Swetkali zee5: এখনও সিরিজ রিলিজ হয়নি । শুধুমাত্র পোস্টার আর ট্রেলার দেখেই বেজায় চটেছেন বাংলার হিন্দু দর্শক। সোশ্যাল সাইটে দিনরাত চলছে গালিগালাজ। বিতর্কে জি ফাইভের ওয়েবসিরিজ ‘শ্বেতকালী’ swetkali zee5। অন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে বিগত কয়েকদিনে বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে জি ফাইভ। তাই ঢেলে সাজানো চলছে। রহস্য-রোমাঞ্চ সিরিজ দিয়ে সাজানো হয়েছে জি টিভির ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। ইতিমধ্যেই কয়েকটি রিলিজ হয়েছে। ঘোষণা হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি। তারই মধ্যে একটি ‘শ্বেতকালী’। ট্রেলারে দেখা গিয়েছে, একটি পুরনো দিনের জমিদার বাড়ির দেওয়াল ভেঙে উদ্ধার হয় কালী প্রতিমা। সেই প্রতিমার বিশেষত্ব হল- গায়ের রং সাদা। কালী প্রতিমার রং সাদা বিরল ঘটনা। প্রতিমাটি প্রকাশ্যে আসতেই একের পর এক নৃশংস খুন হতে শুরু করে বাড়িতে। অনেকে দাবি করেন, রক্তপিপাসী মায়ের বলি চায়। কে বা কারা খুন করছে, সেটাই উন্মোচিত হবে এই সিরিজে। অভিনয় করেছেন ঐন্দ্রিলা সেন, সাহেব ভট্টাচার্য , দেবদূত ঘোষ, সৌরভ চক্রবর্তী, ঋষি কৌশিক। অ্যাক্রোপলিশ এন্টারটেইমেন্ট পরিবেশিত সানি ঘোষ রায়ের পরিচালনায় ‘ swetkali zee5’ আসছে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারী।
জি ফাইভ তাদের সোশ্যাল সাইটে এই সিরিজের (swetkali zee5) একাধিক পোস্টার রিলিজ করেছে। তারই মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে, মায়ের খড়্গ থেকে রক্ত চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে। আর তাতেই খেপে গিয়েছেন দর্শকরা। অনেকে লিখেছেন, হিন্দু দেবদেবী নিয়ে ভয়ঙ্কর মজা সবসময় করা যায়। মুসলিমদের নিয়ে করলে এতক্ষণে খাসি হয়ে যেতেন। আবার কেউ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, হিন্দু দেবীদের নিয়ে এমনটা না করলেই কি নয় ? অনেকের প্রশ্ন, মা কালী আবার সাদা ? এতো সমালোচনার পর সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে সিরিজ রিলিজ হলেই পরিষ্কার হবে আদৌ দেবদেবীদের নিয়ে মজা করা হয়েছে কি না ।
এই বাংলার লোকগাথার সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা দেবদেবী, মন্দির, প্রাচীন সংস্কৃতি এবং বিশ্বাস। দুই বাংলার আনাচে কানাচে ঘুরলে দেখা মিলবে নানা ধরণের দেব বা দেবীর। যাঁদের উল্লেখ প্রাচীন গ্রন্থতে পাওয়া যায় না ঠিকই। তবে তাঁরা আছেন বাংলার মানুষের বিশ্বাসে। বিভিন্ন লোককথায়। স্থানীয় গানে। তেমনই এক দেবী হুগলী জেলার রাজবলহাটে। যাঁকে রাজবল্লভী বা শ্বেতকালী বলেন স্থানীয়রা। কথিত আছে, ১২৪২ খ্রীষ্টাব্দে তৎকালীন রাজপুরে শ্রীশ্রী রাজবল্লভী মায়ের মন্দির স্থাপন করেছিলেন রাজা সদানন্দ রায়। বহুবার সংস্কারের ফলে মন্দিরের প্রাচীনত্ব আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানে মা কালীর অদ্ভূত মূর্তি। তিনি দেবী সরস্বতী ও কালীর মিশেলে রাজবল্লভী। সম্পূর্ণ সাদা রংয়ের এই কালী প্রতিমা মাটি দিয়ে তৈরি। প্রত্যেক ১৩-১৪ বছর অন্তর গঙ্গা মাটি দিয়ে মায়ের নতুন প্রতিমা গঠন করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা হয়। ত্রিনেত্র দেবীর বাঁ পা বিরূপাক্ষ শিবের মাথায়, আর ডান পা অদ্ভূত ভঙ্গিমায় শুয়ে থাকা মহাকাল ভৈরবের বুকে। গলায় ঘণ্টার মালা, কোমরে কাটা হাতের মালা। এক হাতে সিঁদুর পাত্র আর অন্যহাতে ছুরি।
‘ শ্বেতকালী’ বলতে বাংলায় এই একটি প্রতিমার উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে তাঁর সঙ্গে ওয়েব সিরিজে দেখানো মা কালীর প্রতিমার কোন মিল নেই। দেবী রাজবল্লভীর উল্লেখ আমরা কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চণ্ডীকাব্যে পাই। তবে শ্বেতকালী শুধু রাজবলহাট নয়, বীরভূম জেলার অজয়পুর গ্রামে অগ্রহায়ণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ‘ শ্বেতকালী’র পুজো হয়। শোনা যায়, জনৈক সাধু অমাবশ্যার রাতে শুধু প্রদীপের আলোয় মায়ের মুখ দেখতে পাতেন না। তাই পূর্ণিমায় তিনি মায়ের পুজোর প্রচলন করেন। এছাড়া নেপালের কাঠমান্ডুতে একটি ‘ শ্বেতকালী’ মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়।
কেন বিতর্কে ‘শ্বেতকালী’ ?
জি ফাইভ তাদের সোশ্যাল সাইটে এই সিরিজের (swetkali zee5) একাধিক পোস্টার রিলিজ করেছে। তারই মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে, মায়ের খড়্গ থেকে রক্ত চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে। আর তাতেই খেপে গিয়েছেন দর্শকরা। অনেকে লিখেছেন, হিন্দু দেবদেবী নিয়ে ভয়ঙ্কর মজা সবসময় করা যায়। মুসলিমদের নিয়ে করলে এতক্ষণে খাসি হয়ে যেতেন। আবার কেউ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, হিন্দু দেবীদের নিয়ে এমনটা না করলেই কি নয় ? অনেকের প্রশ্ন, মা কালী আবার সাদা ? এতো সমালোচনার পর সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে সিরিজ রিলিজ হলেই পরিষ্কার হবে আদৌ দেবদেবীদের নিয়ে মজা করা হয়েছে কি না ।
Swetkali zee 5: ‘ শ্বেতকালী’ সত্যি আছেন ?
“শ্যামা কখনো শ্বেত, কখনো পীত, কখনো নীল লোহিত রে...”
এই বাংলার লোকগাথার সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা দেবদেবী, মন্দির, প্রাচীন সংস্কৃতি এবং বিশ্বাস। দুই বাংলার আনাচে কানাচে ঘুরলে দেখা মিলবে নানা ধরণের দেব বা দেবীর। যাঁদের উল্লেখ প্রাচীন গ্রন্থতে পাওয়া যায় না ঠিকই। তবে তাঁরা আছেন বাংলার মানুষের বিশ্বাসে। বিভিন্ন লোককথায়। স্থানীয় গানে। তেমনই এক দেবী হুগলী জেলার রাজবলহাটে। যাঁকে রাজবল্লভী বা শ্বেতকালী বলেন স্থানীয়রা। কথিত আছে, ১২৪২ খ্রীষ্টাব্দে তৎকালীন রাজপুরে শ্রীশ্রী রাজবল্লভী মায়ের মন্দির স্থাপন করেছিলেন রাজা সদানন্দ রায়। বহুবার সংস্কারের ফলে মন্দিরের প্রাচীনত্ব আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানে মা কালীর অদ্ভূত মূর্তি। তিনি দেবী সরস্বতী ও কালীর মিশেলে রাজবল্লভী। সম্পূর্ণ সাদা রংয়ের এই কালী প্রতিমা মাটি দিয়ে তৈরি। প্রত্যেক ১৩-১৪ বছর অন্তর গঙ্গা মাটি দিয়ে মায়ের নতুন প্রতিমা গঠন করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা হয়। ত্রিনেত্র দেবীর বাঁ পা বিরূপাক্ষ শিবের মাথায়, আর ডান পা অদ্ভূত ভঙ্গিমায় শুয়ে থাকা মহাকাল ভৈরবের বুকে। গলায় ঘণ্টার মালা, কোমরে কাটা হাতের মালা। এক হাতে সিঁদুর পাত্র আর অন্যহাতে ছুরি।
‘ শ্বেতকালী’ বলতে বাংলায় এই একটি প্রতিমার উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে তাঁর সঙ্গে ওয়েব সিরিজে দেখানো মা কালীর প্রতিমার কোন মিল নেই। দেবী রাজবল্লভীর উল্লেখ আমরা কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চণ্ডীকাব্যে পাই। তবে শ্বেতকালী শুধু রাজবলহাট নয়, বীরভূম জেলার অজয়পুর গ্রামে অগ্রহায়ণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ‘ শ্বেতকালী’র পুজো হয়। শোনা যায়, জনৈক সাধু অমাবশ্যার রাতে শুধু প্রদীপের আলোয় মায়ের মুখ দেখতে পাতেন না। তাই পূর্ণিমায় তিনি মায়ের পুজোর প্রচলন করেন। এছাড়া নেপালের কাঠমান্ডুতে একটি ‘ শ্বেতকালী’ মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box