ইদানিং তাঁকে যতবেশি পর্দায় দেখা যায়, তার থেকে অনেক বেশি থাকেন বিতর্কের শিরোনামে। রাজনৈতিক থেকে টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রির হেঁশেলের খবর, সব কিছু নিয়ে মন্তব্য করে তিনি আলোচনায় থাকেন। শুরুটা হয়েছিল তিন বছর আগে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে নেপোটিজমের অভিযোগ তুলে। তারপর থেকে একটু বেশি সাহসী, বিদ্রোহী শ্রীলেখা মিত্র। সাম্প্রতিককালে বনি সেনগুপ্তের ইস্যুতেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি। আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে বড় সমালোচক। কোন ইস্যুতেই ছেড়ে কথা বলেন না। কাজ হারানোর ভয় তিনি পান না। সেকথা খোলাখুলি বলেও থাকেন। এখন নিজেই ছবি পরিচালনা করার পাশপাশি অভিনয় করছেন। তাঁর পরিচালিত ‘ছাদ’ ছবিটি বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছে। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও খোলা পাতা শ্রীলেখা মিত্র। বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে তিনি একাই থাকেন। মেঘে মেঘে বেলা অনেক হলেও প্রেম বা বিয়ে নিয়ে এখনও অকপট তিনি। ক’দিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা বলেন, তাঁর জীবনের পুরুষকে চারটি গুণের অধিকারী হতে হবে। বাস্তবে সেটা সম্ভব নয়। তাই একজন হলে চলবে না, চারজন দরকার।
২০০৩ সালে শিলাদিত্য স্যানালের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শ্রীলেখার। কিন্তু দশ বছর পর ২০১৩ সালে বিয়ে ভেঙে যায়। তাঁদের একমাত্র মেয়ে মাইয়া এখন ১৭ বছরের তরুণী। বর্তমানে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে থাকেন শ্রীলেখা মিত্র।
ওই সাক্ষাৎকারে নিজের বিয়ে নিয়ে বলার পাশপাশি কবীর সুমন ইস্যুতে তসলিমা নাসরিনের পাশে দাঁড়ালেন শ্রীলেখা। কবীর সুমন দাবি করেছিলেন, এই ৭৫ বছর বয়সে তিনি সক্ষম কারণ মুক্তকাম। যার মধ্যে অশ্লীলতা আছে। গায়কের এই মন্তব্যের পর ফুঁসে ওঠেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেন, এই কথাটা যদি কোন মহিলা বলত, তাহলে তার তীব্র সমালোচনা হত। একই বক্তব্য শ্রীলেখা মিত্রের। তিনি বলেন, সক্ষম হওয়া ভালো। শরীর ভালো থাকে। কিন্তু এই কথা কোন মহিলা বললে তাকে শুধু রেপ করতে বাকি রাখা হতো। আসলে আমরা মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু। আমরা সঠিক শিক্ষা পাইনি।
কী বলেছেন শ্রীলেখা ?
সম্প্রতি ২৪ ঘণ্টা চ্যালেনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা মিত্রকে প্রশ্ন করা হয়, আর কি বিয়ে করবেন না ? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, “ কেন করব না ? তবে আমার লিস্ট অনেক লম্বা। একজনকে দিয়ে হবে না, চারজন চাই”। কেমন ছেলে হলে তিনি বিয়ে করবেন ? এর জবাবে তিনি জানান, “পয়সাওয়ালা হতে হবে। আমি স্ট্রাগালার চাই না। অবশ্যই দেখতে ভালো হতে হবে। তবে বডি বিল্ডার হওয়ার দরকার নেই। চেহারার মধ্যে যেন বুদ্ধিমত্তার ছাপ থাকে। পড়াশোনায় ভালো হওয়া চাই। আমার এক্স হাসবেন্ড কিন্তু এইরকম, তাই সেই বেঞ্চমার্ক টপকাতে হবে”। একইসঙ্গে শ্রীলেখার আরও সংযোজন, অযথা সন্দেহবাতিক তাঁর ভালো লাগে না। বেশি পজেসিভ হলে চলবে না। মানে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বললে তার কৈফিয়ত বারবার দেওয়া সম্ভব নয়। সেই বিশ্বাসটা রাখতে হবে।২০০৩ সালে শিলাদিত্য স্যানালের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শ্রীলেখার। কিন্তু দশ বছর পর ২০১৩ সালে বিয়ে ভেঙে যায়। তাঁদের একমাত্র মেয়ে মাইয়া এখন ১৭ বছরের তরুণী। বর্তমানে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে থাকেন শ্রীলেখা মিত্র।
ওই সাক্ষাৎকারে নিজের বিয়ে নিয়ে বলার পাশপাশি কবীর সুমন ইস্যুতে তসলিমা নাসরিনের পাশে দাঁড়ালেন শ্রীলেখা। কবীর সুমন দাবি করেছিলেন, এই ৭৫ বছর বয়সে তিনি সক্ষম কারণ মুক্তকাম। যার মধ্যে অশ্লীলতা আছে। গায়কের এই মন্তব্যের পর ফুঁসে ওঠেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেন, এই কথাটা যদি কোন মহিলা বলত, তাহলে তার তীব্র সমালোচনা হত। একই বক্তব্য শ্রীলেখা মিত্রের। তিনি বলেন, সক্ষম হওয়া ভালো। শরীর ভালো থাকে। কিন্তু এই কথা কোন মহিলা বললে তাকে শুধু রেপ করতে বাকি রাখা হতো। আসলে আমরা মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু। আমরা সঠিক শিক্ষা পাইনি।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box