Soumya chakrabortty-durnibar saha fight: কারও পিএকে সিঁড়ি বানায়নি…এবার দুর্নিবারকে উত্তম খোঁচা দিলেন গায়ক সৌম্য চক্রবর্তী

প্রথম স্ত্রীকে এক বছরের মাথায় ছেড়ে এখন নেট নাগরিকদের চোখে রীতিমতো ভিলেন দুর্নিবার সাহা। ছাড় পাচ্ছেন না দ্বিতীয় স্ত্রী ঐন্দ্রিলা ওরফে মোহরও। তাঁদের বিয়ের দিন থেকে সোশ্যাল সাইটে ট্রোলিং চলছে। সাধারণ মানুষ প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের প্রতি সমব্যথী। তাই কেউ দুর্নিবারকে ছেড়ে কথা বলছে না। যদিও তাতে তাঁর কিছু যায় আসে না। পালটা রীতিমতো অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে ট্রোলারদের জবাব দিয়েছেন তিনি। স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি দিয়েছেন ফেসবুকে। কিন্তু তাতেও আক্রমণ থামেনি। পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়েন। পরে তাঁকে ফেসবুকে ক্ষমা চাইতে হয়। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো। এবার কিছুটা ঘুরিয়ে কটাক্ষ এল একসময়ের সহ প্রতিযোগীর কাছ থেকে। ২০১৫ সালের জি বাংলার সারেগামাপা অনুষ্ঠানে একসঙ্গে লড়াই করেছিলেন দুর্নিবার সাহা ও সৌম্য চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন অদিতি মুন্সিও। সবাইকে পিছনে ফেলে ফাইনালে জয়ী হয়েছিলেন সৌম্য। যদিও দুর্নিবারও নাম করেন। এতদিন পর সহশিল্পীকে তাঁর বিয়েতে শুভেচ্ছা জানানো তো দূরের কথা পালটা সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করে খোঁচা দিলেন সৌম্য। তিনি সরাসরি লিখেছেন, কারও পিএকে অর্থাৎ ব্যক্তিগত সচিবকে ওঠার সিঁড়ি বানায়নি। প্রসঙ্গত, দুর্নিবারের দ্বিতীয় স্ত্রী মোহর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মোহরের বিয়ের যাবতীয় আয়োজন দেখেন তিনি।

কী লিখেছেন সৌম্য ?

এদিন সৌম্য তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, “পরিণত প্রেমের বিয়ে আর সওদা দুটি আলাদা জিনিস! মানুষ পরিণত প্রেমের নয়, সওদা বিয়ের সমালোচনা করে। বেশ করে ! উচিত করে ”। তাঁর এই পোস্টের নীচে কেউ একজন দুর্নিবার সাহার নাম লিখেছিলেন। তাঁকে উদ্দেশ্যে করে সৌম্য পালটা লেখেন, “আমার সঙ্গে উক্ত আর্টিস্টের যোগসূত্র স্থাপন করো না। আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। আর চিনতেও চাই না। আমি চার বছর লিভ ইন করে তারপর মিডিয়া ডেকে বিয়ে করে, আবার ছ’মাসের মধ্যে বিচ্ছেদ করিনি। ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসিনি। কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমার কিছু এসে যায় না। আমি সাধারণ মানুষের পক্ষে কথাগুলি লিখেছিলাম”।

একথা সবাই জানে, সারেগামাপা জেতার বছরেই প্রেমিকা রূপসাকে বিয়ে করেছিলেন সৌম্য। কিন্তু তাঁর সংসারও টেকেনি। ফের একটি নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন। দীর্ঘদিনের বান্ধবী ঋত্বিকার সঙ্গে সম্পর্কে আছেন। সে ব্যাপারে পোস্টে সাফাই দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, “আমার আগের প্রেম ছিল মাত্র আড়াই তিন মাসের। যাচাই না করেই তাড়াহুড়োই বিয়ে করেছিলাম। সম্পর্ক ভেঙে ছিল দেড় বছরের মাথায়। তারপর ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গেল ছিলাম। এতদিনে এনগেইজড। আমাকে নিয়ে কেউ ট্রোল করে না। কারণ সবাই জানে, কীভাবে আমি ভেঙে আবার জুড়েছি এই পাঁচ বছরে। কারও পিএকে সিঁড়ি বানায়নি। দীর্ঘদিনের বান্ধবী আমার জীবন আজ গতিময় করেছে”।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.