Tithi basu ma serial jhilik: মা সিরিয়ালের ঝিলিককে মনে আছে ? ছোটবেলায় বাবা ছেড়ে চলে যান, তারপর কেমন ছিল লড়াই ?

তোমায় ছাড়া ঘুম আসে না মা। মায়ায় ভরা ছোট্ট একটি বাচ্চা মেয়ের মুখের এই গান সবার মন ভরিয়ে দিয়েছিল। স্টার জলসার ‘মা’ ধারাবাহিক অন্যতম সুপারহিট সিরিয়াল। আর এই সিরিয়ালের সেই বাচ্চা মেয়ে ঝিলিক দর্শকের মন জয় করেছিল সবথেকে বেশি। আসল নাম তিথি বসু। যদিও মানুষ মনে রেখেছে ঝিলিক হিসেবে। সিরিয়ালের গল্প ছিল ছোটবেলায় মাকে হারিয়ে অনাথ ঝিলিক বস্তিতে বড় হয়। কিন্তু তার দুটি চোখ মাকেই খুঁজে বেড়ায়। অনেক ঝড় ঝাপ্টার পর একদিন সে তার মায়ের দেখা পায়। বাস্তবেও তিথির জীবনও অনেকটা যেন ঝিলিকের মতোই। ছোট বেলায় ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বাবা। বাবা-মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তারপর কত কষ্টে কেটেছে জীবন, সেটাই সদ্য একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিথি বসু।

ভয়ঙ্কর ছিল ছোটবেলা

ঝিলিক ওরফে তিথি এখন আর ছোট নেই। তিনি এখন ২২ বছরের যুবতী। একটি সিরিয়াল তাঁকে বিরাট প্রচার দিয়েছিল। কিন্তু অন্যদিকে জীবনে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। জোসটকের ইউটিউবের চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিথি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের অনেক অজানা কাহিনী জানিয়েছেন। তিনি জানান, তখন মা সিরিয়াল শেষ হয়ে গিয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বাবা-মায়ের মধ্যে হঠাৎ কোন কারণে খুব ঝামেলা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বাবা তাঁদের ছেড়ে চলে যান। জীবনের বড় পরীক্ষার আগে অন্য পরীক্ষার মুখে পড়েন তিথি। তখন মাত্র তিথির ১৫ বছর বয়স। ওইটুকু বয়সেই পুরো সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর উপর। পরীক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি মায়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।

ওর বাবা নেই, ওর কিছু হবে না

জীবনের সেই কঠিন মুহূর্তে কোন আত্মীয় স্বজনকে পাশে পাননি। অনেক চেনা মানুষ অচেনা হয়ে গিয়েছে। মা এবং তিথি তখন একা লড়াই করেছেন। কেউ সাহায্য করেনি। উল্টে কটাক্ষ করেছে। অনেকে বলেছে, ‘ওর বাবা ছেড়ে চলে গিয়েছে, ওর আর কিছু হবে না। এবার ভেসে যাবে’। এমনও দিন ছিল ঘরে ভাত দিয়ে খাওয়ার মতো কিছু ছিল না। শুধু ভাত খেয়েই স্কুলে গিয়েছেন তিথি। লুকিয়ে কেঁদেছেন। মাকে বুঝতে দেননি। কোন রকম টিউশনি না নিয়েই উচ্চ মাধ্যমিকে ৯১ শতাংশ পেয়ে সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। বিশেষ করে নিজের বাবাকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন।

মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকে এত কিছু দেখেছেন যে এখন আর কোন কিছু তাঁকে আর প্রভাবিত করে না, জানিয়েছেন তিথি। এখন সব সময় চেষ্টা করেন হাসিখুশি থাকার। দুঃখ তাঁকে আর ছুঁতে পারে না। এতদিন পড়াশোনা করেছেন মন দিয়ে। বাবা আবার তাঁদের কাছে ফিরে এসেছেন। এখন অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাই তিথির লক্ষ্য।

প্রেম ভেঙে গিয়েছে

গত বছরই প্রেমিক দেবায়ুধ পালের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। সোশ্যাল সাইটে নিজে প্রেম ভাঙার কথা জানিয়েছিলেন তিথি। তিনি লিখেছিলেন, আমি আর দেবায়ুধ আর সম্পর্কটাকে এগতে চাই না। পারিবারিক কারণেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত তা বিস্তারিত জানাননি। নিজের প্রেমের কথা কোন দিনই গোপন করেননি তিথি। কলেজ থেকে দেবায়ুধের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.