Hiran Chatterjee attack bonny Sengupta: হিরণও তো তৃণমূল করতেন, তাহলে তিনিও চোর ! পালটা আক্রমণ বনির

তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ইন্ডাস্ট্রির প্রত্যেকেই দুর্নীতিগ্রস্থ । একদিন আগেই এমনই ভাষায় বনি সেনগুপ্ত, সায়নী ঘোষদের আক্রমণ করেছিলেন বিজেপির অভিনেতা-বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সায়নী আগেই জবাব দিয়েছিলেন। এবার মুখ খুললেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া বনি সেনগুপ্ত। নিজেকে ইন্ডাস্ট্রির লিডিং অভিনেতা দাবী করা সুখেন দাসের নাতি পালটা হিরণকেই ‘চোর’ বললেন। তাঁর বক্তব্য, হিরণও গ্লামার জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূল করতেন। তাহলে তিনিও চোর। বনির দাবী, তিনি বিজেপি ছেড়ে দিয়েছেন বলেই আক্রমণ করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে বিজেপির নেতারা এইসব করছে। কেন এত রাগ পিয়া পুত্রের ? এক সপ্তাহ আগেই নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে বনিকে ডেকে পাঠায় ইডি। সেখানে গিয়ে তিনি রীতিমতো কেঁদে ফেলেন। যাঁর এখনও পর্যন্ত কোন সিনেমা হিট নেই, তিনি কীভাবে এত দামী গাড়িতে চড়েন ? প্রশ্ন ছিল তদন্তকারীদের। দু’বার হাজিরা দিয়ে তার উত্তর তিনি দিয়েছেন বলে দাবী বনির। কিন্তু তাতেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না।

বনিবাবু’র রাগের কারণ

পূর্ব মেদিনীপুরে একটি জনসভায় হিরণ সরাসরি আঙুল তুলেছিলেন বাংলা সিনেমার ইন্ডাস্ট্রির বর্তমানের হত্তাকর্তা বিধাতাদের দিকে। তিনি বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত প্রতেক্যেই আজ দুর্নীতির কাদা গায়ে মেখে নিয়েছেন। দেব সিনেমা করার জন্য গোরু পাচারকারী ইনামূলের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। তখন তো দেবের ফ্যানেদের রাগ হয়েছিল। বনি তো বাচ্চা ছেলে, সেদিন এসেছে। সায়নীর নাম তো বিচারপতি নিজে করেছেন। ভেঙ্কটেশ ফিল্মের কর্ণধার শ্রীকান্ত মেহেতার কাছ থেকে টাকা নিয়ে একের পর এক ফ্ল্যাট কিনছেন। শ্রীকান্ত মেহতা তো নিজে দু’বছরের জেল খাটা আসামী।

হিরণের এইসব অভিযোগ শুনে সায়নী প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, এখন হিরণ ইন্ডাস্ট্রিতে কোণঠাসা। ওর কথার কোন দাম নেই। এদিন বনি আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, বহুদিন গ্লামার ওয়াল্ডের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, তাই এইসব বলে ক্যামেরার সামনে আসতে চাইছে। উনি নিজেও তো তৃণমূলে ছিলেন, তাহলে উনিও চোর ? প্রশ্ন ‘ইন্ডাস্ট্রির লিডিং হিরো’ বনি সেনগুপ্তের। এখানেই থামেননি বনি। তাঁর মতে, “প্রথমত, হিরণের কথায় এখন ইন্ডাস্ট্রির কিছু যায় আসে না। দ্বিতীয়ত, উনি নিজেও এক সময় তৃণমূল করতেন, তাহলে উনিও চোর। অস্বীকার করতে পারবেন” ? ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘মানুষের জন্য কাজ করতে’ ঘটা করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বনি সেনগুপ্ত। এদিকে তাঁর মা পিয়া সেনগুপ্ত তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। সাংবাদিক সম্মেলন করে রীতিমতো বিজেপির তুলোধনা করেছিলেন। অথচ, ছেলে বিজেপিতে। দ্বিচারিতা আরও আছে। গার্লফেন্ড কৌশানি মুখোপাধ্যায় আবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন কৃষ্ণনগর বিধানসভা আসনে। যদিও মুখ দেখে কেউ ভোট দেয়নি। বিজেপি প্রার্থী মুকুল রায়ের কাছে হেরে যান। পরে অবশ্য মুকুল রায় শাসক দলে ফিরে গিয়েছেন।

ভোটে বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে না পারায় বনি সেনগুপ্তের মনে হল, তিনি ভুল করেছেন। দিদির আদর্শ সঠিক। এখন তিনি বলছেন, বিজেপি ছেড়েছেন বলেই তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, যদি হিরণের কথায় কিছু যায় না আসে, তাহলে উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন কী ? অবশ্য এর উত্তর কোনও দিনই মিলবে না।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.