েছিল। ২০১২ সালে ‘অবশেষে’ ছবিতে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে জাতীয় পুরস্কার পান।
Roopa Ganguly filmography (Bengali)
· প্রতীক (১৯৮৮)
· অগ্নিতৃষ্ণা (১৯৮৮)
· আমানত (১৯৮৯)
· তুফান (১৯৮৯)
· অগ্নিকন্যা (১৯৯০)
· সাধারণ মেয়ে (১৯৯১)
· ধর্ম যুদ্ধ (১৯৯২)
· পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৯৩)
· বাড়িওয়ালি (২০০০)
· বস্তির মেয়ে রাধা (২০০০)
· দেখা (২০০১)
· বাঙ্গালি বাবু (২০০২)
· মহুলবনির সেরেঞ্চ (২০০৪)
· অন্তর মহল (২০০৫)
· যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল (২০০৭)
· খেলা (২০০৮)
· রহমত আলি (২০১০)
· হেমলক সোসাইটি (২০১২)
· নামতে নামতে (২০১৩)
· নয়ন চাঁপার দিনরাত্রি (২০১৪)
· আরশিনগর (২০১৫)
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box